প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এবারের শীতে হাতের তেলোয়, শিশির-কণা ওজন করে দেখি
আত্মা নামের পিং পং বলটাকে ধরা যায় কিনা!
তুমি আমি এক বিরল পিরান, ভাবি;
শীতের সড়কে গা’য় জড়াজড়ি নতুন কুয়াশা!
বলো তো এবার শীতে
পাতাদের সাথে ঝরে যাবে নাকি করোনা-ব্যারাম?
এইসব ভাবি আর মুখে, রাতের আকাশ কিনা ঘাম জমা টের পায়
তার বিদ্যুচ্চমকে!
এতো যায় নরকের হাতকড়া বেজে, মর্গের আন্ধারে একা!
মৃতদের নাক শুঁকে নমুনা সংগ্রহে যায়, কাঠের চিমটা!
আমি এক মৃতের শরীর নাকি? গায়ে লাগে এসে মর্গ-বাতাস!
এবারের শীতে বিল শুকালে রোদের ভারে
কতটা সহজ ধুলি, ক্যামনে তাহাই বলি!
শোক থেকে নেমে গিয়ে, নদীসজ্জা কি পাব জলের সামনে?
স্বস্তি কুড়িয়ে নতজানু হও, এইবার, আর হও উচ্চারিত;
হও দুর্দম ষাঁড়ের সিনা, সাফা-মারওয়া বুকে উচ্চারিত হও, ক্রমে
বৃক্ষের গ্রহে, পৃথিবীর দহে, শ্রাবণের স্নেহে;
আনত স্মৃতির পায়ে পায়ে এসো, সিজদা-কুসুমে;
সারা মন-দেহে ধীর হয়ে যাক জবার গোলক-
তুমি কিনা সারসের ঠোঁট, হৃদয়-ট্রমায় এক দম হাসি;
লোকে বলে আত্মা তোমাকে?
(কবি শামীম রেজা, প্রিয়ভাজনেষু)
তারপর মরে-ঝরে গেলে, আকাশ-টানানো ফুলে
পতঙ্গ-টাচ, বিনিয়ে এসে, বসবে কবর-ধারে?
সমরাস্ত্রের ওজন ঘাড়ে, বিভূতি পাঠাবে মেঘ?
নাকি পৃথিবীর ক্ষুধা, পৃথিবীর দ্বিধা হেসে, চুপচাপ রবে, শরণার্থীর জিঞ্জিরে?
অথবা শালুক জমে, নীল-নাগরিক মনে, হবে না গিমিক-ছড়া?
একটা জীবন বেয়ে
কতোভাবে গান গেয়ে, সময় সাঁতারে হেঁটে
কত শত ঘুণ কাটে, ঘুমের ঝিমুনি দাঁতে!
আর দ্যাখো রাষ্ট্রকে নির্জলা। কৃষকের ধান, কাঁচাসোনা ধান
ফটোসেশনের ফাঁদে, পান্ডব নদী কি কাঁদে?
অথচ করোনা এলো, ভোরের পাখিরা এলো, মৃতেরা জানে না
তাহাদের নিয়ে, ইকোনমি হিমশিম!
এবার তাহলে বলো, তুমি কার কার মনের মতন করে
এই ধারা জীবন-ব্যাধিকে, কাটিয়ে গিয়েছো বলো!
বলো তুমি তার বা তাদের
ঠেলে দেয়া বলে, মিস করো নাই গোল?
এই যে পাঁজরে থামছে একা, হাওয়াই দীর্ঘশ্বাস;
এই যে প্রহরী তারার চোখে, চেয়ে আছে নদী-ঘাট;
দ্বিধা ঝেরে ফেলে নামাজ-গ্ল্যামারে, মৌন সুরেলা ‘সামাদ’
পৃথিবীতে রুয়ে, থেকে যাই চলো, কিছু দিন, কিছু রাত!
এই যে মাশুল, তৌবা-স্বরে, পাতক কলবে ওড়ে-
মগজে বিলানো ছন্দ কেরাত, তাকোয়া হৃদয়ে চড়ে;
গ্রামদেশ হতে আজানের ডাক, নগর-মিনারে থামে;
তকদির চেয়ে তাকায় মানুষ, আকাশের নীল ধ্যানে!
