এক্স এবং ওয়াই ক্রোমোজোমের খেলা

পিয়াল রায়
কবিতা, প্রবন্ধ
Bengali
এক্স এবং ওয়াই ক্রোমোজোমের খেলা

কবিতা কেন পড়ি বলতে গেলে যে চমৎকার উত্তরটি আমার কাছে আছে তাহল নিজেকে বোঝার এরচেয়ে সহজ কোনো বিকল্প আমার কাছে নেই বলে। একটুআধটু লিখতে যখন পারি, তখন কবিতা কেন লিখি এর উত্তর হিসেবে প্রথম প্রশ্নের উত্তর থেকে গাণিতিক নিয়মেই যা বেরিয়ে আসে তা হল নিজেকে বোঝানোর এরচেয়ে সহজ কোনো বিকল্প আমার কাছে নেই বলে।  অথবা এভাবেও বলা যায় যে অন্যসব বিকল্পগুলোর মতো কবিতা লেখা আমার কাছে ততটা একঘেয়ে নয়। আমি ছবি আঁকতে পারি না, গান গাইতে বা লিখতে পারি না, সিনেমা বানাতে পারি না, ভাস্কর্য পারি না অর্থাৎ শিল্পমাধ্যমের সেই সমস্ত পথই আমার জন্য রুদ্ধ যা দিয়ে নিজেকে বোঝানোর কাজটি দিব্যি সেরে ফেলা যেত। আবার আমি সেই দলের লোকেদের মধ্যেও পড়ি যাদের বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না । সামান্য ভাষাজ্ঞান আর ভাবগত ঐতিহ্য অনুসরণে আমার অস্তিত্ব রক্ষার তাই একমাত্র সাধু উপায়টি হল কবিতায় লিখে লিখে বলা আমার যা কিছু বলার। উপরোক্ত প্রশ্নদুটির এক এক করে বরং জবাব দেওয়া যাক।

আগে যখনই নতুন কিছু পড়তাম তখনই বন্ধুদের ডেকে সেসব না বলা পর্যন্ত শান্তি পেতাম না। এমনও দিন গেছে যখন পড়তে পড়তেই এত উত্তেজিত হয়ে উঠেছি যে পুরোটা না পড়েই বন্ধুদের কাছে ব্যাপারটা বলতে বসে গেছি। এখন বুঝি, জাহির করার একটা খিদে তখন আমার মধ্যে ছিল। আমিই শ্রেষ্ঠ কারণ আমি এমন অনেককিছু জানি যা কেবলমাত্র পাঠ্যবই অনুসরণ করা আমার বন্ধুরা জানে না, এই ভাবনা আমাকে গভীর তৃপ্তি দিত। বন্ধুদের অবাক হওয়া চোখ বা দু’একটা শিশুসুলভ প্রশ্ন আমাকে আনন্দিত করত। এক্স ক্রোমোজোম ওয়াই ক্রোমোজোমের খেলা আমি জেনে গেছিলাম অনেক ছোট বয়সেই। যে বইটা আমাকে এই বিষয়টা জানিয়েছিল তা ছিল একটা রাশান বই, বাংলায় অনুদিত। সেদিন স্কুলে গিয়ে এটা বলতে পেরে কী ভীষণ গর্বই না হয়েছিল। স্কুলে থাকতে থাকতেই পৃথিবীর সব ক্লাসিক সাহিত্য পড়া হয়ে গেছে। লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ে ফেলেছি লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার, রাত ভর বৃষ্টি, পূর্বপশ্চিম। তখন আমি সাংঘাতিক পড়ুয়া, এটা বন্ধুদের না জানালে মনে হত এত পড়াশোনা সবই বৃথা। কদরদান কে না খোঁজে? এভাবে নিজেকে অহংকৃত করার শিশুসুলভ চাপল্য কিছুদিন আগে অব্দিও ছিল। এখন আর নেই। বয়সোচিত অভিজ্ঞতায় এখন বুঝি গোটা পৃথিবীটাই আগাগোড়া কনফিউশানে মোড়া। যে মানুষ নিজেই জানে না সে কী চায়, কদর বলতে বোঝে সেটি আমার চাই, অথচ অন্যকেও কদর যে করতে হবে সে কথা সম্পূর্ণ রূপে বিস্মৃত, তার জন্য আশার প্রদীপ জ্বালানো আর শোঁ শোঁ বৃষ্টির মধ্যে আগুন জ্বালানো, একই কথা। তাই এখন যাই পড়ি, তা পড়ি আত্মোপোলব্ধির জন্য যেখানে অন্যের প্রবেশ নিষেধ। বহু অধ্যবসায়ে এমত কঠিন কাজটি আমি সাধন করেছি বলা যায়। আর যত বেশি জগত বিচ্ছিন্ন আমি নিজের ভিতরে ঢুকেছি ততই জগতের আলো আমার মধ্যে প্রবেশ করেছে। আলো কখনই সরব নয়। নির্বাক নিশ্চুপ এক আলোকিত সন্ন্যাসীর মতো  প্রাণদান করার কাজটি সে করতে থাকে সকলের অলক্ষ্যে। কেউ কেউ এতদূর পড়ে বলবেন, তাহলে তুমি বুড়ো হয়ে গেছ।  আমি বলব, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়েছি। অভিজ্ঞতার দর সর্বসময়ে অধিক। আমার ঠাকুমা, দিদিমার আলাদা কোনো অস্তিত্ব আজ আর কোথাও নেই, তাঁরা আমার মধ্যেই আছেন, থাকবেন চিরকাল। এই যে নিজের সর্বপ্রকার অস্তিত্ব নিয়ে উত্তরপুরুষের মধ্যে বেঁচে থাকা, জীবন তো এরই নাম আর অভিজ্ঞতা হল সেই জীবনকে ধারন করা। কেন যে কেউ কেউ বুড়ো হয়ে যাওয়াকে এত ভয় পায় কে জানে? কী হারাবার ভয় তাদের ব্যাকুল করে? অসময় ছাড়া তো হারাবার আে কিছুই নেই আমাদের।  এবং এ কথা সর্বদাই সত্য যে বার্ধক্যই জীবনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সময় যা মানুষের জীবনে একবার এলে আর কখনও হঠাৎ একদিন হাত ছেড়ে মাঝমাঠে একলা করে চলে যায় না।

