ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
দুপুরবেলা একটা পাগল মেয়ে জানালার গরাদ ধরে নাড়া দেয় আর চিৎকার করে বলে – “এই পথে আলো জ্বেলে, এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে। সে অনেক শতাব্দীর মানুষের কাজ …” তার কথা শুনে অন্য পাগলিরা হাসে। নামী শহরের পাগলা গারদের মেয়ে মহলে তাদের কারো গায়ে সুতোটি পর্যন্ত নেই। কর্তৃপক্ষের যুক্তি যে গায়ে কাপড় থাকলে পাগলেরা সেই কাপড় পেঁচিয়ে দড়ি বানিয়ে আত্মহত্যা করে ফেলতে পারে। দু তিনটি ঘটনাও ঘটিয়েছে কেউ কেউ। তারপর থেকে সবাইকে পোশাকহীন রাখা হয়। সেই গ্লানি আর ইতরতা বোঝার মতো পরিস্থিতি অনেকেরই নেই। তারা গবাদি পশুর চোখে চেয়ে থাকে। তবু সবাই যে একেবারে আপনহারা তা তো নয়। কারো কারো বোধ যাওয়া আসা করে। কখনো একেবারেই নিঝুম হয়ে থাকে ; আবার কখনো একটু যেন নিজেকে ফিরে পায়। গারদের মধ্যে মাঝে মাঝে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি , ছুতোর, মেথর যাতায়াত করে। তারা পুরুষ । রোগিণীর প্রতি নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিতে তাকাতে তাদের শেখায় নি সনাতন ভারতীয় মুল্যবোধ। যারা বৃদ্ধা, তারা এসবে কিছু ভাবে না, ভাবতে পারে না। যারা তরুণী, যুবতী, তাদের কখনো মনে পড়ে যায় এই সময় লজ্জা পেতে হয়। মেঝেতে বসে পড়ে পা ভাঁজ করে আড়াল করে নিজের নারী শরীরের উচ্চাবচতা।
নীপা চোখে পড়ে গেল এক মনো বিশ্লেষকের । তিনি কবিতা শুনতে চাইতেন। নীপা চোখ পাকিয়ে বলেছিল “আপনাকে কবিতা বলবো কেন? ও কবিতা শুধুই আমার ।“ গবেষক বলেছিলেন, “তুমি কবিতা বললে আমি তার ইংরেজি অনুবাদ করে মুখে মুখে বলে যাব। তুমি রাজি?” নীপার মনে পড়লে যে সে উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে খুব ভাল নম্বর করলে স্কুলের বড়দি তাকে কাছে ডেকে চুমো খেয়েছিলেন। নীপা গবেষকের কাছে কবিতা বলতে রাজি হয়ে গেল। ওঁর মুখে নিজের আবৃত্তি করা কবিতার তাৎক্ষণিক ইংরেজি ভাষান্তর শুনে নীপা হাতড়ে হাতড়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করত। একদিন নীপাকে পোশাক পরার অনুমতি দিল পাগলা গারদের কর্তৃপক্ষ । তার পর একদিন নীপাকে গারদ থেকে একটা হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হল। গারদের অনেক পাগলি বুঝতে পারে নি কি কারণে নীপা চলে যেতে পাচ্ছে। শুধু একজন তার হাতে আধখানা বিস্কুট ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল, “আমাকে কবিতা বলা শিখিয়ে দিবি?” চোখে জল এসেছিল নীপার।
