ইমন কল্যাণ
পরিচ্ছেদ ৫ আকাশে এখন আর মেঘ নেই। হাওয়া হচ্ছে।কদিন পরেই বর্ষা নামবে।একদিন হাসপাতাল থেকে ফিরতে…..
পরিচ্ছেদ ৬
অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা ডাকতেই দরজা খুলে দেয় রোকেয়া।পাশের বাড়ির সম্পদদের পুঞ্জির পাশে খোলা গোয়াল ঘরে তখনো গোরুগুলো কান নাড়ছে।মশা তাড়ানোর সড়াৎ সড়াৎ আওয়াজ আসছে।
আসিলু?রোকেয়া দরজা খুলতে খুলতে বলে।
হ্যাঁ। যা গরম।
ফ্যান চালে দেও?আজি তাও ঝড় বৃষ্টির জইন্যে একটু গরম কম।ঝড়ের নাগাল পাইন নাই?
পাইছু তো।
শিলিগুড়িত তুমুল ঝড়বৃষ্টি, ওই সময় দার্জিলিং মোড়ত মুই।আব্বানা ফোন কইরছে।কয় নাই?
কইসে।
ভাত গরম করি দিম?
নানায়।
ঠিক আছে খায়া থাকিস।
শহীদুল ঘরে চলে যায়।জামাকাপড় ছেড়ে কলের পাড়ে গিয়ে মুখটা ধোয়।জল ছিটিয়ে দেয় মুখে, বুকে।লুঙ্গিটা তুলে পায়ে জল দেয়।হাত দুটো সাবান দিয়ে ধুয়ে নেয়।হ্যান্ড ওয়াশ শেষ হয়ে গেছে।
বাথরুমের সামনে টাঙানো তার থেকে গামছাটা নিয়ে মুখ মোছে।আজকে পার্টিকে ড্রপ করে দিয়েছে।তারপর আসতে দেরিই হয়ে গেল।যখন বাড়ি ঢুকলো রাত দেড়টা প্রায়।ভাগ্যিস জঙ্গলে ঢুকতে হয়না।তার আগেই তাদের বাড়ি।ওদিকে যেতেও ভালো লাগে, তবে দিনের বেলা।রাতে হাতির মুখে পড়ার সখ নেই। এ পর্যন্ত পার্টি নিয়ে দুবার হাতির মুখে সে পড়েছে।একবার খুনিয়া মোড়ে। আরেকবার গজলডোবায়।তেমন রিস্ক হয়নি।ছোটবেলা থেকেই সে দেখে আসছে হাতি ঘোড়া।
ব্রয়লারের মাংস খেতে খেতে ওর মনে হয় ছোটবেলায় ঠান্ডা বাসিভাত খেতে ভালো লাগতো।এখনো খায়,তবে শীতের দিনে খুব একটা খেতে ইচ্ছে করেনা।এখন ডালটাও ঠান্ডা মনে হচ্ছে। খেয়ে বাসনগুলো টেবিলে রেখে দেয়।
টেবিলে রাখা বইটার দিকে নজর পড়ে।উলটো করে রাখা।ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার পাঠ দিচ্ছে।ঘোড়া গুলো স্থির হয়ে আছে মহাকালের এক অনন্ত ক্ষণে।অর্জুন হাত জোড় করে আছে।দেবোত্তমদা সেদিন মাল খেয়ে টাল হতে হতে বলছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ভায়োলেন্ট হওয়ার কথা বলেছেন।
পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায়ওচ দু:ষ্কৃতাম ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।
সে বইটা হাতে তুলে নেয়।
গান্ধীজি কোথায় পেয়েছেন অসহযোগ,শান্তি আর ধর্নার প্রেরণা? এ নিয়েও তাদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক। কিন্তু মাতালদের এই ধর্ম রাজনীতি নিয়ে চর্চা খুব একটা ভালো লাগছিলনা।বইটা হাতে নিয়ে ছবিটা দেখতে দেখতে রামানন্দ সাগরের শ্রীকৃষ্ণ সিরিয়ালের কথাও মনে পড়ে।ছোট বেলায় বাড়িতে টিভি ছিলনা।মানুষের বাড়িতে গিয়ে দেখতে হতো।অনেকে টিভি অন করে পরিবার আত্মীয়স্বজন নিয়ে দেখতো।পাড়া প্রতিবেশীদের ঘরের মেঝেতে এলাও করে কখনো।কখনো ছুটে গেলে দেখা যায় দরজা বন্ধ।এখন কেউ আর টিভি দেখেনা।বাড়ির টিভিটাও খারাপ হয়ে আছে। মঈনুদ্দিন রোকেয়া দুজনের কেউই টিভি দেখেনা।শিরিনের হাতে মোবাইল।বাবাও মোবাইল চালায়।মা’র কাছে সাধারণ একটা কি প্যাড মোবাইল।এখন টিভি আর কে দেখে?
