শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
রোহিনীর মতো জড়িয়ে রেখেছিল কিছু বোধ;
তারা আজ পরিত্যক্তা। সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে
পথের দু’ধারে। কোনো প্রতিবাদ নেই,
নেই অবরোধ; আছে শুধু অপূর্ণতার ক্লান্তি।
তবু আনমনে এগিয়ে এসেছি কতদূর–
যেন সমারোহ শেষে ধু ধু প্রান্তর,
বুকে যার অনিবার্য শূন্যতা।
মানচিত্র ক্ষয়ে ছোট হয়ে এসেছে পৃথিবী,
সালফারের ঝাঁঝাঁলো গন্ধে শ্বাসরুদ্ধ প্রায়, গন্তব্য অস্পষ্ট।
এবারে থেকে যাওয়ার পালা সংক্ষিপ্ত…
একাকীত্বের উষ্ণতায়।
যেমনটা ঠিক ভাবছ তুমি,
শ্রাবণ তোমার তেমনি কোথায়?
মেঘলা আকাশ বৃষ্টি তো নয়,
কেমন যেন আগুন ঝরায়।
জানলা জুড়ে লাগছে সে আঁচ,
জ্বলছে কিছু শুকনো আবেগ;
তোমার প্রেমও সমসাময়িক,
একটু না হয় থাকুক সে রেশ।
আবার কবে কোন লহমায়,
অতীত হবে এসব কথা;
তখন কোনো একলা রাতে,
এসব কথাই ভীষণ ব্যথা।
যেমনটা ঠিক ভাবছ তুমি,
আমিও যদি তেমনি ভাবি;
দেখবে কেমন পথ পেরিয়েও,
থাকবে কিছু নি:স্ব দাবী।
নামমাত্র সৌজন্যবোধ নিয়ে সমান্তরাল এই পথ চলা;
মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ-এর রেখায় ঠিকরে যায় গতিপথ,
নৈঋতের মতো কেউ এগিয়ে আসে রক্তচক্ষু নিয়ে।
হোঁচট খাওয়া শক্ত পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল জানে…
আরো অনেকটা সহজ রাস্তা পার করলেই
বিপর্যয়ের বাঁক; যে বাঁকের জন্য এগিয়ে চলা
মসৃণ পথে।
শেষটুকু হোক দুর্যোগের; হয় নি:শেষ হবো
নয়তো বেঁচে উঠব এজন্মের মতো।
খুঁজে যাই নিজেকে অবিরত,
কুয়াশার জাল। দৃষ্টি আহত।
নিয়েই চলেছি সব; দিয়ে যাইনি।
জমে থাকা কত অভিলাষ,
শরীরে পড়েছে ধুলো; মনেই নিবাস।
তাদেরও ঠিকানা চাইনি।
কখনো হেরেছি বা জিতেছি। সঠিক।
ফিরেও দেখিনি, সে কোন দিক;
স্মারকও তো কিছু পাইনি।
শুধু এঁকেছি শব্দের হিজিবিজি,
যা কিছু লেখা, কবিতার মর্জি।
হয়তো সেভাবেও হারাইনি।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..