কবাডি কবাডি

রথীন বনিক
কবিতা, প্রবন্ধ
Bengali
কবাডি কবাডি

সব কেনোয় সচ্চিদানন্দ তাড়াতাড়ি জন্মায় না পারিপার্শ্বিকতার মতো অন্তরের আকরিক, লৌহকণা নিত্য নব নব ভাবের আলোয় নিজেকে দেখতে থাকে সব দেখারই রূপ থাকে না, থাকে না দেহজ কামড় তবুও সময়ের কিছু অনুমান এই সূক্ষ্ম কাষ্ঠল সমাধিতে দাঁড়িয়ে পরকাশ করাই যায় শরীরের ইহলোকে যে সানাই বাজছে তাতো উস্তাদ বিসমিল্লাহর নয় প্রত্যেকের নিজস্ব সে মহলে পড়া বিষয়টা অনেক রকম। কখনও আত্মাকে গুরু বানিয়ে ব্রহ্মচর্য। নতুন পথের খোঁজ প্রকৃতির উশকোখুশকো চলাফেরায় মানুষের বৃহৎ প্রত্যঙ্গ সবই পড়ার আয়তাকার ক্ষেত্রের পরিসীমা সূত্র…

লুইপাদ থেকে আজকের কাচাকুচি বর্তমান খিদে যখন আসে আমি আমার মতো ছিড়ে খুঁড়ে খাই। কখনও হাত না ধুয়ে মুখ না ধুয়ে বসে থাকি সরহপাদের প্যান্ট জামায়। কেন পড়ির অবিন্যস্ত উপাত্ত মস্তকে মাঝে মাঝে না পড়ার ধূলো ঝাড়তে ঝাড়তে আজো পরী গঙ্গাসাগর। কপিল মুনির ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া,হাইকুর শাসন শুধুই কি মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচবো বলে এই সব পড়াপরীর নাটক। এরকম আত্মজিজ্ঞাসা আমার সই… কখনও আদরের চাপে গলা টিপে ধরে কখনও বা লাথি মারে বলে যা তুই শালা মূর্খ তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না… বই পড়েই অনেক অনেক আয়না এ সহবাস সত্যিই কেউ শেখাবে না।

তোর

এই অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর আমাকে তাড়া করে মাঝরাতেও ঘুম হয় না… নিজের মরা পোড়ানোটা আমার একধরনের বাতিক… মনসা যেমন ধুনোর ধোঁয়া সহ্য করতে পারে না তেমনি কেন লিখির বদলে বদলে যাওয়া উত্তর যিনি পরীক্ষক তার অবস্থাটা ভাবুন। সময়ের চাহিদা, ব্যক্তির চাহিদা, বট,অশথের চাহিদা মন দিয়ে যতটা আমার নজরে পড়ে ততটা কবিতার নয়। মনে হয় তার হরমোন জন্ম থেকেই প্রত্যাশামুক্ত। শুধু উঁকিঝুঁকি মারার জন্য অজস্র ঘুমের ধর্ষণ কিংবা যাবজ্জীবন। কোকেনের মতো চারপাশের ঝুলে থাকা সম্পর্ক… শুধুমুধু আমার পলায়ন বহুগামী কবিতার জন্য এই রকম স্বার্থপরতা আষ্টেপৃষ্ঠে বমি পায় শতছিদ্র বিছানায়… একঘরে হয়ে যাওয়া কারাবাসে যেমন আনন্দ আছে তেমনি যন্ত্রণা। কেনর প্রাচীর সরতে চায় না। ফ্যান দেখলেই আত্মহত্যার কথা মনে পড়ে। এতো ব্যভিচার অহরহ ফোঁটা ফোঁটা তন্ত্র, গুপ্ত মায়াবিদ্যা আমাকে লাথি মারে আর বলে কি রে বানচোদ তোর কি আর জীবন নেই…

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..