এতো যে ব্যাধিরা ভাসে আর আসে মানুষের ফুসফুসে-
চিরল আলোয় রোদ ভরে গ্যাছে, রোদ ডুবে গ্যাছে ত্রাসে!
কিছু কিছু দিন বিষন্নতা, কিছুদিন জারি নবীর দরুদ;
কলিজা রাঙায় বিষ-মাখা ছুরি, মোহ-লোভ, অদ্ভূত!
প্রকৃতিই নাকি ভালো; গেছে উচাটন পাখি উড়ে
সেচ-মেশিনের ধ্বনি গান হলো, পাখিদের সংসারে!
কারো বুকে-পিঠে গাছির কলস, স্মৃতির ধোঁয়াটে শীতে;
কারো স্মৃতি নিয়ে টানা টানা চোখ, ঘাসফুলে হলো নীল!
কাজল আঁকানো কারো দুই চোখে, দুপুরের দ্রাঘিমাতে
ইতিহাস ভেজে, সাথে ভেজে ব্যাধি, চমকে তাকায় বিল!
চারধারে পথঘাট, আমাদের খোলা পথ
আমাদের পথে ওড়ে, রোদ জাঁকানো পিরান!
করোনা এসেছে ভেসে? হবে নাকি জখম-সুরত?
তাঁহার বুকেও শেষে? যার বুক দরুদ-মোকাম?
যেদিন উইকেন্ডে, শয়তান এসে মগজ চিবাবে মানুষের
দ্বিচারী প্রেমের দিকে হেলে যাবে, তুষার-ঝরা শহর;
ধীরে, অতি ধীরে যাবে, প্রবৃত্তি পুরাণে ফিরে!
সেদিনও কিনা জ্বর-গায়ে, বৈশাখ ও বাতাসের, আলাপ সালাপ শুনে
উড়ে যাবে হাস্যোজ্জ্বল, স্বর্ণাভ ফড়িঙদল, সিদরাতুল মুনতাহায়-
বিপুল ছায়ার নিচে উটের কাফেলা, খুঁজে পাবে হাওয়া;
রোদের শলার নিচে অতুল ফোরাতে
প্রবল বর্ষা পেয়ে ভেসে যাবে এজুজ-মাজুজ!
ভেঙে চূর্ণ ক্রমে ব্যক্তির দৌলত যতো!
টীকা ও টিপ্পনীযোগে আরো সব পাজল স্নায়ুর সাথে
জেরুজালেম নিজেই এক অভাগা জমিন ভবে
যার হাওয়া ধরে কাঁদতেছে ঋণ, ফিলিস্তিন!
আমি নিঃসঙ্গতা হয়ে খুঁজে ফিরবো তোমার স্মৃতি
যেনো কতোদিন ‘কথা নাই, ভাষা নাই’-মতো ফুল
ভিজবে উঠান ভরে; কিছুই বুঝবো না ভাষা, ঘাস-লতাদের!
তবু ময়দান উড়ে বসবে ধুলায়, সালাত হাজির হবে উপত্যকায়
অসুখ ভাসিয়ে নিলে ফাতেহা জিকির, ওহুদ জড়ায়ে তুমি কাঁদবে সেদিন, নাকি?
(কবি ও প্রিয় অনুজ উত্তম মন্ডল সমীপে)
দুই দিকে দাঁত নিয়ে যাপন-করাত আসে
দুই চোখে টানটান স্বপ্ন-প্রতিভা;
চোখ মেলে চাঁদ দ্যাখে, রক্ত গোলাপে-ঘাসে;
দুই সিকি নদী নামে ‘পান্ডব’ অভিধা!
এই দেশে ঘুরে ফিরে, যতটা বাতাস মেলে
তার বেশি আগুনের, জন্ম-মৃত্যু খেলে!
আমাদের গভীরতা, খনার বচনে ভারী
হাঁটা-চলা কথা-বলা, রক্তও স্বেচ্ছাচারী?
লজ্জার দু’গালে দ্যাখো, রক্ত ছড়িয়ে গ্যাছে
রক্তেও সমান ক্ষুধা, স্বপ্নকে নিচ্ছে শুষে!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..