বইটা উল্টে পালটে দেখে আবার সে রেখে দেয়।এটা বাবা কিনে এনেছিলেন কলকাতা থেকে। তার এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টির প্রোগ্রামে ব্রিগেড গিয়েছিলেন।সেখান থেকে আনা।অদ্ভুত বাবার চরিত্র।কমিউনিস্ট পার্টি করেন অথচ আধ্যাত্মিকতার প্রতি তার কি একটা টান।আজমের গিয়েছেন তিনবার।তিনবারই বাসে।এই বইটা মাঝেমধ্যে পড়ে শহীদুল। কিছু বুঝতে পারে কিছু পারেনা।যদিও সংস্কৃতের পাশাপাশি বাংলা ব্যাখ্যা করা আছে।
তারপর সে শুয়ে পড়ে। লাইট অফ করে দেয়।দেয়ালে ক্যালেন্ডারগুলো উড়তে থাকে ফ্যানের হাওয়ায়।টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ পায় সে।বেরিয়ে আসে।কখন ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতে পারেনি।মশারী টাঙাতেও ভুলে গেছে।গা চুলকোচ্ছে মশার কামড়ে।বাইরে তখনো আলো ফোটেনি।সে মোবাইল অন করে। ফেসবুক খুলতেই হাজার রকমের লোকের পোস্ট।স্ক্রোল করতে থাকে।তারপর মোবাইলটা রেখে দেয়।গরমে এই একটা সমস্যা ঘুম আসতে চায়না।বৃষ্টি থেমে গেল।এখন হালকা হাওয়া। দরজা খুলে বের হতেই বুঝতে পারে।
টয়লেটের চাপও আসছেনা তবু টয়লেটে যায়।হাত ধুয়ে ঘরে ঢোকে।দরজা বন্ধ করে মোবাইলে দেখে প’নে চারটা।
মসজিদ থেকে সুরেলা আজান ভেসে আসে।এই আজানের স্বর আজকে অনেক মিষ্টি মনে হচ্ছে। ছোটবেলায় রেডিওতে এরকম আজান শুনেছে।সেগুলো বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র থেকে হতো।ছোটবেলার স্মৃতি গুলো কেন জানি অসময়ে মনে পড়ে। দাদো দাদির কথা মনে পড়ে। দাদো একদিন রোদের মধ্যে বাড়ি ফিরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।তখন তার বয়স সত্তর বছর। দাদো ওকে মঙ্গল বাড়ি হাটে নিয়ে যেত।ওখানে বাজার করার পরে চালসায় নিয়ে গিয়ে মিষ্টি সিঙ্গারা খাওয়াতো।এখন মনে হয় এইতো কয়েকদিন আগের কথা অথচ পনের বছর হয়ে গেছে।
শহীদুল গোল কিপার ছিলো আগে।একবার বুকে বল ধরতে গিয়ে ব্যাথা পায়।হাসপাতালে পর্যন্ত গিয়েছিল বলে আর কোনদিনই মাঠে নামা হয়নি।সেটা ক্লাস টুয়েলভের কথা।লেখা পড়ায় কোনদিনই সে ভালো ছিলনা।তুলনামূলক শিরিন ভালো ছাত্রী।শহীদুলের পড়াশোনা নিয়ে বাবা মায়ের কোন অভিযোগও নেই। কারণ সে কখনোই পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়নি।যার যতদূর ক্ষমতা।এমনিতে সে কলেজে পড়েছে ইতিহাসে গ্র্যাজুয়েট। তাই ইতিহাস জ্ঞান টনটনে।সুবীরেশ আর দেবোত্তম এর আলোচনায় যোগ দিতে পারতো কিন্তু দেয়নি।মাতালদের সঙ্গে বচসায় জড়ানোর কি দরকার?শহীদুলের বাড়ির পাশেই লাইব্রেরি থাকায় প্রচুর বই পড়েছে।অবশ্য সে এগুলো জ্ঞানী হওয়ার জন্য পড়েনি।ভালো লাগতো তাই পড়েছে।যে বইগুলো ভালো লাগেনা সে ছেড়ে দেয়।তার মনে পড়ে অনেকদিন আগে একটা বই সে শুভকে পড়িয়েছিল।প্রজাপতি। বইটা ব্যান ছিল অনেকদিন।সেটাও বইটিতে আলাদা পেজ যুক্ত করে ব্যাখা করা।আরেকটা বই সে পড়েছিল দেহ দাহ। আলবার্তো মোরাভিয়ার লেখা। যৌনতার ছড়াছড়ি সেখানে।অথচ কোনসময়ই বইটি শহীদুলের অশ্লীল মনে হয়নি।যদিও অশ্লীলতার সংজ্ঞা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক। সে বিতর্ক এড়িয়ে চলে। কি দরকার?বিতর্ক দিয়ে কিছুর সমাধান হয়েছে।ভারতীয় পার্লামেন্টে এত হাল্লা হয় কিন্তু পাব্লিকের তাতে লাভ হয়েছে?হয়নি।
