ওয়ার্ল্ড কাপ

কাজরী মজুমদার
গল্প
Bengali
ওয়ার্ল্ড কাপ
” কীরে অভি আজ কী হবে রে “
-জানি না রে, ব্রাজিল যদি আজ ভালো খেলতে না পারে তাহলে গেলো
-যা বলেছিস,তবে আজ আমার পাঁচ দশ মিনিট যেতে দেরি হতে পারে ,তুই কিন্তু খাটের পাশের চেয়ারে আমার জায়গা রাখিস
-ফোট, দেরি করে গেলে আর পাবি না
-এরকম করিস না,তোরা তো নোরবিও না,দফায় দফায় বৌদি চা,টিফিন আনবে তখন তো আমাকে উঠেই ধরতে হবে।বৌদি কি ওই গাদাগাদির মধ্যে সবাইকে দিতে পারে!
-তাহলে বাছা ঠিক সময়ে যাবে নয়তো বীরেনদার বাড়ির দরজা আর খুলবে না বুঝেছো চাঁদু
-আরে বৌদি যতদিন আছে এই শর্মাকে কেউ আটকাতে পারবে না,আরে আমি হলাম গিয়ে বৌদির আদরের দেওর
-এই তোরা নিজেরা ইয়ার্কি মারছিস মার,এরমধ্যে বৌদিকে নিয়ে…..এসব বলিসনা ভালো লাগে না
-জাব্বাবা! আমরা কী এমন খারাপ কথা বললাম, কী রে অভি?
-দূর ছাড় তো, ছোটন একটু বেশি ইমশানাল তো তাই…
পরেরদিন বীরেন বাবুর অফিসে…
-কী বীরেন বাবু কাল খেলা দেখলেন?
-দেখবো আবার না? কী খেললো,আমি তো খুব ভয় পাচ্ছিলাম,যাক এ যাত্রায় বেঁচে গেল
-আপনার চোখ তো এখনো লাল,রাতে ঘুমান নি নাকি?
-ঘুমানো কি যায় ওদের জ্বালায়
-কাদের জ্বালায়?
-ওই আমার পাড়ার সব সাঙ্গ পাঙ্গ, দল বেঁধে খেলা দেখতে আসে
-সে কী মশাই
-হ্যা ,প্রায় ষোল সতেরো জন
-কী সাংঘাতিক!
-বেটারা খেলা শেষ হলেও সঙ্গে সঙ্গে যায় না,কখনো তো আমি ঘুমিয়ে পড়ি,ওরা সেই খেলা নিয়ে আলোচনা করবে,আবার বৌদির হাতে চা খাবে তার পর প্রায় আমার বউ বকা দিয়ে দিয়ে পাঠায় বাড়িতে
-আপনি কি পাগল নাকি মশাই?
-কেন বলুন তো ?
-এই যে পাড়ার বখাটে ছেলে ছোকরা কে ঘরে ঢোকান।এই চড়া দামের বাজারে চা খাওয়ান, বাড়িতে বউ কে এদের মধ্যে রেখে ঘুমিয়েও পড়েন?
-আরে না না আমি খেলা শেষ হলে ঘুমাই।ওদের মতো আমি তো ছুড়ো নই, আমার তো বয়স হয়েছে নাকি! তার মধ্যে আবার পরের দিন অফিস থাকে
-তাই তো বলছি এদের ঘরে এলাউ করেন কেন,আপনাদের পাড়ায় ক্লাব নেই?
-হ্যা, অনেক  বড় ক্লাব আছে
-তাহলে?
-ওরা ক্লাবে দেখে না।বলে, বৌদির হাতের চায়ের সাথে ফুটবল খেলা না দেখলে পোশায় না
-বাবা আপনি তো নমস্য ব্যক্তি,এতজনকে মফতে নিজের বাড়িতে খেলা দেখাছেন
-আপনি একটা কথা ভালো বলেছেন নমস্য
-আর নয়তো কী? এটা ঠিক যে খেলা, বিশেষ করে ফুটবল খেলা সবাই মিলে দেখলে ভালো লাগে।আমরাও তো মাঝে মধ্যে ক্লাবে গিয়ে খেলা দেখি। কিন্তু আপনি তো উল্টো।আপনি বলছেন ক্লাব থাকতে ওরা আপনার বাড়িতে খেলা দেখে,আপনার মিসেস বিরক্ত হন না?
-হয় তো।বলে, কী তোমরা খেলার জন্য এত চেঁচামেচি করো কে জানে।এত বড় মাঠে একটা বল নিয়ে বাইশ জনের মধ্যে মারামারি।কেন বাবা আরো দু চারটে বল রাখলেই তো পারিস,শুধু শুধু এত পরিশ্রমের কি দরকার
-হা…হা…হা…..আপনার মিসেস তো খুব রসিক আছেন দেখছি?
