আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
এবার স্মার্ট হবো। যদিও বাংলা অর্থে চটপটে আমি বরাবরই। এ সময় স্মার্ট বলতে ভিন্ন অর্থ বোঝে।
ডানহাতের কবজিতে ঘড়ি, হাই হিল হেঁটে চলা, ডানপন্থী আঙুল ভাঁজে নিকোটিন চোঙ – এম.এন.সি ব্র্যান্ডেড, সিলভার সানগ্লাস।
দুই পাশে নারী। আসা যাওয়া শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কাঁচবন্ধ গাড়ি শহরের বুকে – পিঠে দশ পাঁচটা বাড়ি।
স্মার্ট কবি মানেই বেশ একটা দেবতা দেবতা ভাব।
দেবতা বলতে মনে এলো, রাতে কিন্তু সোফা কাম বেডে নাইট গাউন পড়ে লুকিয়ে কোরাণ ওলটাই, গীতা, জেন্দাবেস্তা – বাইবেল, গ্রীসের পূরাণ। ইতালি ফ্রান্স, কানাডা, ব্রিটেন – আরও সব দেশের প্রাচীন লোকগাঁথা – যদিও অলীক সব।
পড়ি আর রেগে যাই, ভিতরে মানুষ খুঁজে শুধুই দেবতা পাই – বিচ্ছুরিত প্রতিপ্রভ আলোর বলয় – হিরণ্যখচিত।
ভুল নেই, দোষ নেই, অন্তর্ঘাত নেই – যদিও অনেক আছে – দেবতার ভুল বলে সবটাতে দেবত্বের মোম, ঘি, পনিরের স্বাদ আর শুদ্ধ আগুন।
ঘেমোগন্ধে পারিজাত, কথা বললে শ্লোক, ছল করলে মায়ার খেতাব।
দেবতারা এত স্মার্ট, গুছিয়েছে মানুষের মগজের সব স্নায়ু অযৌক্তিক উপাচারে – আহুত নেশার মত চিবিয়েছে বুদ্ধি ও চেতনের অযুত সম্ভার।
আমি তো নির্লোভ, নির্মোহ সেজে বিনয়ের পরাকাষ্টা শরীরে ঝুলিয়ে নিয়ত এসব ফাঁদে ঢুকে পড়ি।
আমার অবুঝ প্রিয়া ঈশ্বরীর দায় – উন্মত্ত দায় অক্ষর সাধনার – উদ্বেগে সরে সরে থাকে অচঞ্চলা ঋদ্ধা যুবতী।
নক্ষত্রেরা স্মার্ট কিনা, উল্কা ও মেঘ- রাতের চাদরে ঢাকা হৃদয় সংবেদ উড়িয়েছে শহরের ছাই।
আমার এসব চাই – গুঁড়ো গুঁড়ো আবেগের নিস্তরঙ্গ ধুলো, মসৃণ ধারালো।
মহাকাশে ব্ল্যাকহোলে – অবলুপ্ত কোলাহল, স্মার্ট আলো হেঁটে চলে অনন্তের অপর্যাপ্ত ধূপ এ। বেড়ে যায় স্তূপে স্তূপে অগণিত চটপটে ভুলও।
এলোতাবড়ি বৃষ্টি ঢোকে হলুদ বনে
বৃষ্টি সে কি মুখের কথা, বৃষ্টি সে যে খামখেয়ালি।
অনেকখানি পুড়লে তবে মেঘ জমে যায়
মেঘ পুড়লে, মত্ত ধোঁয়া – সফেন খোয়াব।
দলছুট হয় ভিজে ফড়িং, মেঘমানবী –
অশ্বপুরুষ দুমড়েমুচড়ে পাতালঘরে।
চুল্লী সাজায়, নিভন্ত কাঠ – ফাগুন এবং আগুন পাখি –
অশ্বমেধের বৈধ ছায়ায়, নিথর লাশে-মন-জোনাকি।
বৃষ্টি তাতেই অস্থি ভেজায়- ঘর পুড়লেই চিত্রনাট্যে
টুইস্ট আসে – আলগা ঘাসে -গাঙ-আকাশে।
বৃষ্টি এমন সুখের কথা, রূপের মদে অরূপকথা –
খরস্রোতা জলীয় ভষ্মে, অতলান্ত ভ্রমর লগ্নে।
বৃষ্টি এখন ধান্দাবাজি, জুলুমবাজির ছকটা জানে-
দেউলপুজো, বাউল-তরজা -বন্ধ্যা গানে-
মেঘের দেশে রাত বাড়লেই ভালোবাসার সাপলুডো খেল
প্রেম ও বাঁশি, যে বানভাসি রোদের মরণ –
শরীর, মুখোশ-উদোম বেহোঁশ –
পঙ্গু চিঠি ভাঙা পেখম – শ্মশান তোরণ।
বৃষ্টি কাব্যে কবিই শুধু খরাপ্রবণ।
আংটি পড়বো কিনা এবং হীরের হবে কিনা সেটা!