হোমে থেকে ব্যবসার খাতা লেখার কাজ কমপিউটারে করার তালিম নিল নীপা। তার পর ছোট একটি চাকরি। কি করে যে নিজের জীবন বদলে গেল জানালার ধারে দাঁড়িয়ে ভাবে সে। তখন মাকে মনে পড়ে। ভাগ্যিস তার গারদে থাকার দিনগুলো মা কে দেখতে হয় নি। অনেক আগেই মায়ের হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো করে পাশ করার পরেও নতুন করে কলেজে ভরতি হতে মা উৎসাহ দিতে পারেন নি। দুই দাদার একজনকে জন্ম হওয়া অবধি পাগল অবস্থায় দেখেছে সে। ছোড়দা বাবার চাকরি পেয়েছিল। শর্ত ছিল মা বোনকে খেতে পরতে দিতে হবে। তা সে কথা রেখেছিল ছোড়দা। মা তাকে বলতো এবার একটা বিয়ে কর তুই। ছোড় দা রাজি হত না। বলতো “না মা, পরের মেয়ে এসে তোমার ওপর অত্যাচার করবে, সে আমি দেখতে পারবো না।“ মা হেসে ছোড়দার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলতো “সে কি রে, তার সাথে আমার বনিবনা হবে না কেন? না বাবা, তোর মা সে রকম নয়। সে মেয়ে যেমনই হোক, আমি তাকে খুব ভাল বাসবো জানবি।“ গোঁ ধরে বসে থাকতো ছোড় দা। “এই কয়টা টাকা তো মাইনে পাই, কি করে গ্রাস জোটে তা তো জানোই। এর মধ্যে আবার একটা পেটকে জড়াচ্ছো কেন?” মা হেসে বলতো “ওরে জীব দিয়েছেন যিনি, আহার দেবেন তিনি। ও কিছু ভাবিস নি বাবা, আমরা দুটি প্রাণী নুন দিয়ে ভাত খাবো। তবু তুই সংসারী হ ।“ ছোড়দা বলতো “সংসারী হতে তো বলছো, নতুন বউকে থাকতে দেবে কোথায়।“ মা বলতেন “এই তো আমার ঘরটাই ছেড়ে দেব।“ বড় দাদাকে দেখিয়ে ছোড় দা বলতো “ওই পাগলের সাথে একঘরে থাকবে? রাতে উঠে যদি তোমার আর বোনের গলা টিপে রেখে দেয়? না মা, সে হবে না।“ মা কড়া গলায় বলেছিলেন, “সেও আমার একটা সন্তান, সেও আমার নাড়িছেড়া ধন । আমি যে কদিন বেঁচে আছি, ওকে পাগল বোলো না। বলো শরীর অসুস্থ।“ বড়দা জানলা দিয়ে উকিঝুকি মেরে দেখতো কি আলোচনা হচ্ছে।
দরজা নেড়ে নেড়ে শিকল খুলে ফেলে একদিন পাগল পালিয়েছিল ঘর ছেড়ে । সারা রাত ফেরে নি বলে মা ডুকরে ডুকরে কেঁদেছিলেন । ছোড়দা বলেছিল “মরুক, মরুক পাগলটা । এত জ্বালাতন আর সহ্য হয় না।“ তা শুনে মা ঘরের মেঝেয় কাটা পশুর মত আছাড়ি পিছাড়ি খেয়েছিলেন। পরদিন বেলায় বড়দা ফিরেছিল। তখন তার দেহে আর প্রাণ ছিল না। চায়ের দোকানে খিদের জ্বালায় পাউরুটি চুরি করে খেয়েছিল বলে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোকেরা পাগলকে নির্দয় প্রহার করেছিল। পরনের লুঙ্গিটুকু খুলে নিয়ে গরম শিক তার পায়ুতে ঢুকিয়ে দিয়ে পাগলের কাতরানি দেখে হাসির হররা তুলেছিল ওরা। তার পর সারা গায়ে সিগারেটের ছেঁকা , নাভিতে , লিঙ্গাগ্রে , ঠোঁটে , যত নরম জায়গায় । আধমরা হয়ে এলে তাকে নিয়ে ফুটবল খেলছে দেখে পুলিশে খবর দেয় কেউ । পুলিশ আসার আগেই পালায় লোকজনেরা। পোস্টমর্টেম হয়ে প্লাস্টিক মোড়া কাটা ছেঁড়া, খুলি ফাঁক করা , বুক আর পেট চিরে ফাঁক করা শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরল ছেলে। মা জ্ঞান হারিয়েছিলেন। পরে মা থানায় গিয়ে বলেছিলেন “আমরা কি সুবিচার পাব না?” পাড়ার ভদ্রজনেরা মাকে বুঝিয়েছিলেন “পুলিশের লোকবল কম। যে গেছে, সে গেছে। এমনিতেও থাকার বার ছিল। পাগল হয়ে বেঁচে থেকে সে তো একরকম জ্যান্তে মরা হয়েই ছিল।“ মা বলেছিল “আপনারা পাশে দাঁড়াবেন না, তাই বলুন। অতো যুক্তি দিচ্ছেন কেন?” ভদ্রলোকেরা অসম্মানিত বোধ করে চলে গিয়েছিলেন।
