প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কবিতা গানের সুর সরসীর পারে
অদৃশ্য মেঘ বৃষ্টির নিবিড় আঁধারে
জিরিয়ে নিতে ভালোবাসে এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে।
ঘুম ছুঁয়ে আসে জ্যোৎস্না-মুখর চাঁদ
নিষেধ ভেঙে মাকড়সা সুতোর ফাঁদ।
এলোমেলো নিরিবিলি অলসদুপুর আনন্দ জাগানিয়া ছন্দ বাহারে।
এক ডুবে ছুঁয়ে আসে নদীর গভীর
সূর্য-রোদ সমুদ্র-স্নানে গোটা শরীর।
কবিতার জন্য জন্ম কবিতার জন্য মৃত্যু পাপপুণ্য মুক্তির সাঁতারে।
ঝরা পাতা
মাটি ধরে আরও বসন্ত দেখার প্রত্যাশায়
কুল-ভাঙা ঢেউ ডুবতে চায় মাঝ দরিয়ায়
কবিতা জুড়তে ভালোবাসে
কবিতা পুড়তে ভালোবাসে
কবিতা ডুবতে ভালোবাসে
বিদ্যুত সুন্দরী করিশ্মার নিয়তির মদিরায়।
চুপচাপ আলোর উষ্ণতা আঁচিয়ে মরণের সুখ আছে
নির্জলা উপোষী হৃদয় বাড়িয়ে শুদ্ধতর বিষের আঁচে
কবিরা শব্দ-মাটি কামড়ে কবিতার শিকড় ধরে বাঁচে।
সুখ-দুঃখ নিয়ে জীবন বর্তে
দু’হাত খুলে বসে থাকি।
সূর্যের নিস্তেজ আলোর গর্তে
ধ্বংস-বিগ্রহ তুলে রাখি।
ঋতুমতী শরীর ফেলে
মন্দিরের গর্ভগৃহ ঘুরে এসেছি
সকালের দরজা ঠেলে
সমস্ত ঈশ্বর রক্ত-স্নাত দেখেছি।
বিদ্রোহের আড়ালে অমৃতসমান
ছড়ায় সুগন্ধ বাঁচার আমদরবারে।
মাটির টানের চেয়ে পেটের টান
ভাত-বস্ত্রের সংঘাত ঘর-সংসারে।
আমার মেঘ-কজ্জল
আমার বৃষ্টি-জল-ধারা
ভালোবাসলে তোমার খামার ভরে দেবো শস্যে।
আমার ছারখার
আমার ভাঙা-বেড়া-ঘর
হৃদয় খুঁড়ে চলা নিখোঁজ বুকের গভীরে
বাঁধলে বাসা সমস্ত যাপন ভরে দেবো
আকাশ-ঘাস ছোঁয়াছুয়ির প্রাণময় সমীরে।
আমার ঔদ্ধত্য
আমার পথ-ভ্রষ্ট-কবিতা
স্পর্ধার আঁচড় টেনে বেদনা-শীলতায় ভরিয়ে
শব্দ বিস্ফোরণ কাব্যসৃষ্টির ঝনৎকার নয়
মুখ ফুটে বলতে ভালোবাসার অক্ষর ধরিয়ে।
অতর্কিতে সকাল ফেলে পালিয়ে গেলে
অংশুমালী সন্ধ্যার আঁচল মাথায় ফেলে
দিব্যি তুলে দাঁড়িয়ে আছি তোমার চৌকাঠে
রাখবো আমার হৃদয় ভালোবাসার হাঁড়িকাঠে।
শিশুবৎ বাচ্চাদের দেখেছি খেলাচ্ছলে
‘ঘরবাঁধা’খেলার নিমগ্নতায় ক্রমশ ডুবতে।
আবার ঠিক রকম খেলা না হলে ঝগড়া, চেঁচামেচি,
রাগারাগি কাটাকুটির ভেতর নিমিষে আড়ি নিমিষে ভাব হতে।
নিজেদের নালিশ নিজেরায় সালিসি করতে ।
কখনও খেলনাবাটি এলোমেলো হলে, চটপট হাতে হাতে
খুব সহজে গোছগাছ করতে।
সংসার একঘেঁয়েমি কাটিয়ে নিতে মাঝে মধ্যে অনেক রকম খেলায়
হাতে হাত মিলিয়ে গান গাইতে। এক্কা দোক্কায় লাফিয়ে লাফিয়ে যেতে।
তারপর মিছিমিছি
খেলতে খেলতে দেখেছি সত্যি শুয়ে পড়তে নিশ্চিন্তে
আকাশের স্বচ্ছতা দু’চোখে পেতে আড়ি ভাবের মেঝেতে
ক্লান্তি নামিয়ে একবুক ঘুমের সংসারে ।
আমি বড়ো হয়েছি, তুমিও বড়ো হয়েছো
সামাজিক নিয়মে বাঁধছি ঘরসংসার,কিন্তু নিজের নিজের আধারে।
জমিয়ে রাখছি বচসা,কাজিয়া,রাগারাগি চোখে মুখে খবরদার,
যে যার নিজস্ব দাপট,জেদের অহংকারে।
সংসারপাতা ছিঁড়লে, মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি। ছুটে যাচ্ছি
দু’জনে নিজেদের ব্যস্ততার ক্যালেন্ডারের পাতায়
আলাদা আলাদা অবস্থানে যে যার আদবের চাদরের অন্ধকারে।
তারপর সত্যি সত্যি পারছিনা।
সংসারের বিছানা বালিশে ঘুম জোড়া লাগাতে
বোঝাপড়ার শিকড় সারাতে, ভালোবাসা গোছাতে
ভুলভ্রান্তির অবসাদ তাড়িয়ে ,
বাচ্চার মতো সংসারের পাতায় দু’চোখের পাতা এক করতে।
একদা আমার স্বপ্ন ছিল।
তুমি আমায় পাগলের মতো ভালোবাসবে।
ভোর ভোর স্নান সেরে, দুই ভ্রুর মাঝখানে টিপ আঁকবে।
আঙুলের ডগায় সিঁদুর ভিজিয়ে সিঁথির পথ উন্নয়ন রাখবে।
শেষটুকু শাঁখাপলা ছুঁয়ে, বিবাহিত শরীরে যৌবন সাধবে ।
আমার জন্য উসনো চালের ভাত রাঁধবে।
চাঁদের লণ্ঠনের আলো ছোটো করে একখানা ঘরে
দু’খানা জীবন জাপটে মেঝের শীতে উষ্ণতা ধরে
বহমান চুমুর নিশ্বাসে কষ্টের ক্ষত সারিয়ে চুপকরে
নিরবয়ব আলিঙ্গন আস্বাদে সহস্র মরণে রমণবাস চাইবে ।
আমার জন্য অজস্র কবিতার ছন্দ পয়ার বাঁধবে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..