প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কবিতা কেন পড়ি?
যখন মাতৃগর্ভে ছিলুম, তখন কান পেতে শুনতুম মায়ের হৃদয়ের ধ্বনি- লাবডুব… লাবডুব…লাবডুব…
পৃথিবীর আলো দেখলুম যেদিন, সেদিন সেই অতিপ্রিয়-পরিচিত-শব্দ বিচ্ছিন্ন আমি চীৎকার করে কেঁদে উঠেছিলুম।
তারপর জননী যখন আমাকে তাঁর বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরলেন, আমি ফিরে পেলুম প্রিয় শব্দ আর সেই লাবডুব ছন্দের তালে তালে মা ছোট্ট ছোট্ট চাপড় মেরে আমায় ঘুম পাড়ালেন-
‘সোনা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কীসে?’
ব্যস, সেই মুহূর্তে ছন্দের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়ে গেল। সুরের সঙ্গে সখ্য তৈরি হলো।
তারপর দীর্ঘ এক বড় হয়ে ওঠার পথে পথে মা ছড়িয়ে দিলেন তাঁর গান আর কবিতার ডালি, বাবা সেসব সাজিয়ে তুললেন আবৃত্তির সাজে, আর পিসেমশাই শিখিয়ে দিলেন- নিজে নিজেই কেমন শব্দের সঙ্গে শব্দের সম্পর্ক তৈরি করে ব্যক্ত করা যায় নিজের মনের একান্ত ভাবটিকে। আলাপ হলো বাড়ির দেওয়ালে বাঁধানো ছবিতে সাদা আলখাল্লা পরা এক ভদ্রলোকের সঙ্গে। মা বললেন, ইনি রবি ঠাকুর। আর এই হলো তাঁর ‘সঞ্চয়িতা’।
ব্যাস, আর আমায় পায় কে! কবিতার সঙ্গে পথচলা শুরু হয়ে গেল। তখন আমার ঠিক ছ’বছর বয়স। ছোট্টবেলার অভ্যেস আর কি ছাড়া যায় কখনো?
জীবনের চড়াই উৎরাই পেরোতে গিয়ে পাশে কবিতার মতো বন্ধু আমি আর কাউকে পাইনি। যখনই অন্ধকার কুয়াশা এসে আমার পথ ঢেকেছে, কবিতা এসে পিঠে হাত রেখে বলেছে,- ভয় নেই। আছি। আমি আছি। আর আজ মনে হয়, শুধু আমিই কবিতাকে পড়ি না, কবিতাও মাঝে মাঝে আমাকে পড়ে ফেলে।
কবিতা কেন লিখি?
কেন যে লিখি, সেটি বুঝে ওঠার আগেই লিখতে শুরু করেছিলুম। তবে সে ভারী মজার ব্যাপার। আমিই লেখক আর আমিই পাঠক। ডায়েরির পাতায় বন্ধ সব লেখারা। যখন যা মনে হত, সবই লিখতুম, ভাবতুম কবিতা লিখছি। আমার চরিত্রটি আসলে এক একলা মানুষের। সবার মধ্যে থেকেও আমি একলা হয়ে যেতে পারতাম। আজও পারি। কিন্তু সেই একলা মানুষ তো অনর্গল নিজের সঙ্গে কথা বলে যায়! আর সেই কথারা ভর করে খাতার পাতায়।
এমনও হয়েছে, রান্নাঘরে রান্না করছি, আর কিছু একটা মনের মধ্যে ‘দে দোল দোল’ করছে, আর আমি তেল হলুদের হাতে রেফ্রিজারেটরের মাথায় রাখা খাতায় সেটা লিখে রাখছি। সংসার, চাকরি, সন্তান, অশান্তি,- কেউ আমার সে খাতা কেড়ে নিতে পারেনি। বাড়িতে অতিথি আসুক বা নাই আসুক, ঘরটি আমি যেমন নিজের ভালোলাগার জন্যই সাজাই, তেমনি আমার কবিতাদের আমি শুধু আমার নিজের বেঁচে থাকার জন্য লিখে গেছি। কখনো ভাবিনি, কেউ পড়বে, কাউকে পড়াতে হবে। বই টই বেরোনো, সে সব তো অনেক পরের ঘটনা। সে গল্প আরেকদিন হবে’খন।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..