অপঘাতে মৃত্যু বলে পাগলের শ্রাদ্ধ হল তিন দিন অশৌচ শেষে । পুরোহিত যখন বলছিলেন “এই আত্মা অজর অমর অক্ষয়, তিনি জন্মান না, তিনি মরেন ও না, তিনি অস্ত্রের দ্বারা আহত হন না, জলে তাকে ভিজানো যায় না, এক দেহ জীর্ণ হলে তিনি নবীন দেহ ধারণ করেন,” মা তখন ডুকরে কেঁদে উঠে বলেছিলেন, ঠাকুর মশাই “ওকথা গুলো আস্তে বলুন, আমার ছেলেটা শুনতে পাবে।“ নীপা তখন মাকে জড়িয়ে ধরেছিল। পল্লীর কেউ কেউ ঠোঁট বেকিয়ে হেসেছিল । বলেছিল “পুরুত পাণ্ডার ওপর শ্রদ্ধা ভক্তি কিছুই নেই বুড়িটার।“
বড়ছেলের মৃত্যুর দিন পনের কাটতে না কাটতেই নীপার মা ছোটছেলেকে তার বিয়ের জন্য ধরে পড়লেন। সে বলেছিল “গলায় বোন ঝুলছে, এখনই বিয়ে করি কি করে।“ মা বলতেন, “সে হয় না বাবা, তা ছাড়া নীপা তোর থেকে অনেক ছোটো, ওর বিয়ের জন্যে তোকে অপেক্ষা করিয়ে রাখতে আমার মত নেই।“ তবু সে গোঁ ধরে থাকলে মা তার হাতে পায়ে ধরতেন, “আমি শোকাতাপা মানুষ, কবে আছি, কবে নেই, বউমা থাকলে আমি চোখ বোজার পরে মেয়েটা তবু একটা আপনজন পাবে।“
ছোড়দার অফিস থেকেই সম্বন্ধ এসেছিল। মা তাতে ভারি খুশি হয়েছিলেন। “দেখ, এই যে তোর অফিস থেকেই সম্বন্ধ এল, এটা বেশ ভাল। তাদেরকে আলাদা করে বোঝাতে হবে না আমরা ঠিক কে্মন, আয় কেমন, বাড়ি ঘর দোর কেমন। তারা তোর বাবাকে দেখেছে, এখন তোকেও দেখছে।“ দাদা বলেছিল, “সে সব আমি জানি না, তোমার কথায় বিয়ে করছি, কিছু খারাপ হলে আমায় দোষ দিতে পাবে না।“ মা বলেছিলেন, “কোলের মেয়েটাকে আর পাগল ছেলেকে রেখে তোর বাবা চলে গিয়েছে। আর আমার নতুন করে কষ্ট পাবার কি আছে? সমুদ্রে পেতেছি শয্যা …।“ ওই কথাটা মা প্রায় বলতো। সমুদ্রে পেতেছি শয্যা …।
বউ এলে তার মুখ দেখতে গিয়ে মা নিজের গলা থেকে হার আর হাত থেকে বালাগাছা খুলে দিয়ে তাকে আশীর্বাদ করলেন দেখে ছোড়দা অভিমান করেছিল। “মা, তোমার যে আর কিছু নেই। কি করে বোনটার বিয়ে দেব?” মা আকাশের দিকে চেয়ে হাসলেন। বললেন “সব ঠিক হয়ে যাবে।“ ছোড়দা রেগে উঠলো। বললো, “হাসবে না মা, তোমার ওই পাগুলে হাসি দেখলে আমার গা জ্বলে যায়।“
বউদির সাথে বেশ ভাব সাব জমিয়ে নিয়েছিল নীপা। বউদি তার থেকে বছর চারেকের বড়। গ্রাজুয়েট । নীপা বলেছিল “বউদি আমায় একটু পড়া দেখিয়ে দিও।“ বউদি বলেছিল “না ভাই, আমি তোমার রেজাল্ট জানি। মাধ্যমিকে উচ্চ মাধ্যমিকে তোমার যা রেজাল্ট, আমি তার ধারে পাশে নেই। মায়ের মারের ভয়ে কলেজ যেতাম। তোমায় পড়াবো আমি?”
