উত্তেজনা প্রশমন করুন

সোয়েব মাহমুদ
কবিতা
Bengali
উত্তেজনা প্রশমন করুন

উত্তেজনা প্রশমন করুন

কবি বেচে থাকলে থেকে যান বিশ্বাসী ছুরীর নিচে। মরে গেলে কালে, পঠিত হন – বাড়ে বিপণন। অবশ্য কবিতা বিক্রির বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে অকালপ্রয়াত কবি’র অসামান্য কবিতা।

আগে বুঝতাম না, এখন বুঝি অকালপ্রয়াত কবি হন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রেমিক, তাকে পড়া পাঠক হন বিদগ্ধ পাঠক। আচ্ছা শোয়েব শাদাব বা বিষ্ণু কি বেচে আছেন এখনও সিজোফ্রেনিয়ায় কাটিয়ে দুইযুগ? কবি’রা বা পাঠকেরা কি খোঁজেন বা জানেন কিছু? নাকি আত্মহত্যা করে আপন মাহমুদের মতন লেখা হবে তাদের ইতিহাস, হত্যাকারী আঙুলে!

সময় কখনওই শ্রেষ্ঠ বিচারক নন, কারণ নমরুদের বিচার সময় নয় করেছিলো এক বিপ্লবি মশা। যাক গুরুতর কথা বলে ফেললাম মনে করবেন না কিছু, বীচ ভলিবল দেখলে একটু উত্তেজিত হই আমি, ব্যাস আর কিছু না।

GOD MUST BE A BARKING DOG WHEN FUCK IS A VERB.

 

কোথাও কোন শব্দ নেই

তোমার জন্য শব্দ নেই আমার, ক্যামেলিয়ার সাথে দ্যাখা শেষ হওয়ার পরপরই জ্বরের দরোজা ঠেলে ভালোবাসার উঠোন বারান্দায় পাশাপাশি দুই সমুদ্র অথবা আকাশকে টেনে এনে, মার্কেজ শেষকালে খুঁজেছে ছেলেবেলার সিনেমা হল আর কান্নার রেললাইন ধরে আমি খুঁজে চলি বৃষ্টিভেজা নিঃসন্তান সন্ধ্যাকালীন বুকের গন্ধ এক।

একটা সমুদ্রে আগুন ধরিয়ে, নিভে যাওয়া সিগারেট হাতে এভাবে মেঘমল্লার ছুঁয়ে দ্যায় মেঘমেদুর তোমার শাড়িরজমিন, যেখানে গতকালের ঘাসের দাগ লেগে আছে।

 

ক্লাউন ক্লাউন ক্লাউন

আমার সর্বস্ব ছুঁড়ে ফেলে দিই খোলা মাঠে,
তোমার টিনের চালে, তোমার বিত্তশালী হৃদয়ে।
ব্যর্থ কবিতায়, যা নিয়ে কৌতুকভরে খেলা করো তুমি।
আমার থাকে না কিছু, তিলে তিলে সব চলে যায়।
সময় গ্রীন রুমের ক্লান্ত বারান্দায় শুয়ে রিঙ মাস্টারের অপেক্ষা করছে।
আধারের মাঝে এক আলোকচ্ছটায়
বেরিয়ে আসি নাকে লাল বল মুখে রঙ মেখে,
ফোকাস আমার উপর,
আমার কান্নায় হেসে লুটপাট দর্শক।
শো চলছে, হাউজফুল!
আঙুল করতালিমুখর, পেন্টালুন আর…..
আমার কিছু নেই, থাকতে হয়না।
আমিই ক্লাউন, চিটচিটে ঘড়িটায়
বাইশে সেপ্টেম্বর রাত দশটা দুইহাজার আঠেরো ।
আমিই ক্লাউন অথবা আমিই ক্লাউন।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..