বরাবর ধন্দে থেকেছি, কবিতার গল্প কেমন অথবা
গল্পরা কতটা কবিতা! কলেজস্ট্রিটে কটা পাখি রোজ বই কেনে এবং কটি বই পাখির মতন! আমাদের যারা যারা পৃথিবীতে প্রেম রাখবে বলে
দোকানে বাটখারায় খাদ মিশিয়েছে -তাদের ঈশ্বর বলেছি, কারণ ঈশ্বরকে ঠগ বলেই জানি। ভালোবাসা শ্বাসকষ্টে ভোগে, ভালোবাসার মাথায় রক্ত নেই, আংটিটা টিনের হলেও চুম্বনে স্ফটিক চমকায়। এসব অংকে শতাব্দী খুব কাঁচা, কাঁচা প্রেমে মজেছেন মাইকেল, মাইকেল তো লিঙ্গ বিপর্যয়ে, মদের পাত্রে দুঃখ রাখা হোক। বই ছাপতে প্রচুর খরচ লাগে, সুনীল আকাশ একাই সামলায়।
বিষণ্ণ বিষ আঘাত পেয়ে গাঢ়, আমি ভাবছি তাবিজ পড়বো আরো। রাত জেগে হ্রদ অশ্বখুরাকৃতি, ঢোকাই যাকনা মদনপুরের খালে। খালের ভিতর শুইয়ে রাখবো স্নেহ, তেল কিন্তু স্নেহের অপর নাম।
এত মোরগ ভোরের বেলায় মরে, সঙ্গমটা রাতেই সারা ভালো। ভাবছি এবং ভাবছি মরে যাবো। দেখছি এবং দেখছি বেগুনপোড়া, একটা ছোকড়া ভাগিয়ে নিচ্ছে সোজা, ডাঁসা ছাগল খাতার ভিতর পোষা।
পাগল কবির বাড়তি সরঞ্জাম, চুরি করবো আজকে এবং কাল, আমার এখন স্বভাব বেপরোয়া, শ্মশান ঘাটে পাতবো বাসরঘর। সেই বাসরে বেতাল হরিবোল, এবং কিছু নতুন পরকীয়া, ঈশ্বরের এই ভেজাল চরাচরে – পুষ্প নাহে ঝরছে আঁশটে ছাল।
একটি নারীকে আমি যুৎসই ঠকিয়েছি, বিপরীতে গিয়ে আরও একটি নারীকেও, ঠকিয়েছি শত শত, পরপর-সাজিয়েছি শ্রেণি ও বিন্যাস, গুনোত্তর প্রগতিতে, গণিতের ছাত্ররা জানে, সঠিক কথাটা হলো এক, তিন, নয় ও সাতাশ, একাশি আর তিনশো তেতাল্লিশ এবং ক্রমশঃ।
এখানেই অঙ্কটা অল্প বুঝিয়ে নিলে তারপর প্রতারণা বুঝে নিতে পাঠকের অনেকটা স্বস্তি বোধ হবে।
আসলে ঠকাবো বলে খুব যে তৈরি ছিল মন, তেমনটা নয়-বরং অত্রি তারা, অরুন্ধতী এবং বৃশ্চিক -আমাকে ডেকেছে যেই-গাছেদের মাথা ঘুরে গেছে। আসলে মোহনা থেকে ঈশ্বরীই ডেকেছে নদীকে-নদী তন্বী, সরু তার কোমরের মাপ।
– গাছেরা এসব দেখে ঠকে যাওয়া মেয়েটিকে, ঠকে যাওয়া মেয়েদের আদর করেছে কোলে টেনে। এসব খননপর্বে ঈশ্বরীর ঠিক কি যে ছল, নিয়ত প্যাঁচালো সেতু, ধাপে ধাপে দংশন -আত্মাকেই হনন কৌশল।
