প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কাডেলী পার্কে একদিন
একদিন আমি পিকাডেলী পার্কের রাস্তায়
হেঁটে বেড়াতে চাই, দাঁড়াতে চাই আশ্চর্য সুন্দর
মূর্তিগুলোর পাশে কিছুক্ষণ, বিস্তীর্ণ
লনগুলোয় ঘুরে বেড়াতে চাই আপন মনে,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বে়ঞ্চিতে ব’সে দেখতে চাই
শাদা কাঠবেড়ালি খরগোস প্রজাপতি কাকাতুয়া
কিংবা ভোরের আবছায়ায় উড়ে যাওয়া সফেদ
ডানাওয়ালা পরীর ঝাঁক, অথবা খেলাচ্ছলে
প্রেমিক-প্রেমিকার তদ্গত যুগল মূর্তি হ’য়ে-ওঠা
স্থাপত্য সহজ স্বপ্নচারী পরিপার্শ্ব ভাবলেশহীন;
বড়দিন ছাড়াও এখানে সান্তাক্লস আসে যায়
এমন-কি বিদগ্ধ চরিত্ররা রাজারানি
রোমিও জুলিয়েট ডিকেন্স বা কীট্স্ কেও
দেখা যেতে পারে আচমকা কখনো ।
আমার ধারণা ওই পার্কের গভীরে নিশ্চয় কোনো
গুপ্ত কবরখানার আশ্চর্য হরপ্পা আছে
যুদ্ধের সেইসব ঘুমন্ত সৈন্যরা রোজ নিশুতি রাতের
পার্কের বেঞ্চিতে ঘুমায় ইতস্ততঃ ছড়িয়ে ছিটিয়ে,
অতৃপ্ত তাদের প্রেমিকারা পরী হ’য়ে আসে
পাশে বসে, ফুল দ্যায়, গল্প-গাছা করে
ফোয়ারায় স্নান করে, হাত ধরাধরি
ঘুরে বেড়ায়, খায় দায়, রেস্তোঁরায় যায়
যূথবদ্ধ মূর্তি হ’য়ে ব’সে থাকে মগ্ন মহড়ায়
বিমর্ষ বিধুর গূঢ় মায়ার মথুরা । গোয়েন্দারা
আসে যায় আড়ি পাতে আনাচে কানাচে।
চকিত ক্ষিপ্ত প্রেত-পরী প্রমীলারা ধেয়ে যায়
বন্দুক উঁচিয়ে, বন-ফায়ার
শোনা যায় সুনসান পার্কের সভায় —
আমার সেই একান্ত সফরে সেদিন যেন
জোড়া শাদা ঘোড়ার টাঙ্গায় চ’ড়ে মহারানি
আসবেন কিংবদন্তী পার্কে ঘুরতে,
ফটকে দাঁড়িয়ে মেয়র দিবেন তাঁকে
গুচ্ছ ফুলের তোড়া স্বাগত জানিয়ে,
প্রকৃতি আনিয়ে নিবে বসন্ত-বাহার ।
আহা, এমনটা গুছিয়ে নিতে পারতাম যদি
ওই পার্কের সকাশে, সকাল বিকাল
পরিচ্ছন্ন লনে ঘুরতাম বউ বাচ্চা নিয়ে
খেতাম আইসক্রীম চা কিংবা কফি, কখনো সখনো
মদিরা ছিলিম, দেখতাম ফুলফল প্রজাপতি পাখি,
বাদবাকি রোমাঞ্চ রহস্য রাত্রি-ভোর
নাছোড়বান্দা বেহেড মাতাল । আকাল-গ্রস্ত
জীবনটা বর্ণাঢ্য হতো বটে ক্লিশতা মুছিয়ে ।
নাঃ, দুর্ভাগ্য খুঁচিয়ে দুঃখ করবো না আর, স্বপ্ন-জাল
ছেঁটে, হেঁটে যাবো সটান টাওয়ার ব্রীজের দিকে
অন্যখানে অন্যকিছু পাওয়ার আশায় —
ইসাবেলা এবং
আর হাঁটতে পারছি না , একটুখানি জিরিয়ে নিতে চাই
খুঁজে পেতে একটা গাছতলায় বসলাম
অবসাদে চোখ জুড়িয়ে আসতেই
সাক্ষাৎ পরীর রানি ইসাবেলা উদয় হলেন
সশরীরে, অভিভূত আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় চোখে
চেয়ে আছি বিপন্ন পাখির মতো,
তৎক্ষণাৎ স্মিত মুখে বললেন
‘এসো, তোমাকে আমার সাথে যেতে হবে এক্ষুণি’
ব’লে দ্রুত আলতো ছোঁয়ায় ধরলেন হাত,
মন্ত্রমুগ্ধের মতো চললাম তাঁর সাথে
আমি পাশাপাশি সমান্তরাল
তুমি ভুমধ্যসাগর দেখেছো ? স্প্যানীশ
আর্মাডা ? ভাস্কো দা গামার নৌজাহাজ ?
আলেকজান্দ্রিয়া ? ব্যবিলন ? সেনেগালের
গোলাপী লেক ? কন্স্ট্যান্টিনোপল ?
মিশরের পিরামিড ? ফারাওয়ের ম্যমি ?
পিসার হেলানো গীর্জা ? ল্যুভর মিউজিয়াম ?
আমি অসম্মতির ঘাড় নাড়লাম,
উধাও উদ্দাম
যেতে যেতে দেখালেন নীলনদ মরুসাগর নগর বন্দর
বাণিজ্যপোত তুর্কী মিনার মাল্টা গণ্ডোলার ভেনিস
ফিনিক্স পাখির দ্রুততায়, অতঃপর সরাসরি
এসে দাঁড়ালেন মধ্যযামে নির্জন ল্যুভর
মিউজিয়ামের সেন্ট্রাল হলে
উলঙ্গ পাথর-মূর্তি নওল-কিশোর ডেভিডের সম্মুখে,
পুরুষের পূর্ণ নিরাবরণ নগ্ন নিখুঁত খুঁটিনাটি
গঠনসৌষ্ঠব স্থপতির পরিশীলিত সৌকর্য আর
সৃষ্টির সরলতা অবাক বিস্ময়ে দেখছি দেখছি আর দ্রুত
দুজনেই বাহ্যজ্ঞান তিরোহিত স্থানু জড়বৎ, অকস্মাৎ
এক সময় সমস্ত বস্ত্রাদি দ্রুত খুলে খুলে
ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেললেন তিনি উভয়ের, বিমূর্ত সভায়
স্তব্ধ ন্যূড পাথর-মূর্তির ত্রয়ী ব’নে গেলাম পলকে
সরল মূদ্রায় অপলক ললিত-কলার কুশীলব
মোহিত বিভোর, পরস্পর
ছুঁয়ে আছি অসামান্য সময়কে একসূত্রে
থমকে’ গেছে দিনরাত্রি ধরিত্রী ও তামাম দুনিয়া ;
অনবদ্য স্থাপত্যের ন্যূড ডেভিড-সভায়
আমি আর ইসাবেলা উলঙ্গ শিল্যুট
জীবিত বিরল মূর্তি এবং অলীক, লোক-লোকান্তর ।।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..