ফ্রেম
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
তারে যেন মনে পড়ে বহু তীর দূরে
জারুল বেড়ার ফাঁকে খেলতুতো বোন
তোমাকে ভাবলে সেই অথই শ্রাবণ
হাওয়ার ফড়িঙ দুলে জলের মুকুরে।
সহসা উথলে ওঠা পরান বাউল
ধুঁদুল ঝুরিতে বাজে একার বঁধুয়া
এ নায়র শেষ কবে জানে নাকি হাওয়া?
হৃদয়ের ডাকে যেন রাসূল রাসূল——
বিলচেরা পথে কে যে রাঙা কুয়াশায়
আঙার হল যে খুঁড়ে পুঁথির পাহাড়
এখানে মথ ঘিরেছে করুণ মান্দার—
টোপর পানার চাঁদ কাতর ভাষায়।
আমার স্মরণ রেখো,পূবাল হাওয়ায়
ভীষণ দরদে যেনো কাফের লুটায়…..
তখন কাতান রঙে এক দেশ তার
হাওয়ায় ওড়ায় বঁধু—সোনালি লেখন
চোখে পেতে ভরি হয় তরুর দহন
গলার শোভায় ফিরে সাত মণি হার।
তারে যেনো মনে পড়ে,রাঙা কুয়াশায়
রূপ তার ঝরে ছিল হীরে নাকফুলে
বেঁধে রাখো সেই নদী—ছলাৎ যে খুলে
তারে যদি পাও কাছে ইলিশে রুপায়।
কে?হে প্রেমের কৃষাণ—পলি সংশয়ের
এখানে সোনাই মাঠ একান্ত পুলকে
কাতান রঙের ঘুম পায় যেনো শ্লোকে
ধরে আনো সেই মাঠ—সাদা খরগোশের
সরু খালের সাঁকো যেনো কাঁপে ঝর্নায়
প্রলয়ে সৃজন আনো ব্যাথা মণিকায়…
কুহক ছড়িয়ে পড়ে রাত নিকেলের
গাঙুরের জলে শুনি ক্ষুধিত বোয়াল
আবার বেহুলা হলে জানিও সাওয়াল
দরূদ দীদার পাশে মৃত লখিন্দের
কি উপায় পায় জোড়া বিপন্ন সুন্দর
রাখিনি আগর দোলা সুদীর্ঘ সাদির
চলন গজলে তবু এত যে মদির
কেন যে আমাকে দিলে ডোরাকাটা ভোর?
যেবা যায় দিনমান,উতলা উজান
তোমাকে ভাঙায় স্রোত রুপালির শ্লোকে
বাসক মানে যে হাওয়া মতিয়ার ছকে
দুধেল গাই চড়ায় বিহ্বল বাথান
ওখানে আবার এলে কাতানের ঘুম
আবার ফেলিও দাগ সুলেখা কুম্কুম…
আর তারে বলিও রুপোর পৈথান
মিহির ফলার পাশে একা সোনাভান
যেদিকে সোনালি খুশি—মাঠ তিয়াসার
ফাগুন হাওয়া টলায় দুরূহ সেতার
ডোবায় কাতর কোন বইচার চোখে
কে যে শঙ্খ—শামুকের জলবাগ রুখে
তুমি যেন বোলো,সেই শালুকের ঢেউ
অলিভের গানে যদি কেঁদে ওঠে কেউ
পলির হদিস থেকে যেটুকু কাতান
তারার ছুঁচে বোনা—কও হে বুনোধান
কও হে অমৃত—খুলে আলতার শিশি
দীন বেড়েও বধুয়া পাড়ে শৈলশশী
তুমি যদি নির্ভাষী আবার মহুয়ার
ধু ধু ক্রান্তি ওঠে সেই গ্রীষ্মের কথার…
আষাঢ়ে এসেছো বালা খুলে রাম্বুটান
জলের মৃণাল কাঁপে ডুব—সিঁথিহাঁসে
কাতল চোখের পরে যে হাউস ত্রাসে
আউশ জানে সে হাওয়া—কীযে শরাবান
বেউড় আড়ালে তুলো ঝিঁঝিঁর কাতর
দূরাহৃত ঢেউ নাচে কনুই বাঁকিয়ে
আমার ঘুলিয়ে বেলা মেঘাগম প্রিয়ে
রাধেয় বলতে শুনি এক্কার প্রসর
সে দূরে তারার ধূল চোখের মরণ
রুপোর পালঙ্ক পোড়ে ব্যাথা অনিবার
কাকে যেন ভালবাসি খোদাই কপার
বনের ছায়ায় তারি পাখি হীরামন
হয়তো এমনই ডাকে এপার—ওপার
নিকিয়েছে ধান—দূর্বা সিঁথি শিরোধার।
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
বিজয়ের সব মুহূর্তেই… তার অধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় সঙ্গানুসঙ্গের;…..
আমার প্রথম প্রেম কৃষ্ণচূড়া দ্বিতীয় প্রেম হলো ছাতিম। তুমি তবে আমার কী! তুমি যে আমার…..
এগুতে এগুতে দেখি ইচ্ছের বীজতলা অনাবাদী পড়ে আছে বয়সী প্রজাপতির কাছে কিছুই হয়নি জানা বিহ্বলতার…..