উইন্টার

আবদুল বাতেন
কবিতা
Bengali
উইন্টার

উইন্টার

খুলে ফেলছে পাতার পোশাক, বিটপী বালিকাগণ
যেন আদিম মানুষের আধুনিক হয়ে ওঠা
বরফ বিকিনি তাঁদের ভেরি ফেভারিট
হিমেল বাতাসের হ্যাগে, লিপ কিজে কাবু কেউ কেউ
গ্যালাক্সির গ্লাস নিংড়ে নিংড়ে
নিউ ইয়র্কের রাতভর তারাদের ডিজে পাটি।

 

বীরাঙ্গনা

একটি ফুটফুটে খরগোশকে কদাকার মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে
এক দল নেকড়ে
একটি উচ্ছল গোলাপকে নোংরা-নষ্ট করছে পাপে-প্রতিশোধে
এক পাল বন্য শুকোর।
অপরাধ তাঁর
পা চাটা পরাধীনতায় পুঁজ-থুতু ফেলা
রক্তস্রাব-প্রসাবের পাহাড় গড়ে তোলা
অপরাধ তাঁর
স্বাধীনতার গাঢ় স্বপ্নে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়া
লাল সবুজের পতাকা ঊদ্ধাকাশে তুলে ধরা

নখরের নির্দয়তায় চাপা পড়ছে অসহ্য আর্তনাদ
লুট হচ্ছে দাঁতের তীক্ষ্নতায় তাঁর স্নিগ্ধতা-সম্ভ্রম
তাঁর বোবা কান্নায় কানায় কানায় ভরে উঠছে সাত শত নদীর নির্মল বুক।

 

পরিস্থিতি

আলগা হতে হতে খসে যাচ্ছে
হাতে জড়ানো হাত, বুকের ওম, ওষ্ঠের অমৃত
একটু একটু করে ছিঁড়ে যাচ্ছে
রক্তের বাঁধন, মুখের মমতা; বিশ্বাসের বুনন।

এখন কী মৌসুম মানুষের
পালে পালে হারিয়ে যাওয়ার, স্বার্থের সংঘাতে?
এখন কি প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠার
সকল ষড়যন্ত্রের সিঁড়ি ধরে ধরে?

ফসল ফেলে আগাছা উৎপাদনে লেগেছে যারা
মৌচাক ভেঙে ভিমরুল ধরে ধরে এনেছে যারা
হাততালি, জয়মালা; মঞ্চে তারাই পুরস্কৃত!

মিথ্যাচার মারণাস্ত্র, ধাপ্পাবাজি যাদের মূলমন্ত্র
নীতি-নিয়মকে নির্বাসনে পাঠানো
ক্ষমতায়-খবরের শিরোনামে তারাই!

ঈশ্বরের হাত তাদের হাত, ঈশ্বরের মুখ তাদের মুখ
মনে করে বসে আছে, শয়তানেরা সব।

 

আমন্ত্রণ

স্মার্টফোনে গুঁজে রাখা জীবন ভুলে
ভার্চুয়াল জগতের গাঁজাখুরি জিজ্ঞাসা ঠেলে
চলো, পদ্মাপাড়ে বসে জলের গান গাই।

তছনছ হয়ে হতাশার, না-পাওয়ার ঝড়ে
মাকাল আর চোরাবালির ফাঁদে না পড়ে
চলো, ঝিঁ ঝি-জোনাকির জিকিরে সুখ বিলাই।

মুখোশ-মরীচিকার টোপ আর না গিলে
নাগরিক কোলাহল-কৃত্রিমতা-কংক্রিট ফেলে
চলো, সবুজাভ চাদরের আদরে ঢেকে যাই।

এই দুর্ভিক্ষ-খরায় খাসা ও তাজা হতে
চকিতে পা-পরান ফেলে শ্বাসরুদ্ধ ঘর হতে
চলো, আলো-বাতাস-বৃষ্টি হাপুসহুপুস খাই।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