ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
করোনার সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-এ জীবন যেন শুকিয়ে যেতে থাকে। বন্ধুর টেলিফোন মানেই একটা দুঃসংবাদ। এই প্রথম কোন কিছুতে পজিটিভ হবার খবরটা একটা দুসংবাদ।
যারা প্রতিদিন তাদের পেশার কারণে অনেক মানুষের সঙ্গে মিশতে বাধ্য; তাদের জীবনে এই পজিটিভ খবর কেবল একবার না; দুইবারও আসছে।
কবি বন্ধু, যার কবিতার আসর জমাতে না পারলে শরীর ভালো লাগে না; সে-ও কাশতে কাশতে হাসপাতাল থেকে খবর দেয় এই আজব পজিটিভিটি। ভয় হয়; কবির কণ্ঠ থেমে গেলে; কে আর এই এভারেজ যাপিত জীবনে কিছু এবাভ এভারেজ কথার ইন্দ্রজাল ছড়াবে। কবি বন্ধু যখন বলে, মিলনই মৌলিক; তখন মনের মধ্যে হিমশীতল আশংকা হামাগুড়ি দেয়। জানালার ধারে উদাত্ত আকাশের কাছে প্রার্থনা; কবির যেন কোন অমঙ্গল না হয়।
রাজনীতিক বন্ধু যাকে প্রতিদিন জনগণের সামনে দেখা দিতে হয় ; জনপ্রতিনিধি সে; সে তো আর বিলাসী “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” করতে পারে না। প্রতিদিন নাগরিক সমাজের একজন হয়ে যার সমালোচনা না করলে; দিনটা ভালো যায় না; সেই পাঞ্চিং ব্যাগ বন্ধু যখন ফেসবুকের ইনবক্সে খবর দেয় তার করোনা পজিটিভিটির; মন খারাপের হাওয়া হু হু করে ঢুকে পড়ে বুকের অলিন্দে।
একমাত্র সুসংবাদ দেয় প্রতিদিনের পথের সারথি; রিয়ারভিউ মিররে মুচকি হাসি দিয়ে বলে, করোনা হচ্ছে বড় লোকের রোগ। যারা হোম ডেলিভারির পিটযা-বার্গার খায় বেশি; করোনা তাদেরকেই এসে ধরে। আমিও করোনা পজিটিভ হয়েছিলাম; কিন্তু কোন অসুবিধা বুঝলাম না তো ভাই।
সোশ্যাল মিডিয়া মানেই যেন মৃত্যু শোকের মিছিল। গ্রুপ চ্যাটগুলোতে “ইন্নালিল্লাহে’র বিভীষিকা। প্রথমে শোনা গিয়েছিলো শুধুই বয়েসি মানুষের ঝুঁকি; কিন্তু তারপর সমবয়েসী; তার চেয়ে কম বয়েসিদের একে একে পরাস্ত করছে ভাইরাসের রাক্ষুসে প্রোটিন। ফুসফুসে গিয়ে অক্সিজেন ঢুকতে বাধা দিচ্ছে।
সবচেয়ে রসিক কর্পোরেট ম্যানেজার বন্ধুটি করোনা পজিটিভের হানা থেকে বেঁচে উঠে কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। বার বার বলে, বুড়ো হয়ে গেলাম মনে হচ্ছে। গাছতলায় ধ্যানে বসে এক যুগের নিশ্চল জীবনে যেমন সাধুবাবার কালো চুল ধূসর হয়; তেমনি করে মাত্র কয়েকমাসে সব চুল পেকে গেলো তার।
যে বন্ধুই করোনাহত হয়ে যেসব উপসর্গের কথা বলে; সেইগুলোই আচ্ছন্ন করে চিন্তা; সেই থেকে শরীর। অথচ ডাক্তার বার বার নিশ্চিত করে, আপনার কাশি ঠান্ডা লাগার কাশি; আপনার শ্বাস কষ্ট কফ জমে যাওয়ার আর ধূমপানের বদ-অভ্যাসের কাশি। সিগেরেট ছেড়ে দেন।
ডাক্তারের এই হিতোপদেশ শুনে কর্পোরেট ম্যানেজার বন্ধু জেদ ধরে, এই চান্সে হ্যাশট্যাগ কুইট স্মোকিং মুভমেন্ট হয়ে যাক। কী হয় সিগেরেট না খেলে!
এইসব শুনে সিগেরেটের প্যাকেটের সিগেরেটগুলো যেন দাঁত কেলিয়ে হাসে, তুমি তো ভায়া সিগ্রেট খাওনা; তবু তো শ্বাসকষ্টে অক্কা পেতে বসেছিলে; অযথা আমাদের দোষ কেন দিচ্ছো হে!
