প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ধবধবে সাদা যেন পাখি এক
কিছুটা মেঘ মেঘ ভাববার আকাশ
তবু কাশফুল, বৃষ্টি মাখিও না আর
তার হৃদয় যখন গভীর অসুখে ভোগে;
সেখানে কিছু রোদ মাখাতে ইচ্ছে হয় আমার
এই শ্রাবণে
অসুখ আর রাত্রি যেন সহোদরা
প্রনয় থেকে প্রয়াণ দূরত্বে
প্রখর খরতাপ থেকে ফিঁকে জ্যোত্স্না
অসহ্য মুমূর্ষ আলোহীনতায় ভুগে ভুগে
কিছু অসত্ সময়ের অষ্পষ্টতাকেই
স্বাক্ষর করে যাওয়া রুগ্ন বিষবাষ্প
লীন করে দেয় নির্মম পবিত্রতা
তোমার হৃদয় যেখানে গভীর অসুখে ভোগে;
কেবল সেখানেই কিছু রোদ মাখাতে ইচ্ছে হয় আমার
এই শ্রাবণে
ছুতোরের মেয়ে এক্কা দোক্কা খেললেই
ফুরিয়ে যায় দিন, রাত কী ঘনায়?
সন্ধ্যাতারা বিষণ্ণ হলে চাঁদের কী এসে যায়
এসবের পাশ ঘেষে দুলে দুলে কেঁপে ওঠে
রিকশার পর্দা, ঝুক করে ওঠে মন।
আকাশ ফুরোতে ফুরোতে কার চোখে ঢুকে গেছে
ওখানে রঁদেভু লিখে দিলেই উল্লাস খেলা করে
আর নিঝুম হয়ে থাকা। এসবের পাশেও
করুণ মুখ করে এমন সব উড়াল লেখা থাকে!
নাম ধরে ডাকলেই ভেঙে পড়ে শব্দের ঘ্রাণ
নতজানু দৃষ্টি ভরা ময়ূর নাচ, ফেরারি ডাকঘর;
শিরার ভেতর ঝমঝম বৃষ্টি আর ম্যাগনোলিয়ার ঝাড়
এমন সব কবিতায় খুব আঙুলের সাক্ষাতকার।
সারানিশি চাঁদ সাথে করে হেঁটে হেঁটে পৃথিবীর
তাবৎ পাখির ডাক, স্পর্শের মাদুলি পিডিএফ হয়ে যায়।
বৃষ্টিকামুক দিনে তীব্র শীত এসে গেলে
টেনে নামাই লোকাল ট্রেনের সাটার।
একই শরীরে লিখে রাখা যায় ভিন্ন ভিন্ন ব্যথা
কতশত কান্না
আর ক্রন্দনের পাশে ক্রমিক হাসি বুনতে না পারলে
বুকফাটা বাদামের খোসার মতই বারবার বাইপাস হবে
আবার ফুরাবে আকাশ, ঢুকে যাবে কার চোখে!
একদিন আয়ুর উল্টোপিঠে কোমল আগুন লিখে দেবো
হৃদয় জুড়ে বোঝাই বকুল, ফিকে হয়ে আসা গোলাপী
আর নাক ডুবিয়ে রাখা চুলের গন্ধ দিনমান
আঙুলের ভাঁজে আঙুল রেখে হাঁটলে পথেরও
কান্না পেয়ে যাবে
আর তখন হাতের তেলোয় ফুটে উঠবে এক প্রকৃতই ঝাউবন।
কালো জামায় তীক্ষ্ণ চোখের পাশে এক ঘাসফড়িঙও থাক…
ভীষণ ভেঙ্গেচুরে আছড়ে পড়ার মতো
তীব্র মরশুমে মাশরুম ফুটে থাকে
এই সমস্ত মনে পড়া গুলো কেমন!
একটা কুকুর দ্রুত ছুটে গেলেও
একটা ফুল ফুটে উঠলেও
ইজের উড়িয়ে নেয়া বাতাসে মিশে থাকা
ফ্লানিলের হাহাকারে; রোদজুড়ে অতসী
অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ অসুখের মতন
একটা চুম্বন এমন, বিদ্যুৎপৃষ্ঠ
অথবা সশব্দে কাঁচ ভেঙ্গে পড়া
শুক্লপক্ষের চাঁদের ভোগে বিলিয়ে দেয়া
এমন তেমন বিজ্ঞাপিত আয়োজন।
ও বংশীবাদক! জোছনাপ্লাবিত রাতে
জোনাকের তেমন প্রয়োজন নেই;
লাইমস্টোনের মত ফুটে থাকা মোহরের দানা
অমাবশ্যায় জ্বলজ্বলে উপকূলের মত
ছড়িয়ে দিলে, মনে পড়া যেতে পারে।
জ্বর জুড়ে আজীবন এক নাম,
পরিণাম, সর্বনাম বা অপনামেও
জড়িয়ে থাকে, এমনই তো মনে থাকা
চোখ ও মুখ অদৃশ্য হলেই
কুশল ঝরে যায় খুব, দিন রাতে
মনে পড়ে এপাচিদের গ্রাম
ধারালো কুঠারের ডগায় নৃত্যরত মাছি
ভনভন করে আয়ু গিলে খায়।
যে মানুষ বিপ্লব করতে নামলেই
রমণীরা লেপ্টে যায় বুকে
এই সমস্ত বুকের ছাতি চল্লিশ
মন সংকীর্ণ, শীষ বাজলেই বেড়ে যায়
কারো স্তনের পরিধি ও আয়তন।
স্তন- এক প্রচণ্ড সেন্টিমেন্টাল শব্দ
যুদ্ধ, বিগ্রহ, পূজো, অর্চনা, আর
মোল্লা থেকে পুরুত, পাদ্রী থেকে শিশুর মুখে
সর্বতোভাবে এঁটে যায়। যেন চাঁদমামা।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..