লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ছোটোবেলায় ব্যঙ সাপ পাখি ফড়িং মেরেছি অনেক
তারপর হাত কাঁপত
স্কুলে ব্যঙ কাটতে গিয়েও একই অবস্থা
এখন দিনরাত নিজের সার্জারি নিয়েই ব্যস্ত
তবু পোস্টমর্টেমটা শেখা হল না
সকলের প্রিয় সেই চার অক্ষরের শব্দটি
মনে মনে উচ্চারণ করতেও কত দ্বিধা
অথচ কত সহজেই প্রকাশ্যে বলছে ওরা
আমার ভেতরেই শুধু দ্বিধা!
আমি তো মাধবী নই।
কলম আর ডায়েরি দূরে দূরে থাকে
কাছাকাছি হলে যে কবিতা হবে তেমন কথা নেই
তবে সম্ভাবনা তৈরি হয়
বারান্দায় আরামকেদারায় বসে পা নাচিয়ে
গাইতে থাকি-‘আমি ডান দিকে রই না,আমি বাম দিকে রই না’
এই অবস্থানই ধ্বংসের কিনারায় ডেকে নিয়ে যাচ্ছে
তাই ব্রিজ ভাঙে,বৈদ্যুতিক লাইন কেটে দিয়ে
শুরু হয় হিংসার উৎসব
প্রান্তিক মানুষের প্রকৃত বন্ধুদের ওপর
নেমে আসে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
কাঁটাতার ঘেরা
কাঁটা ফুটছে
ফুল মিলছে না
ভুল হচ্ছে
যারা তোলার তুলছে
শুধু হূল ফুটছে
এরা মরছে
ওরাও মরছে
চণ্ডাল লাশ গুনছে
দেশ ভাঙছে,জাতি ভাঙছে
সওদাগর নাচছে।
কখন ঘুম আসে কে বা জানে!
ভেবেছিলাম বালিশ বলতে পারবে
ছাদের শিলিংও ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে
দেওয়ালের টিকটিকি সে কি জানে?
আর এই যে হাতের কাছে মোবাইল
সেখানেও স্ট্যাটাসে লাইক আছে কমেন্ট নেই
টিকটিকিটা মাঝে মাঝেই আওয়াজ করছে
ভাবছি ঠিক ঠিক ঠিক বলছে
এসব ভাবতে ভাবতেই
পক্ষীরাজে চড়ে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
এক্কেবারে রাজপ্রাসাদের অন্দরে
তারপর? তার আর পর নেই।
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..