ওয়ার্ক ফ্রম হোম কোন মতে চালিয়ে নেয়া যাচ্ছে; কিন্তু কাজে কোন আগ্রহ নেই; মৃত্যু উপত্যকায় বসে কোন বাঘ-হাতি-ঘোড়া মারার। ঘোড়ার ডিমের ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এইভাবে উইদড্রন ফ্রম লাইফ হয়ে গেলে মনে হয়; বিষণ্ণতার হুইল চেয়ারে বসে মৃত্যুর অপেক্ষা চলছে।
করোনাকালে বাসায় অক্সিমিটার থাকাটা যেন কাল হয়েছে; কিছুক্ষণ পর পর আঙ্গুলে অক্সিমিটার পুরে অক্সিজেন মাপাতে; অক্সিজেন যেন বিগড়ে যায়। টিরেসিয়াস যেন খিল খিল করে হাসে, সেই সত্য জানতে যাও কেন যা তুমি সহ্য করতে পারবে না!
হঠাত একবার রিডিং আসে ৮২; রেড সিগন্যাল দেয় অক্সিমিটার; ব্যালকনিতে অক্সিজেনের আড্ডায় হা করে গভীর শ্বাসের কসরত চলতে থাকে। পাশেই হাসপাতাল সেখানে গেলেই অক্সিজেন পুরে দেবে বুকে; কিন্তু ভয় লাগে হাসপাতালের নাম শুনলে; এক এক চিরস্থায়ী ভীতি যেন। হাসপাতালের বেড সাইড টেবিলে কমলা লেবুর মতো ভয়। সুতরাং অক্সিজেন চাইতে হবে খোলা বাতাসের কাছে; হাওয়ায় দুলে ওঠা বৃক্ষের কাছে; ফুলে ফেঁপে ওঠা সমুদ্রের কাছে।
দেয়ালে ঝুলানো কোনিগজভিনটারের এক বর্শা হাতে যোদ্ধার পেইন্টিং-এর নীচে লেখা ১৫২০ সালে তার মৃত্যু হয়েছিলো। মনে হয় এ কী তাহলে ২০২০ সালে মরে যাওয়ার আগাম বার্তা; মনের অজান্তে নিয়তি টাঙ্গিয়ে রেখেছে দেয়ালে।
সেই থেকে কারো মোবাইলে কোন গান বেজে উঠলে সুরকে অসহ্য লাগে। আম্মাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে, বয়স ৫০ হলে কী আর গান ভালো লাগে না! যেসব গান শুনলে আগে মন জেগে উঠতো; সেসব গান শুনলে এখন কান বন্ধ করে রাখতে ইচ্ছা করে।
আম্মা হেসে বলেন, এটা তো ভেবে দেখিনি। নতুন গান ভালো হচ্ছে না বলে হয়তো পুরনো গানগুলো অনেকবার শুনে একঘেয়ে লাগছে। কিন্তু নতুন কোন গান ভালো হলে তো শুনতে বেশ লাগে।
অবশ্য সমবয়েসীরা সহমত পোষণ করে, আমাদের বয়স হয়েছে; তাই গান ভালো লাগে না। আমাদের বয়স হয়েছে এই অনুসিদ্ধান্তে মহাপ্রস্থানের প্রস্তুতি চলতে থাকে যেন।
করোনা মহামারীতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এতোটুকু বদলায়নি দেশে দেশে রাজনৈতিক নেতারা আর ধর্মের নেতারা। তাদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই থামবার নয়।
একজন প্রবীন বলেন, সৃষ্টিকর্তা মহা অপরাধীদের শাসনের দড়ি ঢিলা করে দিয়ে খেলা দেখে; কতদূর যেতে পারে তারা। তাই তারা বেশিরভাগই নব্বুই থেকে একশো বছর বাঁচে কচ্ছপের মতো। হয়তো বাঁচিয়ে রেখে জীবনের শেষ দশবছরে মানসিক ও শারীরিক কষ্ট দেয়া হয়। আমরা তাদের ক্ষমতার প্রতাপের সময়টা মিডিয়ায় দেখি; কিন্তু তাদের অক্ষমতার কষ্টের শেষ বছরগুলো থেকে যায় অজ্ঞাতে।
এই যে আল- করোনা এসে সভ্যতার মূর্তি ভেঙ্গে দিচ্ছে আল-কায়েদার মতো; তাতেও কোন হুঁশ নেই দেশে দেশে ক্ষমতাসীন নেতা আর তাদের ভক্তদের। এখনো নেতার ভাবমূর্তি রক্ষায় তারা সাইবদর হয়ে মার্চপাস্ট করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফলে সেলফ সেন্সরশিপ এসে শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয় আরো বেশি করে।
