প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
হাঁটছি ছায়ার সঙ্গে কথা বলতে বলতে
হাতের ডান পাশ করাত কাটা গাছের মুখোমুখি
বা-পাশে সমুদ্রের দৈর্ঘ্য জল
দ্রোপদি কুজবক দুরন্ত আকাশের পথ আঁকে
দিগন্তের ছয়টি গল্প সূর্যের আলোয় মেঘ কাটে-
এক টুকরো স্বপ্নালু-নিশাচর পরিযায়ীর মত;
পৃথিবীর এভিনিউ থেকে কঙ্কালমালিনীর শেষকথা
উঠে আসে রোজ,আঙুলের আংটি হারিয়ে গেছে
হাত খালি চুড়ি ভাঙা তাঁর
সেদিন ব্যাগভর্তি সহৃদয় কান্না করেছিল।
পেপারওয়েট চাপা সমাজ
আজ যেন চিলেকোঠার দুরারোগ্য ক্যাকটাস।
শাদা কাগুজে চিনি দধি মিশ্রিত কালোজাম
টকজল গন্ধ ওড়ে
মাছি ওড়ে,মানুষ ওড়ে…
পিঁপড়ার গুটি পা ক্যাশপ্যাট থেকে বাঁকা পথ ঘুরতে ঘুরতে
টিস্যুর মত পরিত্যক্তায় জমাট বাঁধে
দীর্ঘ ধূলির ভেতর গ্রাম ও শহর
সঞ্জীবিত সংযোগ,গল্পজোট,ধ্রুব পুরস্কার;
আজকের,ঘষামাজা সামাজিক তরুণের অভিমুখ
এক কাপ লাল চায়ের ফিরফিরে ফুঁ,
উষ্মতার ধোঁয়া,মন্থ পাঠের লোকালয়-
তীর্থঘোড়ার বেতাল ক্ষুরশব্দ,কুয়াশার ঝাঁপি খোলা রোদ
সৌমিত্র রঙের সকল গুমোটের খোলস ভাঙে।
এখনো শহীদের তোরণ
সুদীর্ঘ পথে আমাদের বাড়ি বাড়ি আসে।
বুনোঘাসে ঠোঁট কামড়ানো ধূসর বিকেলে
শুয়ে ঘাড় কাত করে
ক্লান্ত শরীর ঢেলে মা ডাক দেয়-
আয় বাবা…
ভাঙা চৌকাঠে তারকাটা পেঁচানো
কমলা রোদের পাড় ভাঙা
অপলক ঝলকে তাকানো
দেয়াল জোড়া ছবিটির নীল মুখে
তার গায়ে রক্ত জড়ানো-
এখনো যেমন স্বাস্থ্য তেমন রঙ!
হঠাৎ একদিন এই শহরের রোদ ধূসরে মলিন হবে।
দানব ট্রাকে চড়ে যায় বাতাস
গ্রাম ও অরণ্যের দুয়ারে-
আপন বলতে শেকড়ে বাঁধা জৌলুস সুন্দরবন
অচেনা পরিযায়ী ফুলের গন্ধ
নদী ভেসে মাঝিমাল্লার বৌঠায় বুনে যায়
মাঠের দ্বিচক্রকাল,পুলক রাঙা গনগনে ঋতুর ঘরদোর
আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক।
ধূলোর ওপরে শীত কুয়াশার দমকল
খ্যাপাটে ভাষায় বার্তা ওড়ায় পিচঢালা নগরী-
গ্রীষ্মঋতুর মত মর্মান্তিক মৃতে;মানুষগুলো ধূসরে নভোনীল।
তারপর!আমাদের বাবা,পানের খিলি খুলে তাকায়
আদিম বাপ দাদার উঠানে-
নীরবতায় জন্মান্ধে কয়েকবার
আপন রক্ত জাপটে ধরে বলেন
কত প্রাণ হেঁটে গেছে চারদিক
জীবিত ধমনি-শিরায়,মসৃণ সড়কপথ-উত্তর আত্মীয়তায়
কোলবালিশের শাদা শিমুল তোলায়
যেমন ভুবনচিলের মত উড়ে যায় দিগ-প্রান্তর!
চোখ ভরা দ্বিতল চিলেকোঠায় উস্কানো শহর।
কাঁচা পাতার হাততালি ওড়ে
কুহক পাখির ডান পাখনায় গত বসন্তের নাবালিকা মঞ্চ,
আলগোছ কীটপতঙ্গ মোলায়েম সংগীতময়
মনকাড়া রূপসীর নৃত্যজল একাকারে-
দুর্বৃত্তের মত বিরাট উর্বর
মাঠের ভেতর ঘাসে লটকানো ঘাস,পাতা দোলানো গাছ
দ্বিবীজ শত শত লাইব্রেরী,দিগন্ত নখের কার্নিশে বেড়ে ওঠা
শেয়ালকাঁটার দেহ,রাতচোরা জ্যোৎস্নার শাদা মোম-
এবং সকালে জ্বলে নাবালিকার উদাসী বউঠান!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..