ক্লাস নাইনে উঠতে না উঠতেই দেখা গেল বিশ্বের তাবড় তাবড় লেখকদের বেশিরভাগ লেখাই আমার পড়া হয়ে গেছে। সবই গল্প বা উপন্যাস। আরো একটু বড় হওয়ার পর একেকটা বই শেষ হলেই হৃদয় ভরে উঠত চিনচিনে ব্যথায়। চরিত্রগুলোর বর্ণময় তুমুল হৈহৈএর জগত ছেড়ে আসতে মন চাইত না।  কবিতা তখনও পড়িনি। ভালো লাগত না। কবিতা পড়ার কথা হলেই মাথা ধরা শুরু হয়ে যেত। আমার স্কুল জীবনে এক বান্ধবী ছিল, খুবই অন্তরঙ্গ, কবিতা লিখত। পড়াতো আমাকে। সত্যি বলতে কী কিচ্ছু বুঝতাম না। কবিতার পেয়ালায় চুমুক দেবার মতো ক্রাইসিস আমার তখনো তৈরি হয়নি। পরে, আরো অনেক পরে  যখন টের পেলাম বাহির দুনিয়ার কোলাহল আমাকে বিরক্ত করছে, মানুষের স্বার্থপরতা আমাকে মানিয়ে নিতে দিচ্ছে না বাহ্যিক আড়ম্বরে কেবলমাত্র তখনই কবিতার কাছে আশ্রয় ভিক্ষা শুরু। গদ্যের জন্য আবেগ তৈরি হয়েছিল তখন,যখন আমি নিজেকেও ততটা বুঝি না,ফলে সে আবেগ ছিল শান্ত। অন্যদিকে কবিতার জন্য টান তৈরি হল এমন একটা সময়ে যখন নিজের ভিতর নিজের খোলসটা ভাঙতে শুরু করেছে। ধীরেধীরে ভাবতে শুরু করেছি যে পৃথিবীর কোমল বাতাস আমাকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো আমার কী আছে। কবিতা আমায় শান্ত করেনি কখনো বরং আরো বেশি বেশি উত্তেজিত করেছে, ভেঙেচুরে দিয়েছে মনের অভ্যন্তরীণ গঠন।  আমার মতে কবিতা হল অস্তিত্বকে রীতিমতো বিপন্নকারী জটিল শিল্প। আর এই বিপন্নতার উত্তেজনার আঁচ আরো বেশি তাতিয়ে তুলেছে আমাকে কবিতাকে হৃদয়লগ্ন করতে। ডুবে গেছি রহস্য উদ্ধারে। কবিতা আমার কাছে একইসাথে ঘোর বাস্তববাদী অথচ রহস্যে ঘেরা মহাকাশের মতোই উজ্জ্বল। এখানে সন্তরণের নেশা পেয়ে বসল আমায়, কোনো অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়াই। অনেক নাকানিচোবানি খাওয়ানোর পর কবিতা দরজা খুলে দিল তার রাজ্যের। ধীরে ধীরে কবিতাই হয়ে উঠল শ্বাসবায়ু।  কিন্তু বিষয় যখন কবিতা তখন যে মাঝেমাঝেই তার স্বভাবসুলভ রীতিতে বিপন্নতার দিকে ঠেলবে এ নিয়ে আর কোনো আশ্চর্য রইল না। আপাতদৃষ্টিতে যাকে এক অদ্ভুত মাধুর্যময়ী রূপে দেখি, দেখি তারই আড়ালে বসে সে দানবীয় উল্লাসে মাথাটা চিবোয় আমার। ওর কন্ঠস্বর আমাকে ক্রমবিবশ করে চলে। রাণীর মতো হাবভাব অথচ নিকৃষ্ট কশাইয়ের মতো প্রতিমুহূর্ত টুকরোটুকরো করে আমাকে। নিজের ক্ষমতা জাহির করতে আমাকে মুড়ে দেয় অপ্রাকৃত চাঁছাছোলা সব প্রতিধ্বনিতে। বহুবিচিত্র সব উল্কি খোদাই করতে থাকে মনের আনন্দে। কখনো কর্কশ বেশে সামনে এসে দাঁড়ালে দেখেছি তার গা থেকে ভেসে আসছে কমনীয় সুরভিত লাবণ্য। আবার কখনো যখন তার সাজ পৃথিবীর সেরা ফুলটির মতো,যাকে উৎসর্গ করা যায় জীবনের প্রতিটা দিন, তখনই করাল মেঘের চুল ছড়িয়ে সে গ্রাস করে নেয় আত্মত্যাগের সমস্ত মহিমাকে। এ পাগলিকে নিয়ে আমি কী করব?  কোথায় বসাবো? খাওয়াবো,মাখাবো? ওকে ধন্যবাদ দিলে নেয় না, ভালোবাসা দিলে ফিরিয়ে দেয় নিষ্ঠুরের মতো। দুঃখের হাজারো প্রতিচ্ছবি নিয়ে যে ঝলমলে পোশাকে আমার ভিতর আলো করে রাখে তাকে কী বলে সম্বোধন করব? আমি ওকে মানবী মূর্তি দান করি। নিটোল একটা মুখে চোখ আঁকি, পাতলা দুটি ঠোঁট সরল মুগ্ধতায় মেশা। যা জগতের সব আনন্দ পাইয়ে দিতে জানে। মূর্তি গড়া শেষ হলে অবাক হয়ে দেখি কখন সে পরিণত হয়ে গেছে সৌন্দর্যের ধ্বংসাবশেষে। কেঁদে লাভ নেই। আবার নতুন করে শুরু করতে হয় উন্মাদ সোহাগপর্ব।