-হ্যা,তা তো আছে বটেই।আবার যদি বলি ওদের এতবার চা খাওয়ানোর কী দরকার?বলে ওর বাবাও খুব ফুটবলের ভক্ত ছিলেন।তিনি বলতেন ফুটবল প্রেমিক দের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা মানে স্বয়ং পেলেকে অপমান করা।মানে রাজা কে অপমান করা,তাই আর যাই হোক, অন্য কিছু খাওয়াতে পড়ুক না পড়ুক অন্ততঃ চা তো খাওয়াবেই
-যাক ছাড়ুন,আপনার ভালোর জন্য এসব বলছিলাম। আপনি যদি এসব করতে ভালোবাসেন তাতে আমার কোনো প্রব্লেম নেই,চলুন এবার ওঠা যাক
-হ্যা চলুন,জানেন শর্মা বাবু এই বখাটে ছেলে গুলো পাড়ায় একসময় কাউকে টিকতে দিতো না।কারোর ফল চুরি করা,কারোর বাগানের টব  তুলে নেওয়া,বড় দের অসম্মান করা,সবার সামনে সিগারেটের ধোয়া ওড়ানো। পাড়ার রাস্তার এখানে ওখানে বসে জোরে জোরে হাহা হিহি করা।সবাই পাড়ায় অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলো, এটা প্রায় সাড়ে তিনবছর আগের কথা বলছি।
       পাড়ায় অনেকেই চিন্তিত ছিলেন যে পাড়ার এরকম মহল, এভাবে থাকবেন কী করে?আর সবার নিজের বাড়ি তাই ছেড়ে চলে যাওয়ার কিছু নেই।তখন আমাদের পাড়ায় কোনো ক্লাব ছিলো না।এদের নিয়ে খুব ভাবতাম,মিসেসের সাথে আলোচনা করতাম।একদিন বাজার করে ফিরছিলাম, ওরা যথারীতি রাস্তার ধারে আড্ডা মারছিল।বললাম ওদের, ওরা যেন বিকালে সবাই আমার বাড়িতে যায়।সেই শুনে কয়েকজন একটু অবাক হলেও দু একজন বলে উঠলো কী কারণে ডাকছি না বললে যাবে না।অনুরোধের সুরে বললাম যেন একটু কষ্ট করে যায়,কিছু আলোচনা আছে,তারসাথে চা জলখাবার।
 বিকালে দেখি দল বেঁধে সবাই এসে হাজির। সসম্মানে সবাইকে বসতে বললাম।ওরা আমার ব্যবহার দেখে একটু অবাকই হচ্ছিল।সবাইকে আলাদা আলাদা কে কতটা পড়াশোনা করেছে জিজ্ঞেস করলাম।তারপর বললাম …
-বেশ কদিন ধরে ভাবছি পাড়ায় তোমাদের জন্য একটা ক্লাব হলে ভালো হয়
-ক্লাব!আমাদের আর কে ক্লাব করতে দেবে
-যেখানে দূর্গাপুজো হয় সেখানে ওই খালি দিকটায়
-প্রথম কথা কেউ রাজি হবে না,দ্বিতীয় কথা ক্লাব বানানোর টাকা কোথা থেকে আসবে?
-আমি সবাইকে রাজি করাবো তবে তার আগে দুটো কথা বলো এক হলো ক্লাব তৈরি করার সময় একজন মিস্ত্রী আর লেবারের টাকা আমি দিতে পারি কিন্তু তোমাদের সবাইকে থেকে একসাথে হেলপারের কাজ করতে হবে,বলো রাজি আছো?
সবাই আনন্দের সাথে রাজি আছে বললো।তারপর বললাম….
-ক্লাব বানানোর একটা উদ্দেশ্য আছে।তোমাদের একটা বড় দায়িত্ব নিতে হবে।সেটা হলো ক্লাব হয়ে যাওয়ার পর পাড়ার সব দায়িত্ব তোমাদের নিতে হবে
-কী দায়িত্ব?
-তোমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর খেয়াল রাখবে, যেন পাড়ায় কারোর বাড়ির কিছু ক্ষতি না হয়।চুরি,রাস্তা ঘাটে কেউ যেন কোনো অসভ্যতামী না করে
ওরা কেউ অবাক,কেউ লজ্জায় কিছু বলছিলো না।বললাম…
-কী পারবে না? আমার তো মনে হয় তোমরাই আছো যারা পারবে এই দায়িত্ব নিতে
ওরা হ্যা বললেও কেন জানি ঠিক বিশ্বাস করছিলো না আমার কথা।কথার সাথে সাথে চা আর মিসেসের বানানো পকড়া খেয়ে খুব খুশি হয়ে চলে গিয়েছিল ওরা।
