প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ছিলে তুমি খুবই মেধাবী ছেলে
আর,আমি সাধারণ মেয়ে বলে
জানতে চাইলে বলতে না কোন কিছু
আমিও ছুটতাম,না বুঝে তোমার পিছু।
দিতে তখন আমার বিনুনিটা ধরে টেনে
আমিও দিতাম রামচিমটি ব্যথা লাগবে জেনে।
ষোল বছর ছিল বয়স আমার যখন।
সে’সব কথাই মনে পড়ছে স্পষ্ট এখন
পড়ছে মনে আজ,সে সব দুর্ব্যবহার
বোঝেনি তখন কিশোরী মনটা আমার।
সে সময় তুমি কিশোরীদের করতে অবহেলা
বিপদ ভেবে এড়িয়ে পথে করতে হাঁটাচলা।
পড়ছে মনে, চিমটি খেয়ে মুখ বেঁকিয়ে
স্যারকে অমনি কেমন দিতে যে বলে
দূর থেকেই হাসতে আবার জিভটা ভেঁঙচিয়ে!
অভিমানে গালটি যেত যে ফুলে।
মেধাবী অথচ বেশ দুষ্টু তুমি ছিলে
গালে টোকা মেরে লুকিয়ে যেতে আড়ালে।
আমিও যেতাম তোমার উপর ভীষণ রেগে
ছুটতাম তোমার বাড়ির দিকে প্রচন্ড বেগে
করতাম গিয়ে নালিশ আমি তোমার মাকে
চোখ রাঙিয়ে দিতো কানমলে তোমায় বকে।
অমনি তুমি আমার দিকে চেয়ে
হাসতে কেমন শুধু ফিক ফিকিয়ে
আমিও তেমন ছিলাম আবুঝ মেয়ে
দিতাম তোমার পিঠে ঘুষি পাকিয়ে।
ছিলাম যেন দুজনে আদায় কাঁচা কলায় সম্পর্কে
তাই তখনই তুমি দিতে আমার আঙুল মচকে।
কেন যে ছিলাম দুজনে সাপে নেউলে সম্পর্কে
বুঝিনি তখন কেউই দুজনের অনুভূতিটাকে।
ভাবতে তখন তুমি, কবে এ’আপদ বিদায় হবে
বুঝতে যদি প্রেমের প্রদীপ জ্বলেছিল নিরুত্তাপে
প্রজ্বলিত হয়নি যে তখনও দুজনের হৃদয়ে
সেই অনুভূতি আজও আছে স্মৃতিতে জড়িয়ে।
তোমার মনে বুড়োর ভাব জেগেছে কি বয়সের ভারে!
তুমিও কি ঠিক আমার কথা ভাবছ এমন করে?
