দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
নগর জীবনের যান্ত্রিক কোলাহল মাড়িয়ে
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত ক্ষুধার্ত কবি-
এসে বসলেন জানালার পাশ ঘেষে
মাথার উপরে তার ছনের ছাউনি
মাটির পৃথিবী তাঁকে কিছুই দেয়নি ,তাই-
আকাশটা খুব আপন মনে হলো কবির ;
চারপাশ ভীষণ অন্ধকার বাতি নেই ঘরে
কী আর করবেন কবি তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় ,
পেটের ভাতই সময় মতো জুটেনা আর বাতি
সে তো বিলাসীতাই কবির জন্য ,
পৃথিবীটা যেনো তাঁর বিরান অরণ্য ।
কবি জানালা দিয়ে
আকাশ দেখলেন,দেখলেন একফালি চাঁদ
বিশাল আকাশ খন্ড খন্ড মেঘের সাথে চাঁদের
লুকোচুরি খেলা,কবি কোথায় যেনো হারিয়ে গেলেন
ঐ দূর মহাশূণ্যে তারার দেশে চড়ে কল্পনার ভেলা।
কবি আজ চির মুক্ত চির বন্ধনহীন
বিশাল আকাশেকে মনে তাঁর কবিতার জমিন;
কবি ভুলে গেলেন জাগতিক সব কষ্ট গুলো
কবি ভুলে গেলেন জীবনের গ্লানি যা ছিলো,
কবি গেয়ে উঠলেন গান,
মহাশূণ্যের শূন্য জঠরে কবির পরিত্রাণ ।
ও আকাশ তুই আপন করে নে আমায়
শূন্য হাতে এসেছি আজ তোমার আঙিনায়
ও আকাশ তুই আপন করে নে আমায় –—
২১,৩,১৮
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..