প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তক্তপোশে গড়াগড়ি খাচ্ছে নারীর বিবস্ত্র শরীর
সামনেই উলঙ্গ পুরুষাঙ্গ বের করা উদ্ধত পুরুষ।
নারীর আর্তচিৎকারে বাতাস প্রকম্পিত।
হায়, বিপন্ন মানবতা।
ধর্ষিতার আকুতি পৌছায়না জন্যারণ্যে,
সূর্যের কড়া রোদও নিষিদ্ধ বহুকাল,
চলেছে সারিবদ্ধ মানুষ,
কার্যত তারাও মূক ও বধির!
নেতারা দাঁড়িয়ে আছেন মন্চ আলো করে।
আমলার দল, বসে আরাম কেদারায়,
রাজা বা রানীরা পাকাপোক্ত বসা রাজসিংহাসনে,
মুখে তাদের তেলতেলে হাসি।
কেবল, নারীর দুই উরু বেয়ে বয়ে যায় রক্তের স্রোত,
উন্মুক্ত স্তনে নখের আঁচড়,
ঠোঁট ক্ষতবিক্ষত হায়েনার দংশনে,
বেহায়া নারী, আবৃত কর তোমার শরীর।
সফেদ পোশাকের ধর্মগুরু বলেন, কেশে।
কে আছ…?
শোনা যায় নারীর আর্তচিৎকার,
মূক ও বধির নও, তেমন কেউ কী কোথাও নেই???
গভীর জমাট অন্ধকারের স্মৃতি কি মনে পড়ে?
যেখানে তোমার আবাস ছিল দশমাস!
মায়ের যোনিপথ ভেদ করে যারা এসেছিলে একদিন।
সেই রক্তাক্ত যোনিপথের দিব্বি,
সেই মমতাময় জরায়ুর কসম,
তোমাদের উলঙ্গ, উদ্ধত, যৌনাঙ্গটি নত কর একবার।
একবার ভাবো, তোমার মা, বোন, আর কন্যাটির মুখ।
তারা কী নিরাপদ তোমার যৌন উন্মাদনার কাছে?
বিপন্ন মানবতা
কাঁদে দু’হাতে মুখ ঢেকে।
আছ..কী..কেউ???
বাঁচাতে আমাকে?
ঐ যে দেখ, সূর্য উঠছে আজ।
এখনও সূর্য উঠে পৃথিবীতে,
চাঁদ উঁকি দিয়ে যায় রাতে!
ঐ যে দেখ, সূর্য উঠছে আজ,
সূর্য ডুবে গেলে,
জেগে থাকবে চাঁদ!
জেগে থাকবে ঐ তারা ভরা আকাশ।
আমাদের দেখা হবে,
উজ্জ্বল সূর্যের নিচে,
চন্দ্রিমা রাতে!
আমাদের দেখা হবে,
এক নতুন পৃথিবীতে!
যতদিন পাখিরা গাইবে গান,
ফুলেরা হাসবে,
মেঘবালিকারা ভাসবে আকাশে,
নদীরা বিলীন হবে সাগরের বুকে,
প্রেমিক চুমু খাবে প্রেমিকার ঠোঁটে,
যতদিন পৃথিবী বাঁচবে…,
ততোদিন..মানুষ থাকবে বেঁচে!
মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে,
সেদিনও, বলবো, “বন্ধু কেমন আছ?”
আলিঙ্গনে জড়াব তোমায়,
ভালোবাসার নতুন অভিঘাতে।
অসংকোচে চুমু খাব,
তোমার ঠোঁটে।
আমাদের আবারও দেখা হবে,
এই আদিম পৃথিবীতে।
আবারও জড় হব আমরা কোন এক ফ্লাগুনে,
সেদিনও কোকিল গাইবে গান,
কচি আমের মুকুলের ফাঁকে!
আমাদের দেখা হবে বইমেলার ভীরে,
মঙ্গল শোভাযাত্রায়, রমনার বটমূলে,
হালখাতা আর নবান্নর উত্সবে!
আমাদের দেখা হবে…!
দেখা হবে নতুন এক পৃথিবীতে!
উজ্জ্বল সূর্যের নিচে,
চন্দ্রিমা রাতে!!
মন টিকে না ঘরে,
দিনরাত্রি কাটছে আমার
লকডাউন আর আইসোলেশনে,
কাটছে সময় বন্ধু বিহনে!
দিনের আলো ছড়িয়ে যখন পড়ে,
মন টিকে না ঘরে।
ডাক দিয়ে যায় ভোরের পাখি,
শুনে তাদের ডাকাডাকি,
হৃদয় আমার উথালপাথাল করে,
মন টিকে না ঘরে!
ইচ্ছে করে মেঘের মত ভেসে,
চলে যাই ঐ দূরদেশে!
কভিড-১৯, যারে…, এবার যারে…,
মন টিকে না ঘরে!
এসে গেছে সামার,
গাছে গাছে ফুলের কত বাহার,
উড়ু উড়ু মন যে এখন আমার।
সাগর যেন ডাকছে বারে বারে,
মন টিকে না ঘরে!
এই ভালোবাসা মুখচোরা,
মেঘ বালিকারা যায় ভেসে,
আকাশের ঐ নীলখামে,
চিঠি পাঠায় আকাশজোড়া!
আকাশের ঐ নীলখামে,
চিঠি আসে কুয়াশা মেখে!
ভালোবাসা বৃষ্টি নামায়,
আমার উঠোনে জল জমে!
এই ভালোবাসা মুখচোরা।
কালবৈশাখী পাগলপারা,
ভালোবাসা আজ দিশেহারা,
এসেছে আজ পথভোলা,
তবুও তুমি দাও না ধরা!
এই ভালোবাসা মুখচোরা!
চিঠি পাঠাও আকাশ জোড়া,
তারা হয়ে মিটিমিটি,
জ্বলে তোমার লেখা চিঠি!
চাঁদনি রাতে আলো জ্বেলে,
আকাশভরা জোছনা ঢেলে,
হবে আমাদের বাসর গড়া!
ঐ সুদূরের পথ চেয়ে,
বসে আছি একলা ঘরে,
বেলীফুলের মালা হাতে,
আসবে তুমি কোন প্রাতে!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..