প্রেমিক
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই তোমার একটি রাত
রাতের মুহূর্তগুলোকে কামড়ে খেতে চেয়েছিল আপেল অনভিজ্ঞতা
শুনতে পেয়েছিলে তুমিও
কীভাবে বয়ে যাচ্ছে নদী স্রোত প্রবাহমান শিরায় শিরায়!
কীভাবে প্রশ্নেরা পিয়ানোর সুরে মাতাল
সৃষ্টিতে আত্মমগ্ন।
দুই
এভাবেই পিছলে যেতে হয় শব্দের শিৎকারে
অনন্য অনুভূতিতে
শ্রাবণের শেষ বেলায় এত বৃষ্টি হলে
পায়ের কোন দোষ থাকে না।
মন আজন্ম তোমার অনুরাগী
বিদায়কালে সব আগের মতো
তোমার আমার মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখেছে
মহানগরীর স্পর্ধিত ঠোঁট।
তিন
নাভিপদ্ম থেকে দূরত্বের অসফল অভিযানেও
শ্রেষ্ঠ শিরোপার মুকুট তোমার মাথায়
মনের অলিগলিতে বন্য প্রশ্নেরা নীরব চিরকাল
শুধু জলপাইপাতায় ঝরে পড়বে দীর্ঘশ্বাস
প্রশ্নেরা তোলপাড় করবে শুকনো মহানন্দায়।
চার
অন্তরালের প্রতিনিয়ত ক্ষয়ে যাওয়া ক্ষয়
আন্দোলিত প্রশ্নের মীমাংসায় বলবে
তুমি শ্রাবণের আলেয়াআলো
চোখের পাতায় বহু যত্নে লালিত স্বপ্ন
শব্দের আঁচড় কামড়ে খুঁজে চলেছ নতুন পান্ডুলিপি
ভুলে গিয়েছ কত সহজে আমার প্রথমপাঠের অধ্যায়
একটি রাতের স্মৃতিতে প্রত্যেকটি রাত অক্লান্ত শ্রাবণ ঝরায়।
পাঁচ
ভুলে যাওয়া সহজ হলে আমিও ভুলে যেতাম সহজে
মুঝে ফেলতাম আমার শরীরে লেগে থাকা তোমার শরীরের গন্ধ
তোমার কাছে রেখে এসেছি আমার সমস্ত ভয়, লজ্জার পুষ্পপত্র
ব্লাক কফি কাপে ঠোঁটের মিষ্টিতে মিশেও
মিশে যেতে পারেনি তুচ্ছ ভালোবাসা
সঙ্গমে নেহাৎ অপ্রয়োজনীয় বলেই আমি পুরোনো সাল
দেওয়ালে ঝুলন্ত ধূলোমাখা আস্ত ক্যালেন্ডার।
ছয়
তুষের আগুনে জ্বলছে সারাংশ
ভূমিকায় অতৃপ্তি খুঁজে চলেছে সুপ্ত ঠোঁটের আগুন
শুরু ও শেষের মধ্যে যে বিরতি
আমার চেতনা জুড়ে তোমার অস্ফুট শব্দ
অস্তিত্বের কুয়াশা হিমশীতল বরফের ফাটলে আগুন
তৃপ্তির সাগর চেয়েও উদাসীন!
আরও এক উদাসীনতা শরীর জড়িয়ে নিচ্ছে
বরফ শুষে নিয়েছে কল্পনার লীলতাপ
জীবাশ্মমুখে আগুন তুলে কথা দিও একবার
আমরা আর ঝগড়া করবো না পরজন্মে…“
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..
স্মৃতি চাঁদের আজ দুঃখ পাবার কিছু নেই ! সবুজ পৃথিবীতে আজকের এই বিকেলে আকাশে উড়ে…..
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..