প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কবিতা কেন পড়ি?
পড়ি বাধ্য হয়ে, স্কুল পাঠ্য থেকে যার শুরুয়াত। যে বাধ্যবাধকতা ছিল না মা ঠাকুমা দিদিমার, ছড়ায়। হ্যাঁ কবিতা বলতে যে সূক্ষ্ম সাহিত্যকর্ম রূপটি মগজে প্লব হয়, ধারণা হয়, তার গোড়াটা এরকমই, সব পাঠকের এবং সব কবি জীবনের ইতিহাসে। কবিতা কেন পড়ি, এই প্রশ্ন গ্রহণ করার করিশমা বা ধক আমাতে নেই। উত্তর, কবিতা পড়ি কই। তবে কবিতা পড়া, গড়া টের পাই। পাইয়ে দেওয়া হয়। সামান্যতম শিল্প সাহিত্য মনস্ক হলেই হলো। রেহাই নেই, কবিদের, কবিতার, খপ্পরে পড়তেই হবে। শত শত কবির, ভূরি ভূরি কবিতা। অবিরাম উঠে আসা কবি প্রজন্ম। আর অবহেলার তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের আংশিক পাঠের মধ্যেও ভাসা ভাসা নির্ধারণ। কিছু কবিতা চিহ্নিত করে কবি মগজের বদ্ধ জলাশয় হয়ে যাওয়া। আটকে গেছে, ওইটাই শেষ শৃঙ্গের সীমায়ন। নিয়মিত শব্দের ব্যায়াম সত্ত্বেও আসেই না, হয়ে ওঠে না, উত্তরণ নেই। আবার উঠতি ডেঁপো নামীদের অনুকরণে ব্যস্ত ভাবতে ভাবতে রিয়েলাইজ, নাঃ নিয়ে জন্মেছে। এঁর কবিতার পথশ্রম বাঁক নিচ্ছে নিজস্ব ভঙ্গিমায়। লাগাতার লেগে থাকা, পেরিয়ে যাওয়া, শ্রম। একসময় আনত করে কনিষ্ঠের নিষ্ঠায়।
এই সব বলা মানে কিছুটা পড়া হয়ে যায়। তা খুব অকিঞ্চিতকর, তা খুব নির্বোধ অযোগ্যের হলেও। আবার ওইটুকু নতিস্বীকার নিজের দিকে ফিরে জিগায়, পাঠক হয়ে গেলি নাকি? দুর্বোধ্যতায় স্টাফড। খানা খন্দ, পাথর, কাঁটাঝোঁপ, আগাছা, বুল শিট, সবই দেখি কবিতার অন্তর্গত। কবিতার কোন ম্যাস্কুলিন বা ফেমিনিন বা ট্রান্সজেণ্ডার, কোন চেহারাই তৈরি হয়নি। শব্দের জঞ্জাল স্তূপ। মাস্টারদের হাতে খুললেও, অন্তমিল একঘেয়ে। ছন্দ প্রায় বুঝিনা, যেমন অনেক কলেজ শিক্ষক, বুঝে পাস দিয়েছে, পড়ায়, নাম জানে, তবু বোঝে না। তবু বাকি থেকে যায়। কেউ কেউ হুক করে। আক্রমণ যথার্থ। কবিতা যতই গভীর নান্দনিক উতরানো আদর্শ হোক, সমস্তটা বুঝে ফেললেই মুস্কিল। নাম্বার কমে গেল, দুর্বোধ্য মাথামুণ্ডুহীনের অভিযোগ বজায় রেখেও। গদ্যে থাকি গানে থাকি কবিতার থেকে তফাতে, কিছুটা ভয়ে, কিছুটা ভীড়ভাট্টার পাঠ আর উৎসবের ঘ্যানঘ্যানানি বিদ্বেষে।
আন্তর্জাতিক কবিতা জগত দূরের কথা, দু-বাংলার হাজার হাজার কবির কবিতা ধারাবাহিকতা, দশকের হিসাব, চর্চা করার, ধারণ করার তুমুল আবেগ কোনদিনই অনুভব করিনি। এতটা তফাত থাকাতেও, কিন্তু, তবু, কবিতা আক্রমণ করে বসে। সমুদ্রের তলায় ফুটে থাকা আন্দোলিত ফুলের মতো প্রাণীদল তারা কখনো কখনো গ্রাস করে নেয় কাছাকাছি আসা ছোট মাছ, আমাকে।
