ফ্রেম
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
তোমাকে দেখবো বলে
সকালে আলোর উচ্ছ্বাস মেঝেতে পড়তেই
একগুচ্ছ টাটকা গোলাপ ফুল নিয়ে এক নিঃশ্বাসে
ছুটে আসি তোমার দরজায়।
দেখি লিখে রেখেছো ‘অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ’।
তোমাকে দেখবো বলে
সন্ধ্যার আলোর প্রপাতে সব জানালা উদাম রাখি
শরীর ছিটকে বিমুগ্ধ দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকি
উদ্যত চোখে
হয়তো তুমি ফিরবে সমস্ত কোলাহল শেষে
সব কটা আমার বুকের সিঁড়ি ভেঙে
দেখি অন্য সুখের অধিকারের রঙ তোমার ঠোঁটের শিরায় শিরায়।
তোমাকে দেখবো বলে
আমার না – বলা কথার অনেক ছবি
তোমার ড্রেসিং টেবিলে রেখে এসেছিলাম
হয়তো একদিন তোমার চোখে পড়বে
বুঝবে আমার হৃদয়ের অনুচ্চার ব্যথা
বুলিয়ে তোমার নিটোল আঙুলে …
কতটা ভাঙলে হৃদয়
মাটির সরায় চিতার দাহন ছাই জলের প্রবাহে ভাসিয়ে দিতে হয় ।
ব্যথার বিষ শেষ হলেও
ক্লান্তির অবশেষ হলেও
তোমার প্রয়োজনের কাছে বাড়তি হলেও
আমি আসবো শর্তের দড়ি ছিঁড়ে
তোমার রক্ত হবো;
তোমার ধমনী শিরায় তোমার শরীরের কল্লোলের কলোনিতে।
বসন্তের আকাশি চাঁদ অপছন্দ হলেও
আমি আসবো জন্মের সূত্র ধরে
তোমার রক্ত হবো;
আগামী দিনে তোমার ক্লেশের ভেতর লবঙ্গ যোনির লাবণীতে।
ব্যথার বিষ শেষ হলেও
ক্লান্তির অবশেষ হলেও
আমি আসবো
আমার দুঃখ লাগা বাড়ির অনেক ভেতরে
অনেক সুখের ঘর লুকিয়েছিলো আমার অগোচরে
যখন
সব দরজা খিড়কি খুলে স্পর্শ করলাম উদাম চোখে
মাথার উপর এক গোটা আকাশি আকাশ।
বাস্তবের কাঁটা অসংখ্য কাগের গুন ভাগে
রক্তের ফোঁটা আঙ্গুলের ডগায়;
হাতের রেখা তখনও সজাগ সততার দাগে।
যখন
দিন আনি দিন খাই সততার হাতে।
ক্ষুধার গর্ভে খুদা ঘুমায় নিশ্চিন্তে দীনতার রাতে।
অভাব এখন তুমি যাও
আবার এসো
কতটা খিদে কতটা ঘুম স্বচ্ছলতার
বেঁচে থাকা দরকার
তোমার দু’হাত নেবো আমি নিংড়ে।
অন্ধকার এখন তুমি যাও
আবার এসো
কতটা আলো কতটা ছায়া সম্ভোগের
পেতে রাখা দরকার
তোমার হৃদয় নেবো আমি নিংড়ে।
জীবন এখন তুমি যাও
আবার এসো
কতটা অন্ধ কতটা বধির অলক্ষ্যে
ঢেকে রাখা দরকার
তোমার শরীর নেবো আমি নিংড়ে।
সেদিন
জ্যোৎস্নায় চাঁদ ছিলো না।
সেদিন
সমুদ্রে ঢেউ ছিলো না।
সেদিন
নদিতে স্রোত ছিলো না।
আমার দায় আমাকে কুড়ে কুড়ে গ্রাস করছিলো
প্রশ্নের ঘাড়ে প্রশ্ন আমার কাছে উত্তর ছিলো না।
যেদিন তোমাকে দেখলাম
সম্পর্ক জলের মতো ঠেলে নিয়ে যায় আমাকে অভিসারে
যেখানে চাঁদ…
জ্যোৎস্নার বালিশ মাথায় নিটোল ঠোঁটে রেখেছে আঙুল।
যেখানে ঢেউ…
সমুদ্রে যুবতী বুকভরা স্তন মাতৃত্বের তৃষ্ণায় অস্থির আকুল।
যেখানে স্রোত…
নদীর দুটি বেণীতে আততসারে বেঁধে জাগিয়ে পারের কুল।
দু’চোখ একবুক জল নিয়ে অন্ধকারের খাদে
বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছি নিজের দায়ের কাছে।
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
বিজয়ের সব মুহূর্তেই… তার অধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় সঙ্গানুসঙ্গের;…..
আমার প্রথম প্রেম কৃষ্ণচূড়া দ্বিতীয় প্রেম হলো ছাতিম। তুমি তবে আমার কী! তুমি যে আমার…..
এগুতে এগুতে দেখি ইচ্ছের বীজতলা অনাবাদী পড়ে আছে বয়সী প্রজাপতির কাছে কিছুই হয়নি জানা বিহ্বলতার…..