লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
শত্রু
জেঁকে বসা শীতের মতন, খুলিতে কামড়
যেতে বলি যত, উড়ো-মাছির দাঁত কড়মড়
মধ্যে শত্রু পুষি, মাছিটা নিজের, পোষা
কুরে-কুরে খায় তালশাঁস, আমি ছাপোষা
সমর্পণসূত্র
স্পর্ধার ডানা ক্রমশ ছুঁয়ে দেয় আগুনের মুখ
অতঃপর পুড়ে যায়
ফিনিক্স নয়, পরের জন্ম, তাও অলৌকিক
আগুন শুধুই পোড়ায়, স্পর্ধা জলজ নয়
নেভাতে লাগে সরল সমর্পণ
অদেখা
কিছুই লিখি না এপিটাফে
তাকে লিখি, শব্দগুচ্ছ অনুতাপে
মাছেদের চোখের মতন ম্লান সব লেখা
শব্দ নয় চিত্র বলতে পারো, যা রয়ে যায় অদেখা
পথের সন্ধানে
হাছন রাজা শুনি, কে গায় জানি না তাহারে
চিনি হাছন রাজা, আহারে
বাউলা কে বানাইলো রে, কোন সে জন
আমি জানি না, জানে না স্বয়ং হাছন
শুধু পথ খুঁজি, পথের সন্ধানে, ঘোর
কবে পাবো দেখা, সুবেহ সাদেক, ভোর
হাছন রাজা শুনি, বাউলা কে বানাইলো রে
হাছন সে পায়নি, আমিও পাই না তাহারে
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..