মরীচি অঙ্গিরা ক্রতু -এমন তারারা কত কত ঠকে গেছে, ঠকিয়েছে -নীহারিকা একা স্থির -তারাদের ঘর বাড়ি-ভেঙে পরে-তখন হৃৎপিণ্ড ভাবি, হৃদয়ের সাথে কত মিল মোহানার – এসে পড়ে রক্তবাহ-শিরা ও ধমনী -শাখা ও প্রশাখা সব নদীদের, সাগরের চওড়া কাঁধেই, দ্বীপপুঞ্জে হলিডে কাটে –
দ্বান্দিক উপকথা, ছলে বলে সুদক্ষ প্রণয়চালে প্রিয়তায় সুগন্ধিত আকালে নারীদের নিয়ে গেছি তেপান্তর মাঠে, ভালোবাসা গড়িয়েছে সাপ্তাহিক হাটে -প্রথাগত নির্মাণে বৃদ্ধসকাল, বৃদ্ধদের নারী বড় প্রিয় হয়, নারীদের মনে মনে বার্ধক্যজনিত যত ক্ষয় আসলে বাদামী রঙে গাঢ় নীল তিমির-প্রণয়, এভাবে দুদিক ভাসে নারী, এভাবে নকল ধান, প্লাস্টিকের চেহারায় গৃহগত অনুমান – আপোষে ছাপোষা এক একান্ত একান্নবর্তীর তুবড়ে যাওয়া হাঁড়ি, খুব কালো, বুকে পিঠে তাপের শোষণ, শুধুমাত্র তাপ নয়, অনুতাপ, হয়তো ততটা নয় যতটুকু নিশ্চয় প্রয়োজন হয় নারীকে ঠকিয়ে নিতে গেলে।
দুদিকে আসলে ভ্রম, দিক নেই দিক ঘোচাবার, মুছে গেছে সুদূর হাঁটার ঝোঁকে যত মত তত পথ-ব্যর্থতার মনোরথে হয়ে একা একা জড়িয়েছি কবোষ্ণ মোম – নারীদের বুকের ভিতরে ঢুকে স্তরে স্তরে কত প্রেম খোপে ও খাপের মতো ভীড়ে যাচাই করছি প্রেম, কত আছে ব্যধি ও প্রত্যয়-
নারীটিকে কাঁদিয়েছি, এমনই নির্ভয়-অহমের মেদে-শংসাপত্র যত ভিজিয়েছি মদে। চেটেপুটে খেয়ে গেছি নারীর হৃদয়।
একটি জন্ম নিয়ে পুরুষের, কিংবা ঠগের, চৌর্যবৃত্তি শেখা ততটা জরুরি ছিল পিতামহ জানেনি বোধহয় –
পাখির ভিতরে পাখি, নদীর ভিতরে নদী, ঠোঁটের যজ্ঞস্থলে চুল্লির কাঠ, হৃদয়ে যে কাচ সহজ, নিপাট-মগজে ততটা নয় সরল দর্পণ-বিক্ষেপের লয়ে এঁকে বেঁকে যাওয়া আলো আমাকে নারীর কাছে মাথানত করতে দিতোনা-যদিনা শহর জল, শবরী অনর্গল -কানেকানে কান্না শোনাতো-নক্ষত্রেরা রোজ কাঁদে – জ্যোৎস্নাও অপবাদে ঘুরিয়েছে জোনাকির চোখ- এসব আবর্ত স্নান, রূপকথা অপলক-নারীদের চুপকথা বেদর্নাত চূর্ণ দোলক।
রোজ তাই এত কথা, আসলে সমুদ্রপান, বিবিধের চুম্বকীয় স্পৃহা-কাব্যের মোহতে তৃষা, গুলিয়েছে দশদিশা-আমার অব্যর্থ চক্ষুদান।
