প্রেমিক
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
দুঃখবোধ
দুঃখবোধ চূড়ান্ত হলে ভাষারা মায়াবতী হয়।
সৃষ্টির খাতায় কিছুই নেই। যেন শূন্যতার পাঠে
হারিয়ে যাচ্ছে দূরবর্তী কোনো গানের অন্তরা
ব্যর্থতার লিপিতে লিখছি সমগ্র দিন
সুদূরের সংকেত ক্রমাগত ম্রিয়মাণ… অস্পষ্ট
অষ্টাদশীর কোলে মাথা রেখে
খেলে যাচ্ছে এক বিষণ্ণ বিকাল
নির্বাক কিছু মুহূর্তকে লিখছি রেডলিফ পেনে
সময় পিছিয়ে দিয়েছি — শহরকে দিলাম ছুটি
মাস্তুলে উঠে রাখি চোখ, কম্পাসে কাঁটা ঘুরে
যায় জটিল কোনো অংকে, ছুটে চলে জাহাজ
আরো কোনো দুর্বোধ্য গন্তব্যে।
ভাষারা মায়াবতী হলে দুঃখরা হয় ধ্রুপদী,
অপেক্ষার নামতা শেষে মিলিয়ে যাচ্ছে দৃশ্য
ভোরের আহ্বান মুছে যাচ্ছে
গুলিয়ে ফেলছি এক এক করে
ধ্রুপদী ব্যঞ্জনা…
ব্যর্থতার লিপি…
কম্পাসের দিকনির্দেশনা…
মাস্তুলের উপর দাঁড়ানো নাবিক…
কার কাছে গেলে দুঃখরা হয় মায়াবতী?
দূরত্ব
থেমে যেতে হয়। বিরহ বাগান থেকে এড়িয়ে যেতে হয়।
লুকিয়ে যেতে যেতে অদৃশ্যমান হবার পন্থা শিখতে হয়,
দৃশ্যত পরাজয়ের খুব সন্নিকটে, নাক কাটা যাচ্ছে,
বুঝতে দিতে চাইছি না তাই মুখের লাগাম ছাড়লাম।
দিনের হিসেবে কে, কতটা দূরত্ব মেপে নিয়েছে
সেটুকু অজানা থাকুক সবকিছুর আয়োজনে
মূর্ছনা ভেঙেছে, একদিন দুদিন করে বদলাচ্ছে
পঞ্জিকার পাতা, নিজের জন্য নেই কবিতা
প্রহসন এঁকেছি। রং-তুলির সন্নিবেশে ঝুলছে মায়া
অতিরঞ্জিত হয়ে ফিরে আসে দূরের সব পথ
নির্বাক সময়ের প্যাঁচগলে ফিরে আসে পুরোনো দিন
মায়ার ফানুশ কেবল মিলিয়ে যাচ্ছে প্রতারণার বৃত্তে।
অণুবীক্ষণযন্ত্রের নিচে নিজেকে ফেলি আরো একবার
জীববিজ্ঞানের ব্যাবহারিকের মতো লণ্ডভণ্ড করি
নিজেকে ফুলের মতো করে, বিনিময়ে ব্যর্থ জীবন
উৎসর্গ করে দিই অর্ধ প্রেমিকার খাতে নিয়তি মেনে।
জোয়ারভাটায় দুলছে প্রেম-অপ্রেম সূর্যের সাথে সাথে
এরপরেও কেটে যায় প্রেমিকের দিন অপ্রেমের টানে
হিসাব করি কতটা দূরত্ব মেপেছে দিনযাপনের অংক।
প্রমাদ
ভাবতে পারো। আবার ছুঁড়তেও পারো।
কথার প্রাচীর টেনে ভাঙতেও পারো অবলীলায়
এরপর, নিজের জন্য কিছুটা সময় থাকে বাকী…
নিজেকে নিয়ে উড়ালসড়কে ভাসো কল্পনায়
প্রশ্নবাণে আটকে ফেলেছি সব প্রশ্নোত্তর,
কোথাও তো থেমে যাবার কথা ছিলো নাটকের,
শেষ দৃশ্যে ছুঁয়ে পড়ছিলো শিমুল ফুল,
দূর্বাঘাস মাড়িয়ে নীরবতা আঁকতে পারো,
আমি আসক্তি কাটিয়ে উঠছি গোলাপি ঠোঁটে
নেশা নয় ঠিক, আবেশের মতো, সমান্তরালে
উড়ে যাচ্ছে দুটো মন একই বৈজ্ঞানিক দূরত্ব মেপে
অপেক্ষার চাদর মুড়ি দিয়ে ছুটে যাচ্ছি শুরুতে
প্রাত্যহিক কিছু ঘটনা বারবার সামনে এসে দাঁড়ায়
অক্লান্ত পরিশ্রম এঁকে দেয় বিপ্রতীপ কোণ,
জ্যামিতিক ভালোবাসাগুলো বড্ড সরল রৈখিক
সাসপেন্সের আড়ালে কিছুটা গোপনীয়তা খোঁজে
অভ্যন্তরে রেখে দিচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক নিদর্শন
এভাবে রয়ে যাচ্ছে অনিচ্ছাকৃত কিছু প্রমাদ।
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..
স্মৃতি চাঁদের আজ দুঃখ পাবার কিছু নেই ! সবুজ পৃথিবীতে আজকের এই বিকেলে আকাশে উড়ে…..
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..