দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকাল থেকে বাচ্চাকে নিযে গলদঘর্ম। স্কুল শুরু হবে আটটায়। সাতটার আগে বেরুতে হবে। আমার অফিস নয়টায়।বুয়ার কাজে মন নেই। সুযোগ পেলেই বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে থাকে। পাগলটা যখন থেকে ঘরের সামনে এসে বসে থাকে তখন থেকেই বুয়া পাগলটাকে এসে দেখতে থাকে।পাগলটা বুয়াকে দেখলেই কুচকিতে চুলকায়। বুয়া দৌড়ে কিচেনে যায়, দেয়ার মত কিছু না থাকলে নিজের নাস্তাটা দিয়ে দেয়। এরমধ্যে আসমা ডাকতে থাকে, বুয়া তুমি কই থাক। বাবুসোনার পানির বোতল দাও। আজকেও আমার জুতা খুঁজে পাইনা। কেডস্ পড়েই বেরিয়ে পড়ি। বাসে জায়গা নাই। বাইক কিনব।
আজকে এসোসিয়েশনের বার্ষিক ভোজসভা এর সাথে বিশেষ আকর্ষণ হালের ক্রেজ তস্তুরী তাহমিনা ‘র সঙ্গীত সন্ধ্যা সাথে সাপ নৃত্য ও পল্লীগীতি আছে। আসমার ডিস্টেম্পার এখনো হয় নি।ও বুকের খাঁজে-ভাজেও হাল্কা মেকাপ নিয়েছে। আসমাকে দেখলে কবি সুধীনদ্রনাথ দত্তের ভাষায় বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, “A LUMP OF FLESH”। বাঙালী মুসলমানরে ভোজন দিলে সঙ্গীতের বারাটো বাজিয়ে দেয়। দুটোই একসাথে হওয়াতে খাওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি, ফলে কেউ আর তস্তুরী তাহমিনা’র সঙ্গীত শুনল না। এছাড়া গোস মসলার গন্ধে আর যাই হোক গান শোনার পরিবেশ থাকে না। বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় বারোটা। বাবুসোনা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। বুয়া কার্পেটে বসে মহানায়ক দেখছিল।
এলার্মের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। এখন আর সকালে কাকের ডাক শোনা যায় না। মোবাইলের প্রসারের সাথে সাথে নাগরিক পাখি চড়ুইও কমতে শুরু করেছে। আসমা কিচেন থেকে চড়া গলায় ডাকে, বুয়া দেখ দুধটা বুঝি পড়ে গেল।বুয়া দুধের উপর কাপড় টানতে টানতে বারান্দা থেকে কিচেনে যায়।
–এই শোনছো, আসমা বলে। বুয়া নাকি বাড়ী চলে যাবে। আগমি মাস থেকে ছুটি চায়।
— কেন কি হয়েছে? — কি আর হবে, আই পাগলটা। ও আজ ক’দিন থেকে এখানে আসছে না।
— পাগলটার সাথে ওর বাড়ী যাওয়ার কি সম্পর্ক?
— অই পাগলটা নাকি ওর স্বামী ছিল।
বিয়ের কিছু দিন পর ওর স্বামীর মাথায় গোলমাল দেখা দেয়। ওর পরিবার থেকে হেকিমী, কবিরাজী চিকিৎসা দেয়। ওতে কাজ না হওয়ায় এক ফকিরের দরবারে নিয়ে গিয়ে জ্বীন হাজির করে ঝাড়-ফুক করা হয়। ফকিরে নাকি সময় করে তিন বেলা ঝাড়-ফুক করত, শিকল দিয়া বেঁধে রেখে পিটাত।ঝাড়-ফুকের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একদিন বুয়ার স্বামী বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। তারপর সুদীর্ঘ পাঁচ বছর পর তার হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে এই বাসার সামনে দেখতে পায়। প্রথম চার-পাঁচ দিন বুয়া চিনতে পারেনি। যখন চিনতে পারল, বুয়া আমাদের থেকে লুকিয়ে পাগলটাকে দু-বেলা খাবার দিত। গত সপ্তাহে ওকে বাড়ী ফিরে যেতে বললে, সে বলে, সে নাকি চন্দনা টিয়া সেগুন গাছের খোদলে থাকে। সে বাড়ীতে ফিরে যাবে না, ওটা ইঁদুরের গর্ত। মানুষ নাকি গর্তে থাকে না। তারপরও বুয়া পাগলটাকে চাপাচপি করাতে সে এখন আর বাড়ীর সামনেই আসে না।
— বুয়া কি ওকে বাড়ীতে গিয়ে খুঁজে পাবে? পাগল মানুষ, স্বাধীন মানুষ কোথায় ভাসতে ভাসতে চলে গিয়েছে। আবার কোনদিন মনে পড়লে হয়ত চলে আসবে। বুয়াকে বোঝাও।
— বুয়া কিছুই বুঝতে চায় না। সারাদিন মুখ গুঁজে গুঁজে কাঁদে। বুয়া বলে, মোবইলের যেমন ব্যাটারি লাগে তেমনি মাইয়া মানুষেরও মরদ লাগে। খালা আমারে ছাইড়া দিন।
বুয়া বলে, আমি আমার মরদটারে খুঁজে আনি। আমার জান, আমার মরদ, আমার ব্যাটারি।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..