মানুষের ভিতরে একটি প্রবল ছায়া নামে, যখন সে আরও পাঁচ পশুর মতোই অথচ স্বকীয় তেজ যৌনতার তাকে ছেড়ে গেছে, কিন্তু তার তো তবু উত্তরসাধক চাই – নীল ছবি কাঁপতে থাকা আলোয়-ঈশ্বরীকে বলেছি-এসময় তাকে চাই -অভিভাবকদের এইসব প্রতিক্রিয়া কতটা স্নায়ুর চাপ বুঝে নিতে হয়-আমি যে হেসে ফেলি খুব, এসব বানিয়ে তোলা রতিক্রিয়ার ছবিতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চীৎকার-নাটক ঘনিয়ে এলে যান্ত্রিক পিস্টন-সৃজনের ঘরে বৃহত্তম শূন্য গজায়।
পুরুষ ও নারী তাকিয়েছে ফটোগ্রাফিক ক্যামেরার লেন্সের কামুক চোখে-যৌনসঙ্গী যারা ঘুমিয়ে পড়লে দেবতার মতো লাগবে তাদের-ঈশ্বরীর শর্ত আছে -ক্লান্ত রসালো শরীরে নেমে আসবে নান্দনিক আলো-আলোকিত ঘর এত তীব্র মুদ্রোদোষে ঢাকা পড়ে-
কৃষক রমণীটি, শ্রমিকের স্ত্রী কিংবা কাজের মাসি, হাসপাতালের আয়া বাচ্চা বিয়োতে গেলে সশব্দে পুষ্পবৃষ্টি হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দহীন, নিমগ্ন প্রেমে। চতুস্কোণে দেওয়াল, সেতু ও নদী ঘেমে ঘেমে ওঠে।
পর্নোগ্রাফি দেখলে এতো হাসি পায়, এতো সুড়সুড়ি-যৌনক্রিয়াই এই পবিত্র পাঠাগারে মানুষ এনেছে-রোল ক্যামেরা অ্যাকশনের আদৌ সাধ্য নেই কৃষ্ণচূড়া বিছিয়ে দেওয়া ছায়াপথে মিলনের তুমুল বাঁশিটি যথাযথ টিউনিং করে।
ওরা শুধু পণ্ডশ্রম করে, আর বিজ্ঞাপনী পৃথিবীতে শুয়োপোকা ভরে দিতে টাকা নষ্ট করে।
ঈশ্বরী সব জেনে পা দুলিয়ে ভোরের নামতা পড়ে।
কেউকেউ আসল সফর থেকে সরে যায়, শব্দের ভিতর থেকে ফুলে ওঠা ঘাস, জল, নীল নীল চোখ, পরমান্ন পরমায়ু ছেড়ে কেউ কেউ শুধু গড্ডালিকা স্রোতেই ভেসে যায়।
কলম সরিয়ে রেখে, সরোদে সেতারে -টিউনিং করা ছেড়ে, আত্মমগ্নতার গভীর অন্বেষণ ছুঁড়ে ফেলে –
বিনির্মাণের নজর থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ঝোঁক, উড়ুক্কু মাছের রঙ্গলোক –
জড়বুদ্ধি মানুষেরা এতটাই হুজুরের দাস!
ভাবতে মগজ লাগে – সেখানে যে কারফিউ!
একটি মিথ্যাচারে লাগিয়েছে প্রলম্বিত ‘কিউ‘।
মিউ মিউ মিউ মিউ!
