দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
কার্ফু
হাতে হাতে ঘুরছে রক্তলেখা
কার্ফুর মধ্যে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অজস্র কলম ।
প্রতিবাদে জন্ম নেয় মুক্তিবীজ ।
ফাঁকা রাস্তায় প্রহরা বসায় তরুণকবি
অন্ধকার গাঢ় হয় , শব্দ তীব্র হয়
আর এক প্রজন্ম তৈরি হয় লড়াই করার জন্য ।
তবে তুমি প্রেমিক
তুমি জলে ভিজিয়ে রেখেছ সকাল
অঙ্কুরিত কিছু উষ্ণতা সীমারেখা টানছে তোমার ঠোঁটে
তবে তুমি প্রেমিক ।
একদান চালে রেখে দিয়েছ ভবিষ্যৎ
সোজাগল্প ঘুরিয়ে বলছ সহস্রপথে
তবে তুমি প্রেমিক ।
একপাশ হয়ে বাঁধছ শব্দসাঁকো
ওপাশ ঘুরে কথা বলছে তোমার সংসারি মুখোশ
তবে তুমি প্রেমিক ।
রাস্তার ধারে বসে শুকোচ্ছ ঘাম
গল্পে তোমার রাজনীতি , আলু পটল , মাছের দাম
তবে তুমি প্রেমিক ।
ঘুম ভেঙেছে মাঝরাতে
রাত সেঁকছ জানালার ধারে একহাতে গ্লাস নিয়ে
তবে তুমি প্রেমিক।
অন্তরাল
একপাশে কাঁচের দেওয়াল
অন্যপাশে মুখ উলটে থাকা যুক্তাক্ষর মালা
ধাতব সংঘাতে ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে স্মৃতিদাগ
পদচিহ্নগুলো ভেসে যাচ্ছে রক্তে ।
আমি ছুটে যাচ্ছি এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে
আঙ্গুলের ছোঁয়াতেও লুকিয়ে আছে অন্তর্ঘাত । আদ্র বিমর্ষতা ।
অন্তরাল গুলো হারিয়ে যাচ্ছে জরায়ুমুখী স্রোতে ।
স্বতঃসিদ্ধ আন্দোলনে পথ হারাচ্ছে যৌবন ।
এরপরও তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখ ভিজিয়ে দেবে খেলাবারিশ
আমি স্বপ্নমালা গাঁথব প্রেমিকার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ।
রাস্তা চিনিয়ে দেবে শেষরাতের মুগ্ধপাখিরা।
এল ডোরেডো
ঘরবাড়ি গুলো ভেঙে যাচ্ছে একেক করে ,পাহাড় থেকে গড়িয়ে পরছে টুকরোগুলো
এবার পাড়ি দেব মহাশূন্যে কোন এক তুচ্ছ নদীর পাড় বেয়ে
ঠিক পৌঁছে যাব এল ডোরেডোর সোনাশহরে , পায়ের নিচে একেক করে টুকরো হবে সোনাকুচি গুলো
পটভূমি বদলে হয়ে যাবে সবুজ গ্রামের মাটি , পাঁজর ভেঙে উৎপাদন করব মরশুমি ফসল ।
চাবুক পিঠে পুষিয়ে দেব শব্দের ঋণ , মহাজনি খাজনা ।
আমার ঘরে থাকবে খিদে পেট , অনাহার আর কয়েকটা ম্যাজিক শব্দ
আমার ভাঙা ঘরের সামনে ঘুরপাক খায় ধূসর বর্ণের হৃৎপিণ্ড
রাত্রি হলে তা পরিণত হয় সম্মোহনে , গোটা ছায়াপথ জুড়ে বিচরণ করে উন্মাদের মত ।
সকাল হলে দেখবে তাদের প্রত্যেকের পায়ে লেগে থাকা মাটি আসলে একেকটা এল ডোরেডো ।
পাহাড়ি মেয়ে
বুকের মাঝখানে যেখানে পাহাড় আর আকাশ মেতে ওঠে সঙ্গমে
তার একটু দূরে প্রেম প্রবণ পাহাড়ি ঝর্না , যেখানে স্রোতস্বিনী আচড় কাটে
আমার নিঃস্ব হওয়াও এক অলোকসুন্দর প্রাপ্তিযোগ
পাহাড় তোমার সাথে আজকে মিশিয়ে দেব শরীর ।
তুমি কুয়াশা ধার দেবে আমাকে , আমি ফিরিয়ে দেব খরস্রোতা
বাকি কথা হবে ঝর্নার নীচে দাঁড়িয়ে , সূচক হবে ঠোঁট ।
তুমি যুবতী পাহাড়ি কন্যা , তোমার গন্ধ লেগে আছে গায়ে
আমাদের প্রেম জীবনের বাকি বসন্তগুলো তোমার জন্য রাখলাম ।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..