তার কদিন পর আমি এসব অন্যদের জানাই। সবাই আমার কথার বিপক্ষে ছিল।সবাই বলছিলো ক্লাব বানাতে দিলে ওখানে নেশার ঠেক হবে,বাজে কাজ হবে।বহুদিন আমার সাথে সবার মতভেদ ছিলো। পাড়ার ছেলেরা সব জানতো।ওদের হয়ে সবার সাথে আমি লড়ছি দেখে আমার প্রতি ওদের সম্মান যেন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। ওটা দেখে আমার মনে ক্লাব বানানোর আরো জেদ চেপে গিয়েছিলো। কারণ চোর দের যখন আমি চোর ধরার দায়িত্ব দিলাম,বখাটে বলে সবার তাচ্ছিল্য পাওয়া ছেলে গুলোকে যখন সম্মান দিলাম ,প্রাধান্য দিলাম ওরা তার ডবল সম্মান ফিরিয়ে দিলো আমায়।অনেক কিছু হওয়ার পর শেষে ক্লাব তৈরি হলো। ওরা সবাই মিলে মিশে কাজ করেছিল।আমার বাড়ি থেকে চা আর টিফিন দিয়েছিলাম।মিসেস বানিয়ে দিয়েছিল। লোকেরা খুব উপহাস করেছিল আমাদের নিয়ে।বলেছিল,আমাদের ছেলে মেয়ে নেই তাই কোনো চিন্তাও নেই।তাই নাকি আমরা এরকম ফালতু কাজে টাকা নষ্ট করতে পারছি। আমি কারোর কথায় কোনো কান দি নি বরং আমি ওদের সাথে কাজ করতেও গিয়েছিলাম,কিন্তু ওদের কাছে যেন তখন আমি ভগবান,ওরা আমায় কোনো কাজ করতে দেয় নি।ক্লাবের জন্য প্রায় সাত হাজার টাকা খরচ করেছিলাম।
   ক্লাব হওয়ার পর ওদের যেন দায়িত্ববোধ বেড়ে গিয়েছিল।পাড়াটা কে ওরা নিজেদের বলে ভাবতে থাকলো।পাড়ার লোকেরাও খুব শান্তিতে ছিল।সে বছর পূজোতে পাড়ার বাইরেও চাঁদা খুব ভালো উঠেছিল।ওদের বলেছিলাম টাকা গুলো নষ্ট না করে ক্লাবের দেওয়াল ঘেষে আরেকটা ঘর তৈরি করে ওটা ভাড়া খাটাতে,তাহলে ওখান থেকে মাসে মাসে টাকা আসবে ,সেটা থেকে ক্লাবের আরো উন্নতি করতে পারবে।তারও দুবছর পর ওরা সেই ঘর,আঁকার ক্লাসের জন্য ভাড়া দিয়ে তার টাকা জমিয়ে ছিয়াত্তর হাজার টাকা দিয়ে আমায় সাথে নিয়ে গিয়ে টিভি কিনে এনেছিল।উদ্দেশ্য ছিল এবারের ওয়ার্ল্ড কাপটা সবাই মিলে ক্লাবে দেখবে।
তার প্রায় ছ’মাস পর মিসেসের বার বার খুব শরীর খারাপ হওয়ায় ভালো করে চিকিৎসা করে ধরা পড়েছিল ক্যানসার-ফাস্ট স্টেজ।তখন পাড়া ,ছেলেরা এসব আর কিছুই আমার মাথায় ছিলো না।তখন শুধু ওকে ভালো রাখার চেষ্টা,টাকা পয়সা জোগাড়ের চেষ্টা।আমার মতো মধ্যবিত্ত মানুষের নিজের জমি বাড়ি করে , কিছু টাকা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য রেখে পেনশনের টাকায় ঠিক ঠাক দিন কাটছিল কিন্তু এ রোগের এত খরচ সেটা একটা চাপের ছিল।ওরা কেউ না কেউ আমার সাথে এখানে ওখানেও যেত।ডাক্তার বলেছিলেন এভাবেই ঠিক মতো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারলে মিসেস একেবারে ঠিক হয়ে যাবে।মিসেসের গয়নাও বেশ ভালো পরিমানেই ছিল।একদিন বললো আমি যেন খুব চিন্তা না করি ,ও ওর সব গয়না বেঁচে দেবে। তার দুদিন পর একদিন ওরা প্রায় সবাই আমার ঘরে এসে হাজির। বললো আর এক সপ্তাহ পর ওয়ার্ল্ড কাপ, ওরা সবাই মিলে একসাথে ফুটবল খেলা দেখবে ঠিক করেছে। আমি বললাম সে তো খুব ভালো,তবে আমি ক্লাবে যাবো দেখতে তবে খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না,কারণ ওদের বৌদির শরীর তো ভালো না।ওরা সব শোনার পর আমায় একটা খাম দিয়েছিল।আমি খামটা খুলে দেখি তাতে অনেক টাকা। জিজ্ঞেস করায় বলেছিল একানোব্বই হাজার টাকা আছে।আমি বললাম…