কবিতা লেখার শুরু তো আরও অনেক পড়ে।

আমার কবিতার উৎস ঈশ্বরীয় অথবা ইবলিশীয়, কোন্ বোধ দ্বারা ব্যাখ্যা যোগ্য তা বুঝে উঠতে পারি না ফলে কবিতা কেন লিখি তা নিয়ে নিরন্তর নিজের সঙ্গেই আমার বচসা চলতে থাকে। কবিতা জন্মাবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যে মনটা থাকে সাফসুতরো একটা ব্ল্যাকবোর্ডের মতো তাতে প্রথম আঁচড় কে কাটে এ নিয়ে দ্বন্দ্বকারী আমার মন সদা বিভক্ত দুই ভাগে। এক ভাগ মনে করে বিরাট প্রকৃতির এক ক্ষুদ্র অংশ হওয়ার দরুণ কবিতা লেখার কাজটি পূর্বনির্ধারিত। অপরপক্ষে অন্য ভাগটি পাল্টা যুদ্ধের অসি তোলে। বলতে চায় ক্ষুদ্র হলেও প্রকৃতির মধ্যে আমি একটি একক সত্ত্বা ফলে কবিতার জন্মের পিছনে আমার নিজস্ব চিন্তনের হাত আছে সেটা স্বীকার করাটাই বাঞ্ছনীয়। ব্যাপারটা অনেকটা ওই অ্যাস্ট্রোনট আর ব্রেন সার্জনের গল্পের মতো। মহাকাশচারী বলছেন, তিনি মহাশূন্যে বিস্তীর্ণ পরিসরে ঘুরে বেরিয়েছেন কিন্তু কোথাও ঈশ্বরের দেখা পাননি। আবার মস্তিষ্কের শল্যচিকিৎসক বলছেন, তিনি বিস্তর মস্তিষ্ক ব্যবচ্ছেদ করেছেন কিন্তু কোথাও চিন্তার অণুমাত্রও দেখেননি। গল্পটা মজার কিন্তু  দেখা যাচ্ছে দুজনেই ঠিক। তবে এই সত্য আংশিক। সত্যের এই আংশিকতার  উপর নির্ভর করে আমি আমার কবিতা লেখাকে মোটামুটিরকমের স্থির একটা ব্যাখ্যায় দাঁড় করাতে পারি। ব্ল্যাকবোর্ডে প্রথম আঁচড়টি কাটার একটা সুবিধেজনক অবস্থানের সুযোগ নিতেই পারি। তাতে সত্যের অপলাপ হয় না বটে কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য জাগরিতও হয় না। আর অর্ধসত্য অসত্যেরই নামান্তর। চিন্তনের পূর্বশর্ত হল অভিজ্ঞতা অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সেই সমস্ত সংবেদন যা চিন্তার জগতকে আলোড়ন দিতে সমর্থ। সুতরাং দেখা যাচ্ছে অভিজ্ঞতা একটা চাইই। এখন এই অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ ব্যক্তি জীবনের হবে নাকি অপ্রত্যক্ষ হবে সেটা নির্ভর করে কবির সংবেদনশীল মন ও চিন্তনের মুন্সিয়ানার উপর। কবিতা লেখার জন্য কবিকে যদি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনের উপরই নির্ভরশীল হতে হয় তাহলে এক হাজার কবিতা লেখার জন্য একই কথা ইনিয়েবিনিয়ে লিখতে হবে এক হাজারবার  এবং ব্যাপারটা কবির পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে কম মজার নয়।

