প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এমন ঝিমধরা বিকেল অনেক দিন হলো দেখি না
ঐ দূরে হেলানো নারকেল পাতার কপালে লাল সূর্য্যিটিপ, কি রূপসী আহা!
ধীরে ধীরে জানি স্বয়ংক্রিয় সব আলো নিভে যাবে, তারপর
এই মায়াবী ক্ষণে দেখা হবে নিজের সাথে
মুখোমুখি আমি আর-
মেঘের উপর মেঘ লেপ্টে যেন একএকটা যুক্তাক্ষর
সন্ধি বিচ্ছেদ করলেই ঝরে পড়বে উল্লাসে,
বর্ষামঙ্গল!
অনেকদিন হলো এখানে হিন্দোলের মিঠে সুর বাজে না
স্বরগ্রামে শুধু বেজে যায় এখন-
“সঘন শাওন লায়ে কদম বাহার- পিয়া তোরা ক্যাসা অভিমান ”
ভাঙতে ভাঙতে , ভিজতে ভিজতে এভাবে চলে যাবে শ্রাবণ’ও।
প্রতিটা সকাল আসে তার নিজস্ব একটা মাহাত্ম্য নিয়ে।
আকাশের জাফরিকাটা দেওয়াল বেয়ে গড়িয়ে পড়া কুসুম কুসুম আলো,
চাঁদ – তারার ফিসফিসে গল্প বলা মিঠে হাওয়া,
আর কিছু অল্পপ্রাণ শিশিরের নিটোল আহ্লাদ!
বুক ভরে, চোখ ভরে আর প্রাণ ভরে দেখে নেওয়ার আস্বাদ জিইয়ে রাখে সারাদিনটা।
তার একটু পরেই কিছু চন্দন গন্ধি ধূপের আস্কারা, লিঙ্গেশ্বরের মন্দিরের ঘন্টাধ্বনি সাথে স্তবপাঠের পবিত্র বাতাবরণ উড়িয়ে নিয়ে যায় জীবনের ধূসর নির্জীবতা!
হঠাৎ, মুগ্ধতা ছিঁড়েফুঁড়ে নেমে আসে দৈনিক ব্যস্ততা, বাণিজ্যিক কোলাহল।
চেনা- অচেনা পাখিদের আনাগোনা, গুঞ্জন তখন আমার খোলা জানলার কোল জুড়ে
আর আমার ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে আমি বসে –
এ কথা – সে কথা , কথার পর আবার কথা
উপচে পড়া কত কথা বলে যায় ওরা –
আমি নিবেদিত প্রাণ শুনে যাই সেই
ক্লান্তিহীন কথকথা !
শেষে রোদের গালে গাল ঠেকিয়ে, ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে আদরে সোহাগে উল্লাস করে বেড়ায় ওরা
সারাটাবেলা-
অনেকদিন ঘুম আসে না, তবু ঘুম ঘুম ভাব!
তখন জানলার শার্সি বেয়ে চোখ,
রাতের সন্ধানে যায়
স্ট্রিট লাইটের জাফরিকাটা আলো আর
মাঝে মাঝে অন্ধকার
ঐ যতটুকু ঝুঁকে পড়া পাতাদের পর্দা উড়ে আসা।
এসবের ফাঁকে কানে বাজে,
কোণে পড়ে থাকা ধূলোমাখা ভিখারী আর এক – দুই কুকুরের আওয়াজ , হয় ভুখা পেটের জ্বালা নয় অস্তিত্বের আর্তনাদ !
এই সেদিনেই ঈশ্বর এসেছিলেন এইখানে, দৈব সাজে সেজে, রাজসিক আয়োজনের মাঝে, অভয় মুদ্রায় বসে বলেছিলেন —
মানবিক হও, তোমাদের চৈতন্য হোক।
হাত গুনে আর কদিন পরেই তো, গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজো, পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে এক গন্ডুষ জল, আর তিলদান
তারপর পাঁচদিন ব্যাপি এলাহি মাতৃরূপী ঈশ্বরীর আরাধনা, শেষে-
এক গলা জলে ডুবতে ডুবতে তখন ঈশ্বরীও
বলে যাবেন – সত্যানুগ হও, তোমরা মানুষ হও!
এখন অনেক রাতেও,
আজকাল আর ভালো ঘুম আসে না –
ঘুম বিহীন অনন্ত সময় শুধু বয়ে যাওয়া
এ যেন এক মহা সুসুপ্তিকাল!
কিছু টাঙ্গাইল, তসর – ধানখালী
নিপাট ভাঁজ করে তুলে রেখেছিলাম সম্পর্কের তোরঙ্গে
অনেক দিন হলো দেখা – সাক্ষাৎ নেই, এখন সবই দূরাভাষে
তুমি বলেছিলে,
ন্যাপথ্যেলীন না ছড়াতে, অযথা সে গন্ধের সাথে দাগ ও ছড়ায়, কলঙ্ক কার ভালো লাগে!
বরং কিছু মরিচ পুঁটুলি বেঁধে কোণ ঘেঁসে ফেলে রাখতে
একটু ঝাঁজ থাকা ভালো নাকি, ভালোবাসার নিরেট বুননে –
পোক্ত ও টেকসই হয় জমিন এতে।
আজ বহুদিন পর,
আশ্বিনের সকালের কাঁচা নরম আঁচে
সম্পর্কিত ভাঁজগুলো খুলে ছড়িয়ে দিয়েছি
একের পর এক …
একটু খোলা বাতাস লাগবে বলে!
তুমি কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললে,
পশ্চিমে কিন্তু খুব মেঘ জমেছে … সামলে!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..