-এত টাকা তোমরা কোথায় পেলে,আর এটা আমায় দিলে কেন?
-এটা আমাদের টাকা, এটা বৌদির চিকিৎসার কাজে আসবে
-কিন্তু এত টাকা এলো কোথা থেকে?
-টিভিটা আমরা বেঁচে দিয়েছি
-কী! কী বলছো এসব,তোমরা তো ওয়ার্ল্ড কাপ দেখবে বলে কিনেছিলে
-হ্যা তাতে কী হয়েছে,ওয়ার্ল্ড কাপ তো প্রতি চার বছর পর আসবে কিন্তু বৌদি….তবে টিভির টাকার সাথে বাকি টাকাটা হলো,আসলে ক্লাব ঘরটাও আপাততঃ ছ’মাসের এডভান্স নিয়ে ভাড়া দিয়েছি।এখানে সবটা আছে
-আমি এ টাকা নিতে পারবো না
-আমরা ঠিক করেছি ,এবারের ওয়ার্ল্ড কাপ আমরা তোমাদের বাড়িতে দেখবো।কী দেখতে দেবে না?…ও বৌদি…? এদিকে শোনো না
-আমরা বৌদির হাতের চা খাবো আর এখানেই সবাই মিলে ম্যাচ দেখবো
ওদের কথায় আমার যেন মুখের ভাষা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওদের কত শখের টিভিটা বিক্রি করে দিলো,অথচ কত নরমাল হয়ে কথা বলছিল যেন কিছুই হয় নি। ছেলে গুলো হঠাৎ করে এত বড় হয়ে গেল? মনে পড়ে গেল সেই উপহাস গুলো,যারা আমার ক্লাবে সাত হাজার টাকা খরচ করায় ব্যঙ্গ করেছিল। তারা তো ভাবতেই পারবে না যে আমি আমার সাত হাজারের দশ গুণ বেশি সুদ সমেত ফেরত পেলাম।
      সেই টাকা আমায় নিতে বাধ্য করেছিল ওরা। এখন ওরা আমার ওখানে হৈ হৈ করে খেলা দেখে। এ মাসের শেষে মিসেসের একটা অপারেশান আছে। যেহেতু সেটা ওয়ার্ল্ড কাপের মধ্যে পড়েছে,তাই ওটা আমার মিসেসের ইচ্ছায় একটু পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ল্ড কাপ শেষ হলেই ওর অপারেশন। জানি না কী হবে,ভগবানই জানেন। তবে আমার সাঙ্গ পাঙ্গেরা বলে, ওদের বৌদি নাকি ঠিক লড়ে ফিরবে।সব থেকে অবাক হয়েছি ,গতকাল যখন ওরা আমার মিসেসকে বলল…..
-বৌদি তুমি দুর্বল হবে না কিন্তু।খেলার মতো তোমার ওপর আমরা বেট রেখেছি। তুমি যদি লড়াই করা ছেড়ে দাও আমরা আর কখনো ক্লাবে টিভি কিনবো না। আমরা আর কখনো ক্লাবে একসাথে ওয়ার্ল্ড কাপ দেখতে পারবো না। তোমায় লড়ে ফিরতেই হবে,আমরা তোমায় সাথে নিয়ে আবার বড় টিভি কিনবো।বৌদি আমরা সবাই তোমার সাথে আছি। আমাদের তোমায় জিতাতেই হবে… তুমি দেখো আমরা ঠিক জিতবোই…

কাজরী মজুমদার। লেখক। জন্ম ও ভিটেমাটি ভারতের কলকাতায়। বর্তমানে স্বামীর কর্মস্থলের সূত্রে দিল্লিতে বসবাস। গল্প, উপন্যাস, কবিতা ও সামাজিক বিষয়ে সরল ভাষায় লেখালিখি করেন। তিনি বিশেষত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে লিখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এছাড়া বিভিন্ন ম্যাগাজিন আর পত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি করে...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

বালির বেহালা

বালির বেহালা

বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..

তদন্ত

তদন্ত

  এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..