ফ্রেম
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
আমি বার বার জীবনমুখী শব্দে নিঃশ্বাস ছেড়ে দাঁড়িয়ে থাকি
যেমন জীবন প্রতিদিন মায়ের যোনিতে আলোচনা করে স্তম্ব রাতে।
মৃত্যুর কোন মা নেই,
যোনি নেই, এই শব্দে কেবল চলে যাওয়া।
আপেক্ষিকতা ছেড়ে চলে যাওয়া,
জন্ম নেই তবুও
পৃথিবী জুড়েই কেবল জন্মদিনের শুভেচ্ছা উড়ে, উড়ন্ত হাওয়া।
মৃত্যুর ভবিষ্যত গুনে পৃথিবী
হিসেব মিলবে কি শৈশবের এক দুই তিন চারে ?
সূর্য থমকে যাওয়া কোন প্রাণে সঞ্চিত হয়না
এই পুড়ে যাওয়া কেবল সহজাত ঔদার্যবোধ।
পৃথিবীর শব্দে কেবল পৃথিবী’ই ছুটে চলে।
নিজেকে চিনে
নিজেকে ঝুলিয়ে দেয়