প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
সবকিছু পয়মাল করা লোকটাও অবশেষে সংসারের তেশ মারতে গিয়ে দেখলো সং মানে গান নয়, সঙ এর বিবর্তন…
সঙ সেজে বাঁচা মানে রেলের স্লিপারে সাইকেল চালানো জোকার জীবন-পড়ে গেলে যদি ব্যথা পাও তবে ছুঁড়ে দাও দেঁতো হাসি; কেউ মরে যায় পুরুষ মৌমাছির মতন ফেরোমেননের গন্ধে সুখ খুঁজে…
কেউ ভেক ধরে বনে যায়, তামাম দুনিয়ায় এখন উজাড় হচ্ছে বন; কেউ আর বনে যায় না, পালানোর মার্গে সটান ফুলস্টপ;
গোপনীয়তাও বিক্রি হয় এখন, এই বাজারে সকলেই উৎপাদক, ক্রেতা, বিক্রেতা…
এভাবেই বেঁচে আছে মানুষ মান্দার গাছে পিরিত বেঁধে-সঙ সেজে…
ঢলানি সাকির চোখের অতলে
মাছ শিকারি হতে গিয়ে
মগজে ঢুকে গেল কসমিক সিগন্যাল,
তীর ছোঁড়ার মুহূর্তে চোখের বারান্দায়
নেমে এলো কৈলাসকালের ভুলভুলাইয়া।
অসাড় ইন্দ্রিয় সটকে গেলো
নহবতের জৌলুস থেকে…
ঘুমের চাদরে মুড়িয়ে ষোলোকলা দেখানো
ছলাকলা হাত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে
এই আগন্তুক শরীর।
এই ঘোরে ঘোর আনন্দ আছে বটে
ফিরে আসা যায় বলে,
মরে গিয়ে যদি ফিরে আসা যেত!
চাঁদের গায়ে জামা পরাতে চাওয়া কপটেরা
সূর্যের মাথায় জল ঢালার প্রয়াস দেখায় শীতলতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে,
মিথ্যেরা দশ গ্রাম ঘুরে ঘরে ফিরলেই
নাম বদলে সত্য হয়ে যায়!
এভাবেই বহু মিথ্যে হয়ে গ্যাছে
যুধিষ্ঠিরের জারজ।
যারা জানতো পেন্টাকলের সত্য ভাষা-তারা মূলত খনার উত্তরাধিকার—
তাদের জিহ্বা কেটে নিতে তেড়ে আসে আফিমখোরের দল।
মিথ্যেরা রোজ কাবুলিওয়ালার বেশ ধরে শিশুদের বাড়ি বাড়ি যায়
ঘুম বিক্রেতা হয়ে-ঘুমপাড়ানির মাসীরা জলে ডুব দেয়
অচ্ছুৎ হবার ভয়ে- পিসিরাও দৌড়ে লুকায় তুলসীর ঝোপে;
হেসে ওঠে রাত্রি- অন্ধকারের মৃত্যু হলেই তো
জেগে যাবে সব শিশু-যেভাবে আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে সকাল।
একটাও কি নেই শরীরের দোকান!
শহরে কি একটাও নেই শরীরের দোকান!
ওখানে যেতে কার আঁতে ব্যথা লাগে?
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দোকানিরা
ঝাড়ু দিয়ে জল ছিটিয়ে দেয় আর
আপনার জন্য এঁকে রাখে আবাহনী মুদ্রা,
তীব্র ক্ষুধাকে অন্তর্বাসে ঢেকে
ভক্তির করুণা ঢেলে,
ওরা জ্বালায় সুগন্ধি ধূপ;
দূর থেকে যখন ভেসে আসে মাগরিবের আহবান—
ওরা তখন ধূপদানি হাতে পায়চারি করে
দীর্ঘশ্বাসের পাটাতনে। ওখানে তুলসীতলা নেই—
নেই কোনো আরাধ্য উপাসকের রেহেল,
তবু দোকানটা মন্দির- ধর্ম যেখানে বেঁচে থাকা—
শরীর সে দোকানে পণ্য— ওখানে বিক্রেতার প্রার্থনা
ঘুরপাক খায় চার দেয়ালের মাঝে— একটা তুমির জন্য।
অথচ দোকানের চারপাশে আপনার আমার ভিড়—
কেউ খদ্দের নই, উৎসাহী পর্যটক;
যেন দোকানগুলো একেকটি পার্ক।
এখানেও বাদামওয়ালা আসে, চায়ের দোকান আছে—
মালাই বেচা গান বাজে— আবার হাওয়ায় ভেসে
পুলক পেতে ভোলানাথের প্রসাদও আছে।
দেয়ালের কোনায় কোনায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা
বিষণ্ণ ক্ষুধার শরীর কখনো টেনে ধরে আগন্তুকের হাত,
ধমক খেয়ে কেউ ছুঁড়ছে
তপোবনে আসা ব্যর্থ মেনকার বিদ্রূপ।
সেই একই বিদ্রূপ নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ানো মেয়েটি
চিৎকার করে বলছে—
শহরে কি একটাও নেই শরীরের দোকান?
দয়া করে সেখানে যান,
তবু রেহাই দিন আমাদের শিশুগুলোকে!
সাপ ব্যাঙ খেয়েছিলো বলে
মেয়েটির আফসোস ছুঁয়েছিলো আকাশ
তুমি তাকে শিখিয়েছিলে
বাস্তুসংস্থানের ব্যাকরণ।
মেয়েটি এখন পরিবেশমন্ত্রী;
দেদারসে গিলে খাচ্ছে
বন-নদী-পাহাড়,
আমাদের আফসোস স্ফীত হতেই
সে উঠে দাঁড়ালো উন্নয়নের তসবি হাতে।
এককোষী জীব থেকে
ধীরে ধীরে শিরদাঁড়াওয়ালা জীবন;
পুরুষেরা এই বিবর্তন শিখে হয়ে উঠছে
বন্ধু থেকে প্রেমিক
প্রেমিক থেকে ধর্ষক
ধর্ষক থেকে খুনি।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..