এবার মা নীপার বিয়ের জন্যে উঠে পড়ে লাগলেন। সেই দেখে বউদি তার চেনাজানা পরিবার থেকে সম্বন্ধ আনলো। পাত্রের ছবি দেখে সবাই বললো এ যে রাজপুত্রের চেহারা! ছেলে যথেষ্ট বিদ্বান। হাই স্কুলের শিক্ষক। বাড়িতে চালু কোচিং সেন্টার। পাত্র মাঝে মধ্যেই আসতেন। নীপার গলায় আবৃত্তি শুনতেন। তারিফ করতেন। বউদি মাকে চোখ টিপতেন । বোঝাতে চাইতেন পাত্রকে হাত করেই ফেলা গিয়েছে, এবার চার হাত এক হলেই হয়। একদিন কথাটা পাড়লেন মা। প্রথমেই বললেন, “বাপ মরা মেয়ে আমার। আমরা একেবারেই হত দরিদ্র । বিয়েতে মেয়ের গা সাজিয়ে দেওয়া দূরে থাক, নমো নমো করে বিয়ে যাকে বলে, তা পর্যন্ত দিতে পারবো না। বিয়ের পর তত্ত্ব তালাশও করতে পারবো না। এমন মেয়েকে কি আপনার বাবা মা ঘরে নেবেন?” পাত্র বড় মুখ করে বলে গিয়েছিল “আপনার মেয়েকে চাইছি। টাকা পয়সা নয়।“ বউদি পাত্রের সামনেই মাকে বলেছিল “এখনই দিন স্থির করে ফেলুন।“ মা বলেছিল “ওঁকে সময় দাও । আর একটু ভাবুন। ওঁর বাবা মা আত্মীয়েরা সবাই একটু ভেবে দেখুন।“
ভেবে দেখতে গিয়ে পাত্র আর এলেন না। শোনা গেল তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। সে মেয়ে স্কুলে পড়ায়। আর সে না কি ডানাকাটা সুন্দরী । আর তারা একটা গাড়ি দেবে বলেছে। নীপা বললো “ভালই হয়েছে, ঝোঁকে পড়ে বিপ্লব করতে চাইছিলেন। ঝোঁক কেটে গেলে গরিবের মেয়েকে লাথি ঝাঁটা খেতে হত। এ ভালই হয়েছে।“ বলতে বলতে নীপা হু হু করে কেঁদে ফেললে বউদি তাকে ধমক দিয়েছিল। বলেছিল, “চিন্তা করিস না। আমি আগেই জানতাম ছেলেটা খারাপ। অনেক মেয়ের সাথে ঘুরেছে ছেলেটা ।“ তার সাথে তখন ঝগড়া করেছিল নীপা। “অতই যদি জানতে, তাহলে অমন ছোটোলোকের সাথে আমার সম্বন্ধ এনেছিলে কেন? আমি কি একেবারে হতকুচ্ছিত ? আমাকে বেইজ্জত না করলে চলছিল না তোমার?” বউদি মাথা নিচু করে বললো “আমি ভেবেছিলাম মাস্টারি করছে। ছোকছোকানি দোষ কেটে গিয়েছে ।“ নীপা তীব্র স্বরে বলেছিল, “ও, মেয়ে দেখলে লোকটার জিভ দিয়ে জল গড়ায়, তাও তুমি জানতে? জেনে শুনে একটা লম্পটের হাতে আমায় গছিয়ে দিতে চেয়েছিলে তুমি?” ছোড়দা তখন নীপাকে একটা চড় মারে। বলে “মুখ সামলে কথা বলবি তুই।“ নীপার মা এই অসম্মান সহ্য করতে পারেন নি। ভোরে বিছানায় শুয়ে তাঁর নিষ্প্রাণ দেহটা জড়িয়ে শুয়েছিল মেয়ে আর আদর করে আধো আধো স্বরে দেয়ালা করছিল । দাদা এসে তাকে বিছানা থেকে সরাতে চাইলে সে দরজার খিল তুলে দাদাকে মারতে যায়। বউদি আর প্রতিবেশিরা সেটা দেখে চিল চিৎকার জুড়ে দেয়। মায়ের অন্ত্যেষ্টির আগেই নীপাকে চলে যেতে হল শহরের নামকরা উন্মাদাগারে। সবাই সাক্ষ্য দিল নীপার এক দাদাও পাগল ছিল। বদ্ধ, বেহেড, উন্মাদ । এসব অসুখ না কি রক্তে মিশে থাকে। অভিজ্ঞ চোখ মুখে দাড়ি নেড়ে প্রবীণেরা বলে গেল।
হোমের উদ্যোগে কাগজ কুড়োনো এক ভিখারির সাথে বিয়ে হল মেয়ের। সে নীপার আদ্যোপান্ত বৃত্তান্ত জেনেই বিয়ে করেছিল। নীপা বলেছিল “আমি কলমের জোরেই সংসার চালিয়ে নেব।“ হোমে কন্যাদান করতে এসেছিলেন স্বয়ং জেলাশাসক। তিনি কাগজ কুড়ানিকে তার অফিসে ছোটখাট ব্যবসা করার সুযোগ দেবেন বলে সবার সামনে প্রতিশ্রুতি দিলেন। মাথা নিচু করে নীপা বললো তার দরকার হবে না। মেয়ে কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছে। তাইতে ফুচকা আলুকাবলির চাকাঅলা দোকান দিতে কোনো অসুবিধে হবে না। জেলাশাসক তাদের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন। নীপা গলা ছেড়ে বলে উঠলো – “এসে যে গভীরতর লাভ হল / সে সব বুঝেছি শিশির শরীর ছুঁয়ে সমুজ্জ্বল ভোরে …।“ কাগজ কুড়ানি কিছু বুঝতে পারল না, সে এমন কবিতা কোনোদিন শোনে নি। কিন্তু তার মুখ দেখে মনে হচ্ছিল তার খুব ভাল লাগছে।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..