ধরেছিল ঠিক সময়েই স্বর্গ সুখের সুপ্ত কুঁড়ি
পড়েছিল ঝরে বুঝলো শেষে বয়স যখন বুড়ি।
সারাদিন অপেক্ষার পরে তুমি এলে,
ক্ষণিকের তরে
তোমার আসা জানিয়ে দিলে হৃদয় আকাশ
ঢেকে অন্ধকারে।
ঝড়কে সাথী করলে চারদিক ভরলে
ধুলোর ধোঁয়ায়
অজস্র টোকা মারলে ঘরের জানলায়।
সাধের বারান্দাখানা এসেই ভিজিয়ে দিলে
ছিল সে জানা পথ যাবে পিছলে।
কাদায় যাবে না পথ চলা,
সোঁদা গন্ধে মন ভরালে
আকাশ থেকে এক পেয়ালা
শীতল মদিরা ঝরালে।
রিনিঝিনি নাচের তালে টুপটাপ কিছুক্ষণ পড়লে
গাছের শাখায় জড়িয়ে স্নিগ্ধ চুম্বনে ভরালে।
নিমেষে কোথায় যেন ক্লান্তি দূর করে দিলে
আবার নিঃশব্দে নীরবে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলে।
প্রতিদিন কেন যে তোমায়,মনে পড়ে হায়
বুঝিনা কেন যে মনে নেই কোন সংশয়।
জানলার ফাঁক দিয়ে প্রতিদিন প্রত্যূষে
পড়ে আমার চোখে স্নিগ্ধ আলো এসে।
তোমায় দেখি স্পষ্ট চোখে
হাসছ তুমি আমায় দেখে।
মুহূর্তে তুমি যাও মিলিয়ে
মাথায় দাও হাত বুলিয়ে।
ভাঙে না ঘুম সেদিন ভোরে
অনুভব করি আমি প্রাণটি ভরে।
আবার কোনদিন আলো আঁধারি ছায়ে
দেখি দিচ্ছ হাত বুলিয়ে আমার দুই পায়ে।
বিছানা ছাড়ি ভাবি তোমার কথা বারবার
হয় না কিছুতেই ঘুম আমার আর
বিশুদ্ধ বাতাস সেবনে যাই প্রাতঃভ্রমণে।
সেখানেও তুমি সঙ্গ ছাড় না আমার।
দু’হাত দুলিয়ে চলেছি এগিয়ে
দু’পা মিলিয়ে সামনে তাকিয়ে
কখনো দেখি তুমি ডাইনে
কখনো থাকো আমার বামে
আমি চলি পথের পানে
হনহনিয়ে জোর কদমে।
বাড়ি ঢুকি ঠিক সময়ে একেবারে ঘেমে নেয়ে
বসি পাখা চালিয়ে তুমি সমুখে থাকো দাঁড়িয়ে।
দাও সেই ঘর্মাক্ত কপালে চেনা হাতটা বুলিয়ে
ফিসফিসিয়ে ভেবে বল এই কি সেই দস্যি মেয়ে!
ক্লান্ত মনে চমক দিয়ে তুমি যাও যে মিলিয়ে
ভালবাসায় গভীর টান দাও তুমি তা বুঝিয়ে।
সর্বদাই করি অনুভব তোমাকে যেন এইভাবে
তৈরী করে চা,ঢালি সেই তোমারই কাপে।
কি হয় যেন মনে মনই শুধু জানে
দুপুরে খাওয়ার সময় আসে চেনা শব্দটি কানে।
বসলে যেন এসে চেয়ারে আসতে করে তা টেনে
পাছে আমি রেগে যাই জোর শব্দটা শুনে।
চাইলে,ভাত দে তো রে মেয়ে
স্বরটি শুনে উঠি আমি চমকে
খিদের জ্বালায় উঠলে কি চেঁচিয়ে?
অমন করে তাই কি ডাকলে আমাকে?
এ’সব কথা মিথ্যে তো নয় জড়িয়ে আছ অনুভবে
কেউ বলে এ মনের ব্যারাম সারিয়ে তুলল আরাম পাবে।
যে যাই খুশি বলুক না হয় যা ঘটছে সব বাস্তবে।
রোগ যদি না সারাই আমি মন্দ কি আর হবে?
ভালবাসার গভীর টানেই না হয় জড়িয়ে আমায় রবে।
হৃদয় এফোঁড় ওফোঁড় করে
চলো যাই পৃথিবীর কাছে দূরে
একত্রে অন্তরে মিলিয়া সবাই
চল যাই মানবিকতা জাগাই।
তবে ধারাল কলম চালাই
চলো যাই ভালবাসা ছড়াই
প্যাপিরাসে আঁকিবুঁকি আঁচড়ে
এই সুন্দর পৃথিবী জুড়ে।
চলি পথে একসাথে হাত ধরে
চলো যাই পৃথিবীর কাছে দূরে।
এসো সবাই মন দিয়ে বই পড়ি
উন্নতির শিখরে এগোবই তাড়াতাড়ি।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..