উজান উপাধ্যায়ের কবিতা

উজান উপাধ্যায়
কবিতা
Bengali
উজান উপাধ্যায়ের কবিতা

জীবনানন্দ দাশ

চৌষট্টি বছর ধরে সেই ট্রামের চাকাটা খুঁজে যাচ্ছি আমি।ওই চাকাটাই তো শেষবার দেখেছিল
নির্লীপ্ত লৌহকঠিন চোয়ালে লেগে থাকা কচি লেবুপাতার নরম কোমল হাসিটিকে।

ওই তো তাৎক্ষণিক আর্তনাদে অনুভব করেছিল গভীরতম হ্রদের নিবিড় শান্ত জল-কণ্ঠ। আমার যে চাই ওই কাঠ , ওই ধাতু – ওই শেষ লালদাগ।
ওরাই যে শেষবার দেখেছিল নির্বিকল্প ঘুম অমিত বোধের – যদিও পার্থিব সেই ঘুম ক্রমাগত ভেসে যাচ্ছে অপার্থিব জগতের পাড়ায় পাড়ায়-উঠোনে ভাতের হাঁড়ি – গণগনে আঁচে কলমির শাক, হৃদয়ের শেষ অস্তরাগ – জ্যোৎস্নার মায়া মেখে অনাবিল স্নিগ্ধতর কাঁঠালছায়ায় কতবার এসে গেছো ফিরে ফিরে।
তোমার অমল মৃতদেহ, আমার যে সেখানেই সবটুকু স্নেহ – হে প্রিয় কলম – হে সুভাষিত দোয়াতের মুখ -তোমাকেই পলাতক বলে কত মূর্খ অর্বাচীন পালিয়েছে পাতালের আলোকিত ছুরির ফাৎনায় –
আমি খুঁজে নেবো সেই চাকা, যেখানে উড়েছে বিনয়, যেখানে নতজানু হয়ে গেছে আপামর বাংলাভাষী লক্ষ লক্ষ মুখ।
বর্ণমালা গড়িয়েছে শেষবার ট্রামের চাকায়, রক্ত তুলে তবুও স্থিতধী সেই পাখির নীড়ের মতো চোখ।
আমাকেও তৈরি করে রাখতে হচ্ছে
শীতলক্ষ্যা, কোপাই,অলকানন্দার গভীরে গভীরে – শঙ্খচিল শালিখের ধবল অন্তর্বাসে অচঞ্চল মায়াবী সংলাপ –
আমি ঠিক পেয়ে যাব আজ তাকে, চৌষট্টি বছরের এই দীর্ঘ অপেক্ষার আজ শেষ ধাপ –
হয়তো অযান্ত্রিক বাতায়নে পারিজাতে সুসজ্জিত নভোনীলে
পেতে রাখা প্যাপিরাসে এখনও লিখছেন -জলমুড়ি, হাতপাখা নিয়ে পাশে স্থির সেই চির বিদেশিনী মুখ বিদীর্ণ সব হলাহল –

মেঘের চাদরে ঢাকা
অনোন্য অপরিচিতা মানবী টি –
আমাদের চিরকৌতূহল,

কবির একার সে অচঞ্চলা মেয়ে -বনলতা সেন —
আমি ও ধপাস করে বসে যাবো
ঘাতক ট্রামের নিখোঁজ চাকায়-
অস্ফূটে বলে দেবো শ্রেষ্ঠ দুঃসাহসে -যুগলে পেয়েছি কবি এতকাল পরে – ছাড়বো না আর –
বলতেই হবে আজ –
এতদিন কোথায় ছিলেন?