বর্তমান লেখাটির একেবারে গোড়াতেই আমি বলেছিলাম কবিতা হল আমার কাছে সেই মাধ্যম যার সাহায্যে নিজেকে বোঝাতে পারার আকাঙ্খা সর্বাধিক। কিন্তু এ একটি সম্ভাবনা মাত্র। সম্ভাবনার কথা বলছি এ কারণেই যে কবিতার মতো প্যাঁচালো শিল্প বোধকরি আর একটাও নেই। বিশেষ করে প্রতীক কবিতার ক্ষেত্রে। যেহেতু এক্ষেত্রে একই কবিতার ভিন্ন ভিন্ন পঠনে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা পরিজ্ঞাত হয় সেহেতু এমন সম্ভাবনা কমই থাকে যে আমি যেভাবে যা বোঝাতে চেয়েছি তার একশো ভাগই ঠিক ঠিক তেমনভাবেই পাঠক বুঝে ফেলছেন। যদিও কোন্ পাঠক কোন্ দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করবেন কবিতা পাঠে তা নিয়ে কবির বিন্দুমাত্র ভাবিত হওয়ার কোন কারণ নেই যতক্ষণ না কবিতার মধ্য দিয়ে কবি কোনো বার্তা সরাসরি পৌঁছে দিতে চান পাঠকের কাছে। ফলে কবিতা লেখার কাজটুকু শান্তি মতো করতে পারলেই আমি সন্তুষ্ট। বেশিরভাগ কবিতা লেখার পরই কোনো চিরস্থায়ী শান্তি আমি পাইনি। লেখা শেষ হওয়ার পরপরই যে আনন্দ আমি পেয়েছি তা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে দু’চারদিন পর পুনরায় পাঠে। কবিতা লেখার সময়কালীন হৃদয়ের কোমলতা ছিঁড়েখুঁড়ে গেছে অচিরেই। ব্যর্থ কবিতা জন্ম দেওয়ার জন্য ডুবে গেছি লজ্জিত সময়ের বুকে। নিজের কাছ থেকে নিজেই পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি যাতে নিজের কাছে নিজেই অসহ্য হয়ে না পড়ি। অথচ কবিতা লেখার শুরুর দিকে এরকম কিছুই ছিল না। তখন দিনগুলো ছিল চমৎকার আর কবিতার কিছু না বুঝেও কবিতা লেখার নির্মল আনন্দ ছিল বেমিসাল। যেদিন থেকে সারল্যের ঘরে হিংসুটে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সিঁধ কাটল সেদিন থেকেই আমার কবিতাকে দেখতে শুরু করলাম সন্দেহের চোখে। নিজের ঘরটাকেই আমার সবচেয়ে বেশি অচেনা মনে হল তবু সে ঘর ছেড়ে কোথাও চলে যেতে আমি নারাজ। আমার সমস্ত নীরব ও একাগ্র সত্ত্বা দিয়ে যাদের নির্মাণ করি তাদের জন্য এটুকু দায়িত্ব আমার থেকেই যায় যে কোনোমতেই তাদের একলা ছেড়ে দেওয়া চলবে না। অথচ এতকিছুর পরেও ওদের একা হতে ছেড়ে দিই কারণ একা হতে পারাই জীবনের সবচেয়ে জরুরী শিক্ষা।

পিয়াল রায়। কবি। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের দুর্গাপুর শহরে। লেখালেখি শুরু স্কুল থেকে। তবে সিরিয়াসলি লেখালিখি করছেন ২০১২ সাল থেকে। প্রকাশিত বই: এ পর্যন্ত পিয়াল রায়ের দুইটি বই প্রকাশিত হয়েছে। 'জলের সন্তান' ও 'যে মেঘ পাতার আড়ালে'।  

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..