যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
এমন বিষন্ন বরষা কখনো আসেনি, মেঘবতী!
ঝরে পড়া নিবিড় বরষায় কান্নার গুমোট আবরণ,
সবুজের ক্যানভাসে বিদায়ের সুর মূর্ছনা!
কোথাও উচ্ছ্বাসের রঙ কিছু আছে হয়ত;
তবে, কপর্দকহীন সভ্যতায় প্রদোষের ম্লানতা!
মানুষের অবনত মস্তকে ম্রিয়মান টিকে থাকা, আর
উচ্ছ্বাসে রাঙানো স্বজাতির উপেক্ষায় নীল সভ্যতা!
এমন বিষন্ন বরষা কখনো আসেনি, মেঘবতী!
অসময় আসে, ক্ষয়ে যেতে হয় ধীরে ধীরে!
জনসমুদ্রের কোলাহল বা আপনের ভীড়েও
মানুষ নীরবে একাকী হয়ে যায় অবলীলায়।
এত উৎসব উচ্ছ্বাস ছুঁয়েও ছুঁতে পারেনা
নিঃসঙ্গতার নিস্তব্ধতায় বিদীর্ন ক্যানভাস;
রক্তাক্ত হয়ে থাকে অবনত স্তব্ধ অশ্বত্থের মত।
দূর থেকে দেখা উত্তাল সমুদ্রের নিস্তরঙ্গ ঢেউয়ের মত
মনোভূমির কষ্টের আছড়ে পড়া অজানাই থাকে;
নীল জমে জমে পাহাড় হয়ে যায় অলক্ষ্যে!
তারপর, অসংখ্য পাহাড় সাথে নিয়ে চলে যেতে হয়;
অগস্ত্য যাত্রায়!
পূর্নীমা তিথিতে!
বিষন্ন সকালের অঝর ধারা আমাকে ছুঁয়ে যায়!
মেঘেরা অবিন্যস্ত অলকে নাচে গম্ভীর ধ্রপদী লয়ে।
উন্মন হৃদয় ফিরে যায় ভেজা অশ্বথের কাছে,
কতকাল দেখিনি বর্ষার সবুজ, চোখ মেলে।
হতে পারে এই বৃষ্টির দিন আমাদের হলো!
এরপর সুবজ দেখবো প্রতিটি বর্ষায় ভিজে,
নিবিড় বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হবো নদী কূলে,
পিচ্ছিল পথে পড়ে যেতে যেতে বাধবো নতুন পদ,
বর্ষায় তোমার স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখবো মেঘবালিকা।
বড় অদ্ভুত সব অনুভূতি ঘিরে রাখে বিষন্ন দিনে
একটা বাক্যও কবিতা হয়ে ওঠে নির্জনে
এক ঘোর বর্ষায় ঠিক চলে আসবো সবুজে!
মানব জমিন এক বিচিত্র রঙের আকাশ!
বদল হতে হতে কখনো বা নতুন হয়ে যায়;
গ্রহণ লাগা প্রিয় মুখ আধাঁর গ্রাস করে,
জোছনার মতো ভেসে ওঠে নতুন খুব প্রিয় মুখ,
মানুষের মনের রং বদলায় মানুষের মতো!
মানব জমিন এক বিচিত্র রঙের আকাশ!
হাত ছুঁয়ে থাকা মানুষও কি পরিচিত,
সত্যি কী চিনি? ছুঁয়েছি তার রঙের আকাশ?
বছরের পর বছর যায় কালের যাত্রায়
ছোঁয়া হয়, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি হয়,
খুনসুটিও হয় কখনো কখনো,
তারপর, রংধনুর সাত রঙ আসে,
চেনা মানুষ অচেনা হয়ে যায়
কোন এক বিষন্ন বিকেলে।
মানবজমিন এক বিচিত্র রঙের আকাশ।
কতদিন হলো দেখা হয় না।
বকা শুনিনা আমি কিছুতেই
জোছনার মুখোমুখি হই না আর
জোছনা ভয় পাই এখন।
শৈশবের বকুল গাছটা এখন নেই
বিকালের সাথীরাও লাপাত্তা আজ
আমিই কেবল নিঃসঙ্গ একাকী
এই বিষন্ন নগরের জনারণ্যে।
আর একবার জোছনার মুখোমুখি হবো
বকুল তলায় ভর সন্ধ্যা বেলায়
শিশুর মত দুষ্টু হাসি নিয়ে।
মায়ার হাতদুটো দিয়ে
শুধরে দিও আমার কর্মফল।
স্বপনের ঘোর লাগা দু-চোখ নিয়ে
মায়ের কাছে যাচ্ছি আজ।
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..