দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
মেঘ বালিকা,
কোথাকার এক দাপুটে ঝড়ো হাওয়া
তোমাকে তাড়িয়ে এনেছিল সেদিন-
অমনি জল বালিকা হয়ে
তুমি ঝুম ঝুম ঝরে পড়লে আমার শরীরে,
আমি থেকে থেকে শিউরে উঠে
ঈষৎ কাঁপা ঠোঁটে সূদীর্ঘ চুম্বনের পর
প্রগাঢ় এক আলিঙ্গনে তোমায় জড়িয়ে নিলাম;
সেদিন থেকেই এক’শ চার আমার।
আছ কিংবা নাই এর মাঝে
মস্ত বড় দ্বিধার প্রাচীর
দীঘল পথের ক্লান্তি ছুঁয়ে
মন পুড়ে যায় শূন্য নীড়ে।
নিজের সাথে নিজেই যুঝি
কিসের তরে ভরসা খুঁজি,
রূদ্ধশ্বাসে ছুটছি বড়
যুদ্ধ বড় কঠিনতরো;
স্বস্তির আশে বুদ্ধি নাশে
রুধির যেন জমাট বাঁধে।
তাইতো বলি; শূন্যাকাশে
মেঘের ভেলা সাজিয়ে রেখো,
আছ কিংবা নাই এর মাঝে
দৃশ্যমান এক চিহ্ন এঁকো।
তোর লাল টুক টুক ওষ্ঠ জোড়ে
কামড় দিয়েছি শত,
পদ্ম নাভিতে চুম্বনের পর
উরুতে ঘসেছি মুখ নিঃসীম মত্ততায়
তবুও কি নির্লিপ্ততায়
বেহায়ার মতো ঝরছিস টিপ টিপ-
মন খারাপের বৃষ্টি;
কেন ঝরিস না ঝুম ঝুম!
দ্বিপ্রহরে নিত্য আমার
ইচ্ছে জাগে বডড ভেজার
জল শূণ্য মুখিয়ে থাকি; নিস্কাম তুই-
পারিসনা হতে শ্রাবণের ঢল?
কেন আড়াল করো-
ভেজা ভেজা ঐ রক্তিম যুগল পাপড়ি,
মধু চুম্বনে ভ্রমর তো বসবেই
কেন তা সরিয়ে নাও!
কেন ঢেকে দাও কবোষ্ণ পুস্প!
প্রস্ফুটিত ঐ চূড়ার শিখর দেখবো বলে
লোভাতুর চোখে তাকিয়েছি বহু বার,
কেন বন্ধনী টেনে তাকে আড়াল করে দাও!
কেন সংকুচিত করে নাও
অবিনাশী ঐ স্বপ্ন পথের দ্বার,
যে বাঁধার প্রাচীর ডিঙ্গোবো বলে
স্বর্গের পথ ছেড়ে বহু দূর হেঁটেছি আমি,
তাকে যেতে দাও স্রোতস্বিনীর উত্তাল গহ্বরে
অনন্ত যাত্রায়।।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..