মস্তিষ্কে অক্সিজেন চলাচল কমে যায়; চিন্তা থমকে থাকে জেব্রা ক্রসিং-এ অনন্যোপায় গাড়িগুলোর মতো।
ইউনিভার্সিটির সহকর্মী ফোন করে অনুরোধ করে, জুম ক্লাসে চিন্তার চাষ করতে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আর প্রতিবেদন সম্পাদনা’র দুটো কোর্স পড়ানোর আবদার নিয়ে হাজির হয়। কিন্তু চিন্তা যখন থমকে গেছে; তখন মনে হয় এসব বিষয়ে একটা কথা বলারও ক্ষমতা নাই। তার ওপরে জুম ক্লাস; এমনি ক্লাসেই যেখানে আজকের দিনের দশ সেকেন্ডের বেশি মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীদের অমনোযোগের ম্যাটাডোরের ষাঁড়ের দুটি শিং ধরে রীতিমতো লড়াই করতে হয়; সেইখানে জুম ক্লাসে এরা কিছুই শিখবে না। আর চিন্তা যখন থমকে আছে; তখন ক্লাস জমবে না। ক্লাস মানেই তো তিনঘন্টা চিন্তার দোলা। একটা পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মতো।
ইউনিভার্সিটির সহকর্মী এই মন খারাপের ব্যাপারটা কিছুটা যেন ধরতে পারে। একটু আশাহত হয়েই বলে, “করোনার পরে দেখা হবে তবে।” তবু সে ফেসবুকে অনুসরণ করে; তবু সম্পর্কের সুতোটুকু থাকুক এই সময়টাতে।
ওয়েব পোর্টালের সম্পাদক বন্ধুরা এসে খোঁজ নেয়, পজিটিভ না নেগেটিভ। “নেগেটিভ প্রচণ্ড নেগেটিভ; এমন নেগেটিভ কোনকালে ছিলো না।”
এক প্রবীন ফোন করে স্মরণ করিয়ে দেন, শ্রেণীসংগ্রাম নিয়ে একটা লেখা দেবার কথা ছিলো। বিষণ্ণতায় লীন হয়ে থাকার কথা শুনে বলেন, তবু অপেক্ষা করবো।
আগে মিডিয়ার জন্য একটা রাজনৈতিক ধারাভাষ্য তৈরি করতে দীর্ঘক্ষণ গবেষণার যে অভ্যাস ছিলো; কিছু পড়লেই প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো চুম্বকের মতো আটকে যেতো মাথায়; অথচ এখন অনেকক্ষণ পড়ার পরেও কোন তথ্য মস্তিষ্কে স্থায়ী হয় না।
তাই প্রবীন সাংবাদিকের আমন্ত্রণে দিশেহারা লাগে; অসহায় লাগে। এই অবস্থা থেকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে পারসোনাল কম্পিউটার নিজে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু সে। তাই স্কাইপের অডিও বিকল করে দেয়। স্ট্রিমইয়ার্ড-জুমে অডিও ঠিকঠাক; স্কাইপে অডিও নেই। এরকম ভুতূড়ে অজুহাত প্রবীন সাংবাদিকের কাছে বিস্ময়কর লাগে। অত্যন্ত কোমল মনের মানুষ; তাই তিনি স্নেহের বশে আর বেশি কিছু বলেন না।
“জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো।” স্ট্যান্ড আপ কমেডিতে মন বসে না। মনের রস সরোবর শুকিয়ে ঠন ঠন করে।
কিছুটা মনোযোগ বসাতে অনেক আগে দেখা “ফ্রেন্ডস” আর ” বিগ ব্যাং থিওরি” সিটকম দেখে কিছুটা থটলেস সময় কাটানোর চেষ্টা চলতে থাকে। চিন্তার ছুটি কাটাতে এমন কিছু দেখা; যেখানে বিন্দুমাত্র মন খারাপের ঝুঁকি নাই।
