যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
ইচ্ছে আছে একদিন হুজুর গরীব নওয়াজ-য়ের দরগায়
যাবো, অবশ্য এখন মনে মনে রোজ যাই
অবরে সবরে ভোরে কি সন্ধ্যায় , রাতে কি দুপুরে
ঘুরে আসি মরু রাজস্থানের রাজ আজমীর শরীফ ,
বিষয়-চিন্তার অপ্রদীপ মনে পরাজাগতিক
প্রভাব ছড়ায় বলা যায় খাঁখাঁ ধুধু খরায়
শিরীষ ফুলের মৃদু আতর যেমন , এলাচের
গুঁড়ো , ঝুরো ঝুরো দারচিনি দেওয়া ফিরনি
এবং সৈন্ধব লবণ মাখামাখি , জোনাকির
আলো আঁধারির ফুলকি ছড়ানো এক
সৈকতের চাঁদোয়া আকাশ , সেই শিরিন
আসন-তলে দলে দলে মুরিদ দরবেশ রবাহূত
জড়ো হয়েছেন দোওয়া দরুদ ক্বিরাত পাঠের
অবসরে ঐশী সান্নিধ্য দাক্ষিণ্য দয়া পাওয়ার আশায় ।
সেই ভরসায় বুক বাঁধি, সাধি একান্ত এরাদা রাতদিন ।
পাখিগুলো দেখে
পাখিগুলোর স্বাধীনতা দেখে
যারপরনাই মুগ্ধ হলাম ।
এপারে দাঁড়িয়ে আছি কাঁটাতার বেড়া আর
সীমান্তের কড়া পাহারায়, যাওয়ার উপায় নাই,
মন ছুটে যায় ময়মনসিংহের নদী, দর্শনা
আখাউড়া শ্রীহট্ট শিলাইদহের কুঠি কক্সেস বাজার—,
কতো কিছু দেখার বাসনা আজীবন,
পাশপোর্ট ভিসার ঝক্কি ঝামেলার সাথে
পাচারকারী অনুপ্রবেশকারী উগ্রপন্থী আতঙ্কবাদীর
কানাঘুষো তক্কে তক্কে থাকে, যাকে বলে সন্দেহের
চোরা স্রোত, জোতজমি বাগান ফসল সংসার
সব কিছুর টাটকা প্রমাণপত্র সাথে নিয়ে
ঘোরো , তাতেও মারপ্যাঁচের অনেক জুলুম ।
ঘুম পাড়ানিয়া গান মনে আসে বটে এমন
উদ্ভট সব কুনাট্য-সভায় ….
পাখিগুলোর সেসব বালাই নাই, ক্যামন্ সহজ
সাবলীল ভঙ্গিমায় উড়ে উড়ে দিব্যি ওপারে এপারে
যায় আসে খায় দায়, ঘর বাঁধে
আপন মর্জি মতো যেখানে যেমন খুশি
যখন যেমন খুশি, সতত স্বতঃস্ফূর্ত সজীব চঞ্চল
সীমান্ত-ভিসার কুটিল ধারণা-মুক্ত, অবাধ স্বাধীন ।
পাখিগুলোর এমন স্বাধীনতা দেখে এই প্রথম
ঈর্ষা বোধ করলাম মনে মনে, তার জন্য
পরক্ষণেই আমার এমন মানসিক ক্ষুদ্রতায়
লজ্জা বোধ করলাম, আড়ষ্ট হলাম
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..