একটি মানুষ একা, আত্মমগ্ন পাখির মতো
হালভাঙা নৌকার মতো ছন্নছাড়া, নিছক সমর্পণ বর্ণমালা ক্ষেতে – ঈশ্বরীর অমোঘ সংকেতে।
তবুও ধুলোর খেলা, চতুরঙ্গ ভোরবেলা –
বিচারে যে দুইপক্ষ থাকে!
আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এলেই আসল গপ্পোটা উঠে আসে। একবারও এইটুকু প্রশ্ন আসেনি কারও মনে – স্তাবকতা, যুক্তিহীন – অপরাধকেই প্রশ্রয় দেয় অসংলগ্ন জিজ্ঞাসাহীন রিক্ত আচরণে।
এখানে সমুদ্রে বিষ, লবণ ঈর্ষান্বিত, এখানে যে ঘাতকস্বর বন্ধুমুখোশ হয়ে প্রেমের প্রস্তাব আনে
– প্রত্যাখ্যানেই আসল পরাজয়, সেখানেই তুষের আগুন – ভিতরে ভিতরে সরীসৃপ, লালারসে জারিত জটিল কুটিল অভিনয়।
মহিয়সী বিদুষী রূপসী কন্যারা কেউ কেউ
প্রত্যাখ্যাত হতেই জানেনা। অবশ্যই সকলেই নয়। মাত্র দু‘একজন।
কেউ যে এমন কিছু করে দিতে পারে, প্রস্তাবনা ফিরিয়ে দিয়ে সহজাত বন্ধুর প্রয়াস –
ভাবাই ছিলো না তাই, ক্রোধের তীব্র গুণ – জিভে দাঁতে নরকের নুন –
নিজের যা কিছু কাজ, পরিপাটি পাণ্ডুলিপি
সারাই ফোঁরাই – গুছিয়েছে নিজের আখের
সহজ বন্ধুর মুখে এইবার ছুরি
সহজ লোকের পিঠে এইবার ক্ষত
অসভ্যতা আর কত! শঠতা নীচতা, আর কত নিরীহকে অনর্থক খুন বিনা প্ররোচনায়!
পাশবিক লালসা, নিপুণ বুনন প্রকাশ্য তঞ্চকতার!
আর কত?
একটি পাঠক নেই ভিতরে ঢোকার?
একটি চিন্তক নেই গভীরে ভাবার?
গল্প যে পুরোই উল্টো।
স্বার্থে ধাক্কা খেলে বিষধর নাগিনীর সঙ্গে জোট বাঁধে পুরুষ জাদুকর – সাপের বীণটা লেজের আগায় ধরে, মহাশয় প্ল্যান করে – জুৎসই আয়োজন করে।
একাকী সহজ জলে এত কি হে আকর্ষণ আছে! এবার তো টুটি টিপে ধরো।
কি আছে এমন তার, পাঠক এমনতরো
কিই বা পেয়েছে সহজিয়া!
কবিতার ব্যাখ্যা চেয়ে চোরাগোপ্তা আক্রমণ শুরু
স্বাবলম্বী পাঠকের অনুভব অনেক জরুরি, এমন জবাবে ঘৃত আগুনের জ্বলুনি ডুবুরিরা ছক কষে সরু, সাপলুডো ছক্কায় শূন্যকে আক্রমণ শুরু।
ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে -অতিরঞ্জনে সুজনের রক্ত নির্যাস –
এভাবে ঘাতক দল, বল তোরা ঠিক কি কি পাস –
সত্যি যে উন্মাদ অক্ষরের সেবাদাস – কিছুই কি তার।আসে যায় –
সে বেটা যে স্বল্পাহারী, পাওয়ার কিছুই নাই -চাওয়া শুধু অমিত সৃজন –
চতুরের মূর্খতা দেখে ফকিরের উলঙ্গ স্নেহে
হা হা হো হো হি হি হা হা –
হাসতে হাসতে পাগলের আহ্নিকে ঈশ্বরীর স্বপ্নে পুড়ে যায়।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..