দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
জুয়াড়ী বলে যাকে অধম্মের দিকে ঠেলে দাও
সেও বিশ্বাসী, তার বিশ্বাস পরের দানে হবে বাজীমাৎ।
পরিমিত পেশীর রিক্সাওয়ালা যে প্লাস্টিকের সাথে রেসে ধাবমান
সেও বিশ্বাসী, তার বিশ্বাস আরোহিনী কি তার তান্ডব গতিতে
একটু হলেও পুলকিত অথবা বিমোহিত হবে।
বিশ্বাস এক অনবরত মিথ্যা আশ্বাস,
প্রলোভনে যে নারী বিশ্বাস না মেনে
শিশ্নের অভিকর্ষে প্রথম পেন্টি খুলেছিল,
সেও আজ নিয়ম করে দেবালয়ে যায়।
মানুষের চেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের মুখ
নিতম্ব বিধৌত নারী পথিকের দিকে ছুঁড়ে মারে মাদক ইশারা
মিনারের সামনে যে ডমুরের ফুল তা এখন স্রস্ত কুন্তলে
শুয়ে আছে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের বিরহ শয্যায়।
রিক্সামুক্ত সরণি, গলির মাথায় মাংসের দোকান
খদ্দের কোথায়? জনমিতি বৃদ্ধির হারে দাম বেড়ে গেছে
কাকভেজা পথে বেগানা বৃষ্টি তবুও সবার কাছে ছাতা থাকে না
তাই আজো খিচুড়ি খাবো বলে চেপে রাখি অদম্য শিশ্নের শখ।
নীল দ্রবণে ঢাকা
নয়ন জোড়া
বিদ্যুৎ ঝলক হানে
ভ্রুপল্লবে আয়েসি ঘুম
ভান করে গোপন প্রণয়ের,
দেমাগী কিশোরীর নখরে
অবজ্ঞার আভাস,
এক্রোলিক নিটোল মুখে
স্বেচ্ছাশৃঙ্গারের মূর্ছণা।
আহা, কি যে ভাল লেগেছিল যৌবনে
লাবণ্যের চির-হরিৎ মননে; একদিন
ফিরে দেখি পাতার বাঁশিটি আর নাই।
সাপের মত খোলস বদলে দিতে পারলে
জ্বরা ভুলে কোন বোকা যাবে বানপ্রস্থে?
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..