একটি কথোপকথনের বানান ভুল

অভিজিৎ দাসকর্মকার
কবিতা
Bengali
একটি কথোপকথনের বানান ভুল

দপদপ করছে কার্বনধ্বনি

রক্তকণার সাথে বাজতে থাকবে পুরোনো গানের ওপারের সেই নিশিপদ্ম
এবং
অন্ধকার ছাদে বিশ্লেষণ করা সিন্ধুসভ্যতা।
আমার কলারে দপদপ করছে কার্বনধ্বনি এবং নির্যাস কুড়াচ্ছে সর্বনাম হারা অভিজিৎ।
প্রাচীরের ওপারে অভিযোজিত হচ্ছে রাতবাতির আশ্চর্য রং। আমি কারণটা উল্টে নিয়েছি আর
শরীরের কেন্দ্রবিন্দু থেকে শব্দগুলি পালঙ্কের বাজু ধরে নামছে। ঘাম নামছে। অনেক দিনের টেকসই হওয়া পারদ নামছে।
কার্তিক মাসের পাশাপাশি ধারালো মনভাবে চিড় ধরেছে। ধূলো ধরেছে।
স্বপ্নের যোনিতে ছোঁয়াচ উড়ছে~মাছি~পাখি ~ভাইরাস,অথচ
৭টা ৪৮মিনিটে সময় বদনসিব দাঁড়িয়ে। সকালের নরম শুভেচ্ছা। আজ ঠাণ্ডা লাগাটা বিন্দাস, বেশ কম লাগছে।
বেলা গড়িয়ে চলেছে ~কপাল ~পালসরেট~আলপথ~নদী, আর
পিথাগোরাসের হাত ধরে বৃত্তের ভিতর মধ্যাহ্নের চাহিদাপূরণগুলো বাড়ছে। কালবৈশাখী। আর
অতিভুজ থেকে সরিয়ে আসছে নীল আকাশের অহংকার।
এরপরও
আমি তিতিবিরক্ত করা ঘন ফ্রিজের জল ঢকঢক করে মনখারাপের পিছনে লুকিয়ে চলেছি-

 

বিক্ষুব্ধ সুষুম্নাকাণ্ডের

|কালো মেঘ| ৩ টে ৩৬ মিনিট। রাস্তার দিকে চেয়ারে বসে ~ বসাতে শরীরের আরাম। তার রাইরে কতো কবিতা সামনে এসে বলে আজ ৮ই সেপ্টেম্বর।

যদি ভাবাবেগের প্রচ্ছন্নতায় নদীবাহিত নুড়িগুলি বিকেল ভাঙা জারি করতো, বা
বেজার রোদের গোপন গদ্যের ভিতর বাড়ি ফরতি শোয়ালো শোয়ালো লিটল শোয়ালোরা কিচিরমিচির বিনুনি করতো, কিংবা
আয়নার সামনে বসে জ্যামিতি করতে করতে বিকেলের মাথুর মোড়ে দাঁড়িয়ে সনেট লিখতো, তাহলে
অলীক এবং
দৃষ্টিহীন শুখ নির্ধারণ করা যেতো হলুদ আশাবরী আবহে-

তোর কোলের অববাহিকায় মেঠো পথ আর সোঁদাল গন্ধ পুরিয়া রাগ এবং বেদনার বিবর্তন রচনা করে, তখনও তোর
নীল পিওর সিল্ক শাড়ির ভাঁজে শ্রাবণ দুপুর হুসহুস করে বাতাস হয়ে যায়

আমি অনর্গল পদ্য লিখে যাবো বৃষ্টি,সাপটা দেয়া তোর কান্না
আর –
বিক্ষুব্ধ সুষুম্নাকাণ্ডের ভারসাম্যহীন গোপন সংলাপের-

অনেক বড়ো বড়ো ক্লান্তি। না, খাইনি ঘিয়ের শিঙাড়া। যাই চৌকাঠ পেরিয়ে ~ গণিত করেছি। সাইকেলে বেল বাজিয়েছি। ~এখনো ক্যালকুলাস করছি।

 

একটি কথোপকথনের বানান ভুল

তোমার বানানের ভিতর ঢুকে ক্যাচাল করে আসবো,সেদিন

বুঝবে

কু-শিক্ষা বলার জ্বালা
হ্যাঁ বুকের লোমের কূপ চিরে, হুলাবালু করে অক্ষর,
সঠিক কথা
পুরাতনভাবে বলছি, মা নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল,আর
তার কোনো দোষ ছিলনা

তুমি

১টা যুক্তি দেখালে,আমি অহংবাদে
তার গণিতবাদে
সেই যুক্তিফাটলের ভিতর ঢুকে পোস্টমর্ডানিজম করে আসবো

বুঝবে

স-ঠিক নাকি বে-ঠিক, কোনটার প্রেফিক্সে অ-সংযম বসে
রয়েছে
আকাদেমি তো বয়স্ক, তবুও
ধুলো,বালি,নীচ, উপর, কোনো কোনো সময় বেশি করে
মেল বডিতে টাইপ করি

বুঝবে

এগুলো যখন মিছিল না করে জুলুস করবে,তখন
আঙুলও হয়ে যাবে বিষমবাহুর ঢ্যামনা ফণা,
ধ্যাৎ

আমি শুধু লিখবো আর তোমাকে বয়কট করবো,যখন
শব্দগুলো প্রচুর ঢং করে পেকে টুসটুস করবে

অভিজিৎ দাসকর্মকার। কবি। জন্ম ও বাস ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের বাঁকুড়ায়।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

শঙখচিল

শঙখচিল   অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..