দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
এখন আমার এই লেখা পড়ে কেউ চাঁদ না দেখুক। ওটা একটা উপগ্রহ। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। কতো সুন্দর ভাবে আমরা তাকে দেখি। অনুভব কতদূর পর্যন্ত নিয়ে যাই নিজেও জানিনা। চাঁদ দেখে দেখে অনেকে বিশাল সাগর পাড়ি দিয়েছে আবার কেউ কতল হয়েছে মধু পানের সুখ নিয়ে। কখনো মোহনীয় বর্ণনায় প্রেমিকার কানে শাপলার মতো গুঁজে দেয় পঞ্চইন্দ্রীয় প্রেমিক। এর কি কোন স্রোত আছে,আলো আছে,প্রাণ আছে নাকি শক্তি আছে? বাতাশ একটু আছে তাও কর্য করা। তারপরও সে কেন এতো সুন্দর,বিশাল না হলেও কেন বিশাল? তার চিত্ত নেই তারপরও সে কেন চিত্তে মায়া ধরে। চিত্তের মায়া তো শুধু চিত্তই ধরতে পারে। তাহলে ওর ক্ষেত্রে কেন আলাদা। নিয়ম করে বলা হয় নাকি চাঁদ সে নিজেই এমন ভাবে বলে। ওসব মানুশের বানানো মিথ্যে শব্দ। মানুশ চাঁদ তৈরি করেছে নিজের মতো। সাজিয়ে আলমিরাতেও রেখেছে। কোন প্রেমিক ঝলসানো রুটি মেনে খেয়ে নিয়েছে। ওসব কি মিথ্যে নয়! এখন আমি একটা গল্প বলি-চাঁদের গল্প,ঠিক চাঁদের মতোই। এই রাস্তাটা ধরে আমি সেদিন বাজারে যাচ্ছিলাম। রাস্তা ছিলো প্যাকে ভরা আর আমে পোকা খাওয়ার মতো। দিন ছিলো বুধবার। বুধবারের জন্যই আমার বেশি মায়া। নীল শাড়ি পড়া যুবতি এক হাটু ভাঁজ করে আরেক হাটু সটান করে দাঁড়িয়ে যুবকের শার্টের কলার টেনে বলছে-
-কতো ভালোবাসো?
-তুমি যতো,
– আমি কতো?
– চাঁদ যতো,
– চাঁদ তো নেই!
– তাহলে ওটাও নেই,
– কি করবে এখন?
– আনবো,
– মিথ্যে কথা,
– তাহলে তুমি যে বললে?
– আমি বলিনি,
– বলেছ,না বললে কেন জানতে চেয়েছো?
– ওটা অভ্যাস,,
– তাহলে ভালোবাসাটাও আমার অভ্যাস।
– আমার কথাতেই বললে?
– হুম,জোর করলে তাই,
– নাহয় এও বলতে না?
– নাহ,তুমিই তো বললে চাঁদ নেই!
– ও,তাহলে চাঁদ আছে?
– হুম,অন্য মানুশের মিথ্যে কথায় নয়,
– তাহলে?
– কর্য করে সে বেঁচে আছে।
– তারমানে তুমি আমিও?
– হুম।
আমি তাদের কথা কিছু বুঝিনি। হেঁটে যাচ্ছিলাম তাই শুনতে আগ্রহী হই। পোকা খাওয়া আমের রাস্তার এপার ঘেষে যাচ্ছি ওপারে তারা চাঁদের মতো মিথ্যে কথা বলছে। একটু শান্তি পাই, কারণ একদম স্বচ্ছ। আমি এপার থেকে পুরো আকাশ খুঁজেছি কোথাও কোন চাঁদ পাইনি। মনে মনে ভাবি ওপারে কি আছে? খানিক সাজানো গোছানোর পর সামনে এগিয়ে যাই তারপর পিছনে তাকিয়ে দেখি বিকট আওয়াজে চাঁদটি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।
-একি,এই সকালে এ চাঁদ এলো কোত্থেকে? এমন মসৃণ কেন? চাঁদের না শক্তি,আলো,বাতাশ সব আছে । দিখন্ডিত একটি চিহ্ন আছে,তাহলে এমন নিশ্চুপ কেন?
– অধরা পাঁজর ভাঙ্গা চাঁদ চেয়ে রইলো আমার দিকে।
এসব আমার ভাবনা,কপাল-কপোল চাপড়িয়ে মুখে কি যেন বিড়বিড় করে বলে চলে এলাম বাজারে। দুকাপ চা আর বনফুল বিস্কুট খেয়ে একটি ইলিশ মাছ নিয়ে বাসায় ফিরলাম। কিচেনে মাছটা রেখে,ফ্রেশ হয়ে টিভি ছেড়ে দেখি একটি মৃত্যু সংবাদ পড়ছেন সাংবাদিক। আমার ইচ্ছে হলো তাকে টিভি থেকে বের করে এনে গলা টিপে হত্যা করি। উথালি চিন্তার মধ্যেই ভাবলাম এতে আমার শাস্তি আরো করুন হতে পারে। জেল হতে পারে, মৃত্যু হতে পারে। দুটি হত্যার দায়ভার আমি অন্তত নিতে পারবো না। মনে হলো চাঁদের কলঙ্ক আছে মানুশের নেই। আমারও নেই,সেই টিভি সাংবাদিকেরও নেই।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..