 

ষড়যন্ত্রী ঈশ্বরী

আমার এ এক সমস্যা, বুঝলি ঈশ্বরী।
হাঁড়, পাঁজর, চোখের ভিতরে গেড়ে বসা অপটিক স্নায়ুগুচ্ছ, মজ্জারস সবাই শুকিয়ে গেলো।
তোর ছায়া শরীরে তাঁবু খাটিয়ে ওরা এখন দাহ্য বিচুলি খড় নৌকা ভাঙা কাঠ।
তোর যে কি অভিপ্রায় আমি তো বুঝেই উঠিনা।
সন্ধি সমাস প্রত্যয় ধ্বনি ও বর্ণ বিপর্যয় , একাদেমির বানান বিধি , সংসদের বিধিনিষেধ কিছুই শেখালি না অথচ স্রোতস্বিনী নদীর মতো কবিতার পাখিদের পাঠিয়ে যাচ্ছিস আমার খাতায়।
সংসারে ক্রমাগত টলমল করছে ভারকেন্দ্র , গুলিয়ে উঠছে ফাঁপা রক্তনালী -বন্ধুদের মুখ ঘিরে ধরছে
দিনরাত –
রাতের জানালায় সরে আসছে চাঁদ। একফালি আলোর চতুর উপরিপাতনে বিপন্ন শিৎকার ফাটা গোঁড়ালিতে ব্যস্ত বিলাসে , প্রতিহিংসার জন্মান্ধ ক্যানভাসে। নিমডালে বাসা করা আরও কিছু পাখি জেগে আছে আমার খাতায়।
ওরাও বুঝছেনা এই শোকার্ত আসবাবের ভিতরে কতটা ঘুম নিঃশেষিত সঙ্গমে।

ঈশ্বরী
আমার শয্যাসঙ্গী অভিমান , ব্যর্থ কানাঘুষো এবং আলগোছ বোঝাপড়া স্তব্ধ পংক্তির শিকড়ে
কিছুতেই বুনছেনা আঁটোসাঁটো প্রেম।

ঈশ্বরী
এ তোর কেমন ব্লুপ্রিন্ট , কেমনতরো এই সাপলুডো গেম।

অবাধ্য প্রেমিক তোর

মা বলতো -বাধ্য ছেলে , সোনা ছেলে , সত্যি গো -শুনছো সবাই – আমার বাবু কিন্তু বড্ড লক্ষ্মী ছেলে।
মা এভাবে সবার সামনে লক্ষ্মী বলে দিলে ভেতরে ফুঁসতাম , আমি কি মেয়ে নাকি , মিত্তিরদের বাড়ির নন্দিনীকেও তো মা লক্ষ্মীই বলে !
যদিও সে ক্ষোভ চোখের কৌশলে চেপে গিয়ে মার কোলে মুখ লুকোতাম , মার বুকে গলে পড়তাম যেন এক শান্ত তরল ঝরে যাচ্ছে নন্দনকাননে।
পিসিমণি বলতো -সারাদিন শান্ত হয়ে সব কথা শোনে , যাই বলো বৌদিমণি – এ পাড়ায় আর একটা এমন পাবেনা। দেওয়ালে তাকিয়ে টিকটিকির হাঁটা দেখার ভান করতাম -ভিতরে কি প্রবল খুশির ওয়েভ।
বাবা কিছু বলতো না মুখে , চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি দেখে বুঝতাম-
ঘুমোলেই তার চোখে স্বপ্নেরা লাইনে দাঁড়িয়ে যেতো একে একে -একটির চেয়ে অন্যটি আরও যেন অমৃতের স্বাদে আহ্লাদে সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেতো বাবার ক্লান্ত , পরিশ্রান্ত মুখের প্রতিটি কোণায়।
হেডস্যার বলতেন -আহা , গর্ববোধ হয় তোর জন্য , মনে হয় কোলে তুলে আদর করতে থাকি একটানা সাতদিন।
রমাদিদিমণি দেখলেই কাছে টেনে
চিবুক ছুঁয়ে স্নেহের চুম্বনে ভরে দিতেন সেইসব দিন।