এই আক্রান্ত হওয়া আমার কবিতা পাঠ। যার মধ্যে দুর্বোধ্যতার সমস্ত বদগুণ আছে। অন্তমিল অসম্ভব বয়ান। ছন্দরীতি ফাঁড়ফোঁড়। তবু সেখানে এক ওম, মাদক স্পর্শ, যৌনতা অধিক এক চুম্বক সৃষ্টি। এক শিল্পদেবীর ইশারাময় রহস্য। উন্মোচিত অনাবৃত করার, পাতালে নিয়ে যাওয়ার ডাক। গভীরে যাওয়ার আমন্ত্রণ। হাত ধরে সে নিয়েও যায় খানিক। বাকি চেষ্টা প্রায় প্রাকৃতিক করে তুলে রাখার ক্ষমতা রাখে সেই সব কবিতা। আমার পড়া হয়। আমাকে পড়িয়ে নেওয়া হয়। এক আমোদ পাই। এই রহস্যঘন আস্বাদ, এক চ্যালেঞ্জের সিঁড়িভাঙা অংক। পৃথিবী থেকে এক অপার্থিব, বাস্তব থেকে এক পরাবাস্তব, এইসব এবং আরো কিছু বলতে না পারার লেগে, কবিতা কখনো পড়ি। ফলে অজ্ঞেরও নামমাত্র জানা হয়। খুব ছোট্ট ব্যক্তিগত সীমিত তালিকা তৈরি হয় খান কয়েক কবির।
কবিতা কেন লিখি?
আমাদের দুই বাংলায় যেভাবে হেদিয়ে কবিতা ধাওয়া হয় তেমন ধাইনে। ছাড়া ছাড়া, অসম ফারাকে লেখা। ফলে দশুকে দাগিয়ে দেবার অবকাশ রাখিনি। দশকিয়া মাইলস্টোনে বিশ্বাসও নেই। কিন্তু লিখি। কারণ গদ্য অপেক্ষাকৃত বেশি হলেও কবিতা দিয়েই আর সবার মতো লেখার শুরু। মোটামুটি ছন্দ অন্তমিলে উতরানোই তো প্রথম মাপকাঠি, সার্টিফিকেট,আহ্লাদ। তবেই না লেখার ইচ্ছা, উৎসাহ! তারপর তো ভাঙচুর।
নির্বাচন, কোথায়, গদ্যে না পদ্যে! গদ্যতো কেমন গদ্য! পদ্য তো কেমন পদ্য! না আমি কবিতায় স্টিক করে থাকতে পারিনি। কম শ্রমের কারণে এত ভীড় ভাট্টা বলেও সন্দেহ হয়! সাহিত্যক্ষেত্রে উত্তরোত্তর কবি সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে। কবিতার মতো গদ্যেরও লিমিটেশন থাকে। কখনো ঝোঁক আসে কবিতার। গদ্য নিয়ে খেলা বেশি। তো সব বেশিতেই ক্লান্তি থাকে, এক ঘেয়েমি। তাছাড়া বিদ্যুৎ স্পর্শ দেয় কেউ, সঞ্চার থেকে সংক্রমণ, বা আক্রমণ থেকে যুদ্ধনেশা। বা তেমন কোনো কিছুই নয়। বা হঠাৎ কোকিলের মেটিং কল, বা ফেরিওয়ালার ডাকের মতো তাৎক্ষণিক চাড় একখানা, অনেকদিন কবিতা হয়নি তো! ভাবার কাছাকাছি বালির তলায় জলের প্রবাহ। একটু খুঁড়তেই অন্তঃসলিলার কলকল আত্মপ্রকাশ।
হলোনা কিসসু,বালি ঠেলতে বেলা গেল তেমনও হয়। এই হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় বা রূপরেখা নেই। কেন লিখির জবাবে এও বলা যায়, একটু পাঞ্জার জোর মাপি, খানিক কমপিটিশন করি। শব্দের ওপর দখল যাচাই হয়। বিমূর্ত, দলা দলা ভাবনাকে, অনেকানেক ইমপোজ, সুপার ইমপোজকে, শব্দ দিয়ে গড়বার, ধরবার, ব্যায়ামও হয় ওঠে মাঝে মাঝে। আর পাশাপাশি থাকে বইকি স্বতঃস্ফূর্ত! যার অনুপস্থিতিতে কোনো মাত্রার লেখক হওয়াই সম্ভব নয়। থাকে প্রতিফলন ইচ্ছা। সঞ্চারণ। ইত্যাদি সরল এবং জটিল কারণেই কবিতা লেখা।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..