প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ছায়াঢেউ।খুচরো আলোগুলো ভাঙছে। মা একটা
মাটির সানকিতে শারদফুলের পরাগ ঢালছে।
আমরা দু’টি আহ্লাদ, রামধনুকে গুলতিতে—
শেখাচ্ছি অনুপ্রাস।বাবা হাতভরা সন্ধের খোঁপা ও
প্রাচীন মুদ্রা নিয়ে ফিরবে মহিষবাগান হয়ে বৈন্যা গাঁ’য়।
এখন সফেন রত্নের বিন্যাস— মা আঁচল দিয়ে ঘন
অন্ধকারকে ওপাশের বারান্দায় ঢেকে রেখে—
আমাদের দু’চারটি দুধবর্ষার গল্প শোনাচ্ছে আর
আমরা ঈশ্বরকে কাঁচা টরেটক্কা পাঠাবো পাঠাবো করছি।
১.
ডালিম ছোঁয়ার দিন কাৎ হলেই —সন্ধি পেরোয় রসমঞ্জরী
একটা টপকানো গান
ইয়াসমিন তোমার সিঁথিপথে ঘন বনকল্প কুসুমিত —
হিল্লোলে মুখের মিহির অব্দি—
শর্করাদানার শোরগোল।
কোথা যাও আলেয়ার খরগোশ
ঘুমের তুফানে —চারুখোঁপা ভর্তি নদী, ছলাৎ করা ঈশ্বর….
চলো ইয়াসমিন, এবার আত্মার বুলবুল ফোটাই।
২.
তোমার বাউলকরা চোখে ফিল্মি দুপুর —
সারা বারান্দা জুড়ে টেক্কা রেখে যায়।আছিলো তো কত কথা।
চন্দ্রপুকুরে—বালিকা ডাহুকি পরাণ খুলে
বেলা পড়ে যায়। সেজদারত সন্ধে থেকে —খুব
মাখছে চাঁদসই আঙরাভাসা রোশনাই।ওই ঘূর্ণনের—অনুপলে নাচে প্রেমবাঈ।
একদা কদমের ওলান চুয়ে শাওন নামে। কোথাও ছাউনিঅলা কোষানাউ’র গলুইগুলো স্নানে মেতে উঠবে অথৈ ঘুমে।কও ইয়াসমিন, কতদূর উজানে আমাদের অসহিষ্ণু আত্মার মর্মরগাঁথা।
৩.
যেই আয়নায় ঢেউ তুলতে — একটা তিব্বত স্নো
থেকে বাহানা খসে পড়ল। বেমালুম কাঁপা নিদ্রার ঝাঁক,
ধ্বনিতে ধ্বনিতে আগলে রাখা ঠোঁট।
শার্সি ছিঁড়ে মাধবীলতা চেয়ে থাকে — ইয়াসমিন,
তোমার মাধবীলতা। আমি গুল্মে গুল্মে হরিৎ হই।
একদা চাঁদবায়ু মাখা পাখি বাহু বাড়ালে কাঠের
চিরুনির বয়স কমে।নির্জন স্নিগ্ধ রূপবিন্দু,পাশেই
মেলামেশি রঙিন ময়ূর ঠোকয়ায় শাওন
একদিন
পাখি ওড়ে, আঁকে আমাদের ভাষা— তরঙ্গ আহ্লাদ।
ডুবছে শাদা কুয়াশায়, পাতার আয়নায়
স্বর্নের বালা পশ্চিমে যেন কারো সিঁথি—
লালে সোনার কুসুম, ঘন ছায়াবীথি
ফুলের পরাগ উড়ে হিমানী হাওয়ায়
দূরে জলের জোনাকি হুটোপুটি খেলে
পাতার আড়ালে নাচে সাতবর্ণ পাখির—
ছানা, সিলেটি সবুজে নির্জন দিঘির
ঘাটে টায়রা বধূ ধীরে নামে অভিসারে।
ঐ মেঘের ভেড়া ফিরে আঁধার বাথানে
নিরিবিলি পাহাড়ে যে আলো মার্কারির
রাঙালিশোভা ছড়ায় কুহেলী ফাগের
রাতের গাছালির রব— রহস্য গভীর
অচেনা লনের থেকে তুমি ফিরে এসে —
বসো, যেখানে বাহার শুধু পাহাড়ের।
দূরে দিগন্ত রেখায়—নীরবতা মিশে
ঘাসের সমুদ্রে ফুঁটছে নির্জন দুপুর–
সেখানে বাহারি ছায়া, নাচে শোভা নূর
সমস্ত বিকেল ঘুমিয়ে আর সব চলে গেছে
নালিম বনের দিকে —যেখানে যুবতী
শান্ত জলপথে পা খেলে, ইশারায় আজ–
মাঠের দিকে মেঘের রাঙা কারুকাজ
যে ফিরছে বাড়ির পথে হাতে নিয়ে ঘুড়ি।
সুখের গৃহস্থালি ঐ দৃশ্যলোকে দেখি
ধু-ধু প্রান্তরে একবার ছুটে লু বাতাস
একটি ঘুঘু ডাকা দিনে ঘনবীথিকায় –
ছায়ারহস্য কাঁপন, মাথা নুয়ানো গাছ
মায়াবী এক জিলিপির পাশে কাঠবিড়ালি
কোথাও গোধূলি নামে ঐ সন্ধ্যা মায়ায়।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..