আমি সেই বাধ্যতামূলক বাধ্যতার বিনম্র কথকতায় সাজিয়ে নিয়েছি আরোহণের রূপকথা।
অথচ আমার বাধ্যতা , আমার বিনয় , আমার সৌমকান্তি চোখ
কোথায় যে পালিয়ে গেলো , কোন অজ্ঞাতবাসে —
যেই তুই এলি ঝড়ের মতোন আমার উন্মত্ত পান্ডুলিপির বেপরোয়া এজলাসে।
নিজেকে উজাড় করে বিপর্যস্ত উপকূলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছেড়ে রেখে ঋজুকন্ঠে সোজাসুজি বলেদিলি -আমাকে দেখেই তোর দিন , আমাকে ছুঁয়েই তোর রাত -আমার যাপনে তোর অন্তহীন বেঁচে থাকা , আমাতেই তোর শুরু , আমাতেই তোর অবশেষ।
যেইমাত্র বলেদিলি এইসব , অমনি ধড়িবাজ সুপ্ত আমিটা ধরমরিয়ে উঠে এলো শব্দমালায় অসহ্য অস্থিরতা নিয়ে-
তুই পূর্ব দেখালে আমি পশ্চিম -তুই যদি যত্ন বলিস , রুটিন সাজিয়ে দিস , সময়ের খাওয়া ঘুম -আমার নির্জলা উপবাস , আমার জেগে থাকা অবিরাম অগুনতি রাত।
এই যে অবাধ্যতা , এই অমান্যতা -তোকে সামনে দেখেও চরম অস্বীকার -তুই মুষড়ে গেলে , ভেঙেচুরে চৌচির হলে , অবজ্ঞায় অপমানে পাতালে দাঁড়ালে আমিই তো স্বীকৃতি দিয়ে ফিরিয়ে আনবো তোকে আমার খাতার প্রতিটি পৃষ্ঠায়।
ছেলেবেলার বাধ্য ছেলেটি প্রেমিকাকে চায়না মাথায় তুলে নিতে।
তোর সব আবেগ , হরিদ্রাভ হৃদয়ের জমাট হিমঘর গুঁড়িয়ে চূর্ণ করে , নিঃস্ব অসাড় করে নবনির্মিত অরণ্যগহ্বর থেকে উপচে আসা মেঘগুচ্ছে বৃষ্টি গিলে নেবো চুমুকে চুমুকে।
তোর ওই ঠোঁটে আমিই যে একাএকা খুঁজে নেবো আমার আদ্যোপান্ত ধ্বংস , আমার সর্বনাশ —
পাহাড়চূড়ায় মাথা রেখে তোর বুকে আমি যে পাবোই নদী , আমি যে উপড়ে নেবো দায়বদ্ধ পাখির ছটফট -আমিই তো প্রাচীন গ্রহের নষ্ট প্রেমিক -অবাধ্য অকেজো ঘাস।

ইচ্ছে-আলো

শরীর বুঝিয়ে দেয় , আত্মার ধারক যে সেই । বিমূর্তকে মূর্ত করে মিশিয়েছে অন্ধকার ইচ্ছে-আলোয়।
কি ভীষণ সহনশীলতা , কত অত্যাচার , কত অমান্যতা ! নিখিলে বেড়েছে কলরব , রাতেরা ডেকেছে মগ্ন হতে তার উষ্ণ ওমে -একা একা দাঁড়িয়েছি আবছায়া ব্যালকনিতে -মিটিমিটি তাকিয়েছে
নক্ষত্রেরা আমার খুলে রাখা কবিতা খাতায় -খুলে গেছে পরাগসিক্ত পাপড়ি বিষাদরঙিন –
শরীরে মিশে গেছে জ্যোৎস্নার অবৈধ বিকিরণ -আমাদের অসুখেরা ঠিকঠাক জানে আত্মনিবেদন ।

ভিজিয়েছে শিশিরেরা আমাকেই
বুঝে নিতে- শরতের শেষটুকু উৎসব শুধু নয় , কিছুটা কান্নাও ধীরে ধীরে ঘুম নামিয়েছে চোখের পাতায়।

গুপ্তকথা

যা বলবে ভেবেছিলে , খুলে বলতে যেওনা কখনো ।কিছু রাখো ঘূর্ণাবর্তে , কিছু থাক আহত প্রশ্রয়ে।
জেনেই যদি যাও কি কি আছে জমে ওঠা ব্যগ্র অন্যকথা ,
অফুরান শব্দ করে কেন ঢাকো
কথার চাদরে !

