হাল
সুখানুভূতি সুখানুভূতি মেরে এনেছে।মাল খাওয়ার পরে। এদিকে টাল খাচ্ছে হাওয়া।উড়ে যাচ্ছে আমপাতা।ইমামবড়ার ভক্তিপূর্ণ আবহাওয়া। আমরা…..
বিরুদ্ধ সময়
এক বিরুদ্ধ বিকেল পেরিয়ে
তোমার সান্নিধ্যে এসে বসি
আমার যাবতীয় ক্লান্তি তুলে দেই তোমার শিয়রে
পাথর চাপা বুকে নিঃশ্বাসেরা দীর্ঘশ্বাসে রূপান্তরিত হয়
কাঙাল চোখে নিষ্পলক চেয়ে থাকি সন্ধ্যের অপেক্ষায়,
আমার পরিযায়ী মন নির্ভরতা খুঁজে ;
বুকের জমিনে এক টুকরো বাতাসকে জীবন ভাবে।
সন্ধ্যেটা বড্ড ক্ষণস্থায়ী,
দূরে মেঘেদের ডাকাডাকি, কালবৈশাখীর আনাগোনা
ঝড় আসবে বেতারে আগাম সংকেত
আমার ভেতর ভাংচুর
একরাশ প্রত্যয় নিয়ে তোমার পানে ছুটি
বিক্ষিপ্ত মন তোমার উঠোনে পায়চারি করে
এক ভালোবাসাময় ভোরের প্রতিক্ষায়,
ঝিঁঝিঁর আলো নিভে যেতে যেতেই ভোরের পাখি
জানান দেয় অপেক্ষার সময় দীর্ঘতর।
বিশ্বাস
তোমার ভালোবাসার চোখে আমি বিশ্বাস খুঁজি
অথচ তুমি প্রতিটি মুহূর্তকে অতীত ভাবো
আমার বিশ্বাসী চোখ আস্থা হারায়
জীবনকে পলাতক করে তুললে
তুমি তার নাম দাও ব্যাকডেটেড।
সর্বস্ব সঁপে দেওয়ার মুহূর্তকে আমি বুকে আগলে রাখি
অথচ তুমি তাকে শুধুই উপভোগ ভাবো
যদি একাত্মতা মনে আঁচরই না কাটে
তাকে অন্তত ভালোবাসা বলো না।
তোমার হয়তো প্রেমিকার অভাব নেই
কিন্তু আমার সর্বস্ব তুমি।
একটা শেষ চুম্বন ও তার মৃত্যু
তখনও কেউ ছুঁয়ে দেখেনি বসন্তের পারিজাত
একটা ধূসর বিকেল পেরিয়ে রাত আসার কিছুটা সময় এখনও বাকি ;
নৈঃশব্দ্যের মৃদু কোলাহলে আসন্ন ভোরের পদচারণা
এক প্রেমিক সকল ব্যস্ততা বিছিয়ে ছিল প্রত্যহের অগ্রভাগে
মৃদু ভর্ৎসনায় দিনশেষে মৃত্যু হয় তার প্রেমিকা।
অথচ তাকে সজীব বৃক্ষ ভেবেই বেড়ে উঠেছিলো পরজীবী লতাটি
দীর্ঘশ্বাসের একশ একটি গল্প নিয়ে হাজির হলে
উপেক্ষায় নামাঙ্কিত হয় তার প্রতিটি চরিত্র;
অবহেলার একটা পাহাড় বুকে নিয়ে ফিরতে হয়
শ্মশানের কাছাকাছি।
সুখানুভূতি সুখানুভূতি মেরে এনেছে।মাল খাওয়ার পরে। এদিকে টাল খাচ্ছে হাওয়া।উড়ে যাচ্ছে আমপাতা।ইমামবড়ার ভক্তিপূর্ণ আবহাওয়া। আমরা…..
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
নিজেদের ভেঙে পড়া ঝনঝনানি শব্দে প্রতিটি ভোর হয়। ভাঙা টুকরোগুলো নতুন অবয়বে জুড়ে দেয়ার…..
অচেনা আমি হতাশার নোনাজল ঢেউ খেলে হৃদয়ের আঙিনায়। ভাঙনের সুর মাতাল অগ্নি ঝরা সায়াহ্নে আঁধার…..