কাঁটাতার

নীপবীথি ভৌমিক
কবিতা
Bengali
কাঁটাতার

কাঁটাতার

এরপর আর কিছুই ছিলো না,কিছু অপত্য স্নেহ
কিছু বিশ্বাস,আর থাকার মতো মুঠো খানিক ভালোবাসা ছাড়া।

তোমরাও তো ভাবো এভাবেই!
ভালোও বাসতে পারো, ভালোবেসে নদীও আঁকতে পারো…
অথচ,সেই নদী পথ যখনই স্নাত হয় কোনো ঝঞ্ঝা ছায়ায়
আমরা আশ্রয় খুঁজি অন্য কোনো শান্ত বেলার কাছে,

—আমিও মানুষ হতে চেয়েছিলাম,”মানুষ”!
তোমারাও যেমন করে মানবিকতার গান গাও…

আসলে কি জানো,”কাঁটাতার” নাম যে আমার
তাই গান গাইতে হয়তো জানি না কণ্ঠস্বরে

কথা

শুধু ঢেউ গোণা হয়ে যায় এই জীবনে ।
কিন্তু,এক একটা ঢেউ যে কতখানি জলস্বরের ডাক চেনে
তা কি জানতে চেয়েছি কখনও ?

ঢেউ’এ ঢেউ’এ স্রোত আসে, স্রোতের কথা শুনে আসে
ঝিনুক –নুড়ি-কণা…
আবহমান জীবন অধ্যায় লিখে ।
বালি আর বালিতটের পার্থক্য এভাবেই গড়ে ওঠে
অথচ,ছুঁয়ে থাকি আমরা আজও পরস্পরকে অজান্তে, অজানার ঘরে ;
চেনা হয়ে অচেনায়।

 

হে দেহ

আবার নীরব হও,হে দেহ তুমি,
শরীর জুড়ে যত সুখ, যত রহস্যের মায়ামৃগ…
নীরব হয়ে বস। ছুঁয়ে থাক বরং আমাদের প্রতি জন্মের
আশ্চর্য মৃত্যু নদী;

হে দেহ ! আবার নীরব হও তুমি।
ছাই ওড়া পড়ে থাকা খই ফুল চিনিয়ে দেবে তোমায়
ঠিক, জীবন শেষের জীবন-অন্তর।

 

সংসার

এভাবেই সব ভুলে যাবো ,এভাবেই সব রেখে যাবো
ওই দীর্ঘ নদীর হাতে ,
যেমন করে গাছের ছায়ায় কেমন আদর মাখামাখি হয়ে
শান্ত শরীরে ঋদ্ধ হয়েছে মাটি !
হয়তো সেও গিয়েছে ভুলে আলোর গান…
তবু, এ সংসার দেহও কি কম পাওয়া !
চাওয়া পাওয়ার দ্বন্দ্ব খেলায় বার্ধক্য ভেজা সংসার
তবুও যেটুকু ছায়ার কথা, যেটুকুই বা আলোর আবেশ
সেখানেই তো গৃহসুখ !
সমস্ত সূর্যের দিনেই কি আলো থাকে,মেঘ থাকে না কিছু?

নীপবীথি ভৌমিক। কবি ও শিক্ষক। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের বোলপুর।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..