খুলে দিতে গেলে আরও বেশি ভিড় করে খড়ের কাঠামো
একটি বাড়িতে বারান্দা কী অতই
সুলভ !

বরং ঘনিয়ে ওঠা মাদকতা , তমসাবিলাস এই সব প্রান্তিক জবাবদিহিতার খাদে খাদে –
ফুল ছড়িয়েছে নষ্ট-প্রবাদে।
যা বলেছে ইতিহাসের রক্তাত্ব নোটবই , অনেকাংশে চেপেই বলছে যন্ত্রণার আপ্তবাক্যগুলো।
খুলে বললে প্রেম তোষকে বেডশীটে মুখ ঢাকতে যায় , অনিচ্ছুক শীৎকারে
ঘেমে ওঠে শীত অজানিত পরাভবে –
অব্যক্ত প্রেম শাদা ধবধবে আলোর পাখনায় উড়ে যায় পারিজাতের তুমুল সৌরভে।
ভালোবাসা থাকনা নিলয়ে নিলয়ে -অলিন্দে থাকুক শুধু গুপ্ত মুগ্ধতা।

মেঘবালিকার চুপকথারা

[ শ্রদ্ধা জানাই আমার প্রিয় কবি জয় গোস্বামীকে]

জয়দা, আমার প্রিয় কবি তুমি জয় গোঁসাই।
ভেবেছিলাম কোনও দিন লিখবো না মেঘবালিকাকে নিয়ে একটি লাইনও। ও যে একান্তই তোমার।
আজ খুব ভোরে হঠাৎই দেখি জানলায় উঁকি দিচ্ছে ভিজে, ধূসর সাদাটে কাপড় পড়া এক জোড়া তন্বী চোখ। পায়ের পাতা পর্যন্ত মেলে আছে মেঘরঙা চুল।
আমি মনের ভুল ভেবে খাতায় মুখ গুঁজতেই দরজায় খটখট। খটখট।
অজান্তেই যেন উঠে গেলাম। দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লো একপাল মেঘ গায়ে স্রোতস্বিনী নদীর মতো মেয়ে।
সারা গায়ে বৃষ্টির গন্ধ, ঘনকালো চোখের মণিতে গোটা আকাশ চুপটি মেরে বসে আছে।
আমার সামনে দাঁড়িয়ে গেলো মেয়ে। মেরুদণ্ড ঋজু। পায়ের উপরে পা রেখে আমার চিবুক ছুঁয়ে দিল মেঘজ ঠোঁটের আদিম উষ্ণতায়।
বিদ্যুস্পৃষ্টের মতো অসাড় শরীরে ফ্যালফ্যালিয়ে চেয়ে আছি আমি মেয়েটির চোখে।সব গোলমাল হয়ে যাচ্ছে আমার। চুরমার হয়ে যাচ্ছে সাজানো উপাচার, ছাপোষা সংসার।
সারা ঘরে জল, দেওয়াল ঝাপসা হচ্ছে ঢেউ গিলে গিলে – পাখি , জলপরী খুনসুটিতে মত্ত হঠাৎ।
আমি অস্ফুটে বললাম -তুমি?