এরমাঝে টাইম মেশিন নিয়ে তৈরি “টাইমলেস” সিরিজ দেখে একটা পর্বে আর্নেস্ট হেমিং ওয়ের সঙ্গে দেখা হয়। প্যারিসে আমুদে সাংবাদিক হেমিং ওয়ে অপেরা সাঁঝে খুশীজলে ভাসতে ভাসতেও তখন সাংবাদিকতা্র কাজটা ঠিক ঠাক করে। লেখক হিসেবে তখন সামান্য খ্যাতি তার; সে জীবনের প্রতিটি দিন উদযাপন করে; একে বেহিসাবে খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেয়।
ঘুমের মধ্যে হেমিং ওয়ে এসে বলে, আমার চেয়ে বেদনা-বিভীষিকা কী বেশি দেখেছো! যুদ্ধক্ষেত্রে চোখের সামনে এতো মানুষের মৃত্যু দেখেছি আমি; সেসব কথা ভাবলে আর স্থির থাকতে পারিনা। ওহে, বিষণ্ণতা যদি থাকে; তাকে সৃজনশীলতায় অনুবাদ করো। হোপলেস কোথাকার।
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। হেমিং ওয়ের মোটিভেশনাল স্পিচে উলটো ফল হয়। এই হেমিং ভাই-ই বলেছিলেন, মানুষ বিনাশ হয়ে যেতে পারে; কিন্তু পরাজিত হয় না কখনো। অথচ আত্মহত্যা করেছিলেন সবশেষে।
কিন্তু হেমিং ওয়ের আত্মহত্যার যুগে শান্তিতে একটু মরার সুযোগ ছিলো। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তা তো নেই। কেউ আত্মহত্যা করলে কেউ ভাবে না; “লোকটা কে ছিলো কী ছিলো; কেন সে খুব রাগ করে হয়েছিলো বিজনব্যথা হিরণদাহ হয়েছে আগুন।”
হেমিং উত্তর কালের আত্মহত্যায় বন্ধুরা নীরবে অশ্রুপাত করে; সবজান্তারা এসে, আত্মহত্যা একটি কাপুরুষতা বলে খেঁকিয়ে ওঠে। আর গান্ধাশাস্ত্র বিশারদেরা জয়নুল আবেদীনের দুর্ভিক্ষের পেইন্টিং-এর কাকেদের মতো সানন্দে শব ব্যবচ্ছেদ করে।
এমনকী শ্বাসকষ্টেও মরার উপায় নেই; লোকটা কী সাদা নাকি কালো; গজদন্তে বিশ্বাসী নাকি অবিশ্বাসী; ডাইনোসরের পক্ষের নাকি বিপক্ষের; ইনক্রেডিবল হাল্ক নাকি গাপ্পা; এইসব নানান কলতলা কাব্যে একটা শান্তিপূর্ণ শেষকৃত্যেরও সুযোগ নাই।
“এটা তো আমরা আগেই জানতাম” কিংবা “তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মারফত জানছিলাম বলে, যে চলিঞ্চুগান্ধাকল্পদ্রম রাক্ষস স্বাস্থ্যপানের মজমা বসায়; তার ভয়ে মৃত্যু পালিয়ে যায় জানালা দিয়ে।
এক বন্ধু জোর করে বন ফায়ারে- গলফ ক্লাবে নিয়ে যায়। ফোন থেকে পছন্দের গানগুলো শোনায়। প্রায়ই বলে, আমি বুঝে গেছি সারাদিন আমরা যে জীবন যাপন করি তা ট্র্যাশ। এই যে একটু সুন্দর সময় কাটানো; জোর করে হলেও করোনা যুদ্ধের বাংকারে লুকানো জীবন থেকে বেরিয়ে এই যে আমরা কথা বলি; এই কথাকলির আসরটুকুই জীবন।
গলফ ক্লাবে একজন প্রবীন পাশ থেকে বলেন, “চাকরি জীবন আমাদের একটা ছদ্ম সাফল্যের আলেয়া দেয়; অবসরের পরে তা মিলিয়ে যায়। তাই মানুষের শুধু বাঁচার মতো বাঁচতে শেখা উচিত।”
ট্রাম্পের পতন কিংবা ওয়াটার গেট স্ক্যান্ডালের পুনরাবৃত্তিতে পৃথিবী মনে করিয়ে দেয়, রঙ্গমঞ্চের মহাপরাক্রমশালীদের ভয় পেয়ো না। বরং পুতুল নাচ দেখে আনন্দে মত্ত হও।
অক্সিমিটার প্রত্যাখাত প্রেয়সীর মতো করুণ মিনতি মাখা ডাক দেয়। অক্সিজেনেরা হো হো করে হেসে ওঠে, লাইফ ইজ বিউটিফুল।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..