করনা-করচা

পার্থ রায়
কবিতা
Bengali
করনা-করচা

করনা-করচা

ট্যাঙ্কি ভরা পেট্রোল ডিজেল,
বুঝিনা এ কেমন খেল
মাথা ভর্তি ভাতের গন্ধ।
কি কান্ড !
ভগবানের লংগর খানা বন্ধ!
আচ্ছা কবি খাওয়া ট্রামে কি লেখা ছিল The End।
বলতে পারো কেউ
না তোমরা সব লেস আঁটা সরকারি ফেউ?
বাড়ি যান বাড়ি এখন করোনা ট্রেন্ড,
বাড়ি বসে বানান ভার্চুয়াল ফ্রেন্ড।
সে কি,
আমি যে অক্ষর মেলানো কবি
নাই চুলো নাই চাল
কথার ওপর কথা সাজিয়ে বানিয়ে চলি দুর্ভেদ্য ঢাল।
নাই ভাত নাই ছাত,
অক্ষরের ওপর অক্ষর সাজিয়ে পারি করতে ন্যাংটো রাজার কিস্তি মাত।
ভয় বেচ গে ভয়
তবু ভূখো পেটের মিছিলের হবে জয়।
উড়বে আবির পড়বে অনেক লাশ,
কবিখেকো ট্রামের চক্রান্ত এবার হবে ফাঁস।

 

পদ্য লেখা যখন

তিন এক্কে তিন
কি মশাই কাজকম্ম নেই!
বেশ, তবে ঘোড়ার ডিমে তা দিন
তিন দুগুনে ছয়
আহা !এই না হলে হয়!
এখন ইহা’কে মধ্যবিত্ত কয়
তিন তিরিক’কে নয়
উহু বাবা এলেমদার
চুনো পুঁটি কি করে হয়?
তিন চারে বারো
বা বা বা, বা বা, বা
উন্নতি করতে হবে আরো
তিন পাঁচে পনেরো,
ওয়ান্ডারফুল!
একদম সোনার টুকরো
তিন ছয় আঠারো
বলেন কি মশাই!
আপনার তো পোয়া বারো!
আসলে আমার কোনো কবিতার খাতা নেই
কবিতা লিখতে আমি পারিনা
কথার পিঠে সাজানো কথা কখন যে শিলিং ছুঁয়ে দরজা ভায়া পালিয়ে যায় , বুঝতেও পারিনা
আমি কবিতা লিখতে পারিনা
কবিতা বুঝিও না প্রায়
হংস মধ্যে বক যথা হয়ে মাথা দুলিয়ে হাসি খিঁক খিঁক
টিকটিকির মতো ডেকে উঠি ঠিক ঠিক ঠিক
ওগুলো কি লেখা নাকি?
শুধু যতসব আবেগ আদপে গারবেজ
অনুরাগিনীর ফরমায়েশ
তাও ম্যানেজ হয় বেশ
মাটি আমার বাংলাদেশ
অনামী কবি’র নাই শেষ
তার মোহিত চাউনির চমক ,
ছড়ায় মাথায় কেমিক্যাল রেশ,
বিছানায় আদিম রিপু মিলে হয় অনুরাগ শেষ
কবিতার খাতা আমার নাই
আমি কবিতা লিখি না
আসলে ভীষণ মধ্যবিত্ত,
ভীষণ ছোট আমার বৃত্ত
এখানে বিক্রি হয় সবকিছু
একটু ভেবে দেখ হে মাথা দিয়ে
ফুসফুস ভর্তি হাওয়া বিক্রি হয়
বেলুনের নাম নিয়ে।

পার্থ রায়। জন্ম ও বাস ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের বর্ধমানে।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