মেঘবালিকা আমি।
মেঘবালিকা! তুমি!
কিন্তু তুমি যে অন্যকারো মনের ভিতরে বাসা করে আছো। সেখানে যে প্রবেশ নিষেধ উজান কবির!
উজানিয়া আজও স্পর্ধা করেনি ওই দেশে ঢুকে পড়বার, সাহস পায়নি মেঘবালিকার চোখে কবিতা পড়ার।
জানি সব কবি! বুঝি।
অসহায় ছিলে তুমি। কিন্তু ওহে মেঘকবি, উজানী কলম অপাপবিদ্ধ পারাবার – মেঘবালিকা তো কারও গচ্ছিত সম্পদ নয়, আমি যে তারই – যে আমাকে ছুঁয়ে দিতে পারে নিবিড়ে নিভৃতে অনাবিল পারিজাত সুগন্ধিত দোয়াতে কলমে।
–মেঘবালিকা শোনো। আমি তো ভয়েই যাইনি তোমার পাড়ায়। ভয় শুধু নয় অমল শ্রদ্ধায় – গোঁসাই জয় তোমাকে লিখেছেন বড়ো ভালোবেসে। বড় প্রেম অন্তরীপে লালিত হয়েছে স্নেহ ও সবুজে।
তবুও শোনো কবি আমি যদি আজ নিজে ধরা দিই তোমার প্যাপিরাসে, লিখবেনা কবি, বলো লিখবে না আমায়?
চোখের ভিতরে তুমুল জলপ্রপাত, নেমে আসছে শীতলক্ষ্যা, অলকানন্দা দশদিকে তুফানি জলোচ্ছাসে –
দুহাতে জড়িয়েছি ওর কাঁধ, স্পর্শ করেছি ওর চোখের পাতায় – বয়স হয়েছে ওর, চুলেও ধরেছে পাক –
এখন ও মেঘ নয়, বৃষ্টিও নয়। মেঘবালিকা মাঝবয়েসি সায়েন্স দিদিমণি। ছেলে স্বামী শ্বাশুড়ীমাকে নিয়ে গদ্যের সংসার।
– জানো কবি শুধুমাত্র একটু অবসর পেলে একা বসি তোমার কবিতা খাতায় উপুড় হয়ে।
হিংসে হয় তোমার প্রেমিকাদের, জ্বলে যাই, পুড়ে মরি।
লিখবে কবি, লিখবে আমায় নিয়ে – হবে আমার বন্ধু – গণগনে চুল্লিতে ঝলসে যেতে ভালো লাগে না আর আমার।
থমকে থাকি, ভূততাড়িতের মতো বলে উঠি – মেঘবালিকা, আজই লিখবো – না আর নয় রূপকথা, আর নয় কোনও অরূপকথন –
লিখবো এবার মেঘবালিকার চুপকথাদের, ভেঙে ফেলবো নৈশঃব্দ্যের গহীনের সমস্ত হিমঘর।
কথা দিলাম মেঘবালিকা, আমিই হবো মেঘকবি আরও একবার।
হেসে উঠলো আকাশলীনা মেয়ে, ঝরঝরিয়ে নেমে আসছে ছায়াসুখ জমকালো –
মেঘবালিকার জোড়া ঠোঁটে অপার্থিব আলো।
তছনছিয়ে ছুটছে মেয়ে – ভেসে যাচ্ছে গান – ঈশান কোণে শঙ্খনিনাদ – কবি রে তুই ভালো, ভীষণ ভীষণ ভালো। মেঘ কবি তুই প্রেমিক শিশু – এই গ্রহটির পেখম জুড়ে ভালোবাসা রঙ জ্বালো

উজান উপাধ্যায়। কবি। কবিতাপুরুষ। জন্মের আগেই প্রথম দোয়াত শূন্যে কুড়িয়ে নেওয়া। যাপনের প্রতিটি কার্নিশে, ভ্রমণের প্রতিটি আক্ষেপে কবিতার মেয়ে কবি উজানের অক্ষরবৃষ্টিকে ছুঁয়ে থাকে প্রেমে-অপ্রেমে। শুষ্ক নগরীতে ভালোবাসা লিখতে এলাম - এই উচ্চারণে একাকীত্বের গর্ভে লালিত তার নির্জন, ম্যাজিকাল, অভিকেন্দ্রীয় রূপান্তর।...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..