ঘুম আসছেনা।ফালতু চিন্তা ঘুরছে মাথায়।কি কি সব মাথায় আসে এত ভোরে।মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে।তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে। কিন্তু আর হয়ে ওঠেনা।সে মুসাফিরের মতো ঘুরতে থাকে।আজকে এখানে কালকে ওখানে।শুধু এই পাহাড় থেকে সেই পাহাড়। এই রোদ ছেড়ে সেই রোদ। ভালোবাসা হয়ে গেছে। ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত কাউকেই তেমন ভালো লাগেনি।প্রেম প্রস্তাব পর্যন্ত কাউকে দেয়নি।একবার কলেজে একটি মেয়েকে খুব ভালো লাগতো।মেয়েটা মালবাজারের।সরস্বতী পূজোর দিন প্রপোজ করবে ভেবেছিল।পরে পার্কে গিয়ে দেখে মেয়েটা ওর বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে এসেছে।ওর সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেয়।শহীদুল কাউকেই এসব বলেনি।শুধু শুভ জানতো।শুভ আর্মিতে জয়েন করেছে।লাদাখে থাকে এখন।হঠাৎ হঠাৎ মেসেঞ্জারে কল আসতো।পরে আর্মিতে ফেসবুক ব্যান করে দেয়।আর কথাও হয়না।বাড়িতে এলে তখন দেখা হয়।
চারিদিকে পাখি ডাকছে।ধানখেতে উড়ে যাচ্ছে। গাছের ডালে সুপারি গাছের পাতায় বসে। ধনেশ,ডাহুক ময়ূর চলে আসে ধান খেতে।সকালের আলাদা একটা পরিচয় আছে।সমস্ত পাখি মিলে কলরব জুড়ে দিয়েছে যেন সকাল আসায় তারা কতটাই না খুশি।মুইনুদ্দিন গোরু গুলোকে বের করে আনে গোয়াল ঘর থেকে। আওয়াজ আসছে।রোকেয়া উঠে পড়েছে।ঝাড়ু দেওয়ার শব্দ আসছে।শহীদুল ফিল করে যেদিন শরীর ভীষণ ক্লান্ত থাকে সেদিন আর ঘুম আসেনা।আসতে চায়না।
হঠাৎ মোবাইল বেজে ওঠে। হোয়াটসঅ্যাপে আননোন নাম্বার থেকে মেসেজ।
” গুড মর্নিং। ফ্রি থাকলে জানাবেন।আমি লাটাগুড়ি ঘুরে গ্যাংটক পর্যন্ত ট্যুর করতে চাই।দুজন আছি।আমি আর আমার স্ত্রী।কখন ফ্রি থাকবেন জানালে ভালো হতো। নাম্বারটা ফেসবুক গ্রুপে পেয়েছি।ধন্যবাদ সহ সাদিক আলি ধূপগুড়ি।।
মোবাইলে সে টাইপ করে। “আমিই নাহয় ন’টায় কল করব যদি আপনার অসুবিধা না থাকে। ধন্যবাদ। ”
ওমা আর তখুনি রিপ্লাই আসে।
“ওকে।”
মইনুদ্দিন হাঁটতে থাকে। খোলা আকাশের নীচে জমির ওপর শুধু ধানখেত।ধানখেত যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে গোরুমারা ফরেস্ট শুরু হয়েছে।ধানের সিজনে হাতির বড় উপদ্রব।ভাগ্যিস মইনুদ্দিন নিজে কৃষক হলেও ছেলের জন্য এখন আর সংসারের চিন্তা করতে হয়না।ছেলেটার বয়সও যথেষ্ট হলো।যদিও এখনো সে বলেনি কল্যাণের জন্য মেয়ে দেখতে হবে।কল্যাণ ছেলেটা যথেষ্ট ভদ্র।বিড়ি সিগারেট নিয়ে কমপ্লেন নেই। ছেলেটা কোনদিনই নেশাড়ু হয়ে ওঠেনি।মেয়েটাও বড় হচ্ছে ঠিকঠাক। আল্লাহর রহমতে মইনুদ্দিন সবই পেয়েছে।ফজরের নামাজ পড়েই সে বের হয়।দুপুরে ঘুমিয়ে নেয়। কল্যাণের দাদার মতো সেও বিশ্বাস করে ভোরের হাওয়া লাখ টাকার দাওয়া।ছেলেকে ছোটবেলা থেকে সে অভ্যাস করিয়েছে সকালে উঠতে। কিন্তু এখন রাত্রে করে ভাড়া মেরে আসা ছেলেকে সে আর ডাকাডাকি করেনা।আকাশটা যেন আজ বেশিই নীল।এরকম আকাশ মইনুদ্দিন কোনদিন দেখেনি।আজ যেন সেই মহান শিল্পী নীল রং নিজের হাতে ছড়িয়ে দিয়েছে। আল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মঈনুদ্দিন একটা ধানের শীষ ছিড়ে নেয়।নখ দিয়ে খুটে বের করে। এখন চাল হয়ে গেছে।পুরাট হয়ে গেছে। ধান কাটতে হবে।দুচার দিনের মধ্যে। এগুলো সনাতনদের জমি।এই জমির পাশেই ওর দুবিঘা সব্জির জমি। কাকরোল আর করলা।এখনো শীতালি বেগুন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।অথচ শীত শেষ হওয়ার কতদিন হয়ে গেল।করলা ফলেছে দেখে ভালো লাগছে।দূর থেকে কে একজন হেঁটে আসছে।হ্যাঁ সনাতন বটে।
হারে দাদা কি খবর?
এইতো ভালোই।মইনুদ্দিন উত্তর দেয়।তুই?
আছং ভালো।
ধান তো হয়া গেইছে দেখিনু।
হ্যাঁ কাটির নাইগবে।লোক পাছোনা।
তোর বেটা কোটে?
গেইছে মাছ ধরিয়া মংগলবাড়ি।ওর মাছের পসার ধরিয়া।
অ আচ্ছা।
মইনুদ্দিনের হাত থেকে ধানের শীষটা নিয়ে বাকি ধানগুলো সে পর্যালোচনা করে।
হ্যাঁ ঠিকে কইছিত দা।
হ্যাঁ।
শিরিনের গলার আওয়াজ পায় মইনুদ্দিন।
আব্বা। চা খেতে আসো।
হ্যাঁ। যাই। কল্যাণকে ডাক।আর কত ঘুমাবে?
দাদা উঠে পড়েছে।তুমি আসো।
যাওরে।বলে মইনুদ্দিন বাড়ির দিকে হাঁটা দেয়।মইনুদ্দিনকে হাঁটতে থাকে।আলপথও এলোমেলো হয়।তার পায়ের শব্দে আলপথের ওপর বসে থাকা ফড়িং গুলো আত্মঘাতী মথের মতো এদিকে ওদিকে সরে যায়।
ধানখেতের মধ্যে থাকা একা সনাতন রায় মইনুদ্দিনদার অপসৃত হয়ে যাওয়া স্যান্ডোগেঞ্জি আর ধূসর লুঙ্গি দেখতে থাকে।
জল হাওয়া বাতাস সবই আগের মতো আছে। দুদিন ঝড় হওয়ার পরে এখন আকাশ জমিন সমস্তই চমৎকার। ইচ্ছে হচ্ছে ঘুরে আসি কোথাও থেকে।এমন ভেবেই এই জার্নির শুরু।সাদিক ভাইয়ের ফোনটা পাওয়ার পরে মনে হলে আবার নতুন একটা জার্নি।যদিও এরকমটা খুব বেশি হয়না।বেশ কয়েকটা লোকেশনে ওনারা ঘুরবেন।প্রথমে মূর্তি।লাটাগুড়ি। তারপর সোজা সিকিম।এখানে জাঙ্গল সাফারি করবেন।আলাদা গাড়িও পেয়েছেন।কিন্তু গ্যাংটক যাওয়ার গাড়ি আলাদা পাচ্ছিলেননা।একটা স্যোসাল মিডিয়া গ্রুপে ওর নাম্বারটা সাদিক আলি পায়।এরকমটাই তো বললো ফোনে।অনলাইনে এখন সব হচ্ছে স্যোসাল মিডিয়ার কত ফায়দা। শহীদুল গ্যাংটক পৌঁছে দিয়েই রিটার্ন করবে।যদ্দুর জানা গেল হাইস্কুলের টিচার।ধূপগুড়িতে বাড়ি। হানিমুন যেতে পারেনি।তাই গরমের ছুটিতে বেরোনো।
পরিচ্ছেদ ৫ আকাশে এখন আর মেঘ নেই। হাওয়া হচ্ছে।কদিন পরেই বর্ষা নামবে।একদিন হাসপাতাল থেকে ফিরতে…..
পরিচ্ছেদ ৪ ভোর হয়ে আসছে।রাতে ভালো ঘুম হয়নি।ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে।এরকম…..
ইংরেজি ভার্সান এখানে >>> Welcome to the Pataquerical Night Show (Last Episode) পূর্ববর্তী পর্ব এখানে>>>…..
ইংরেজি ভার্সান এখানে >>> Welcome to the Pataquerical Night Show (Episode-5) পূর্ববর্তী পর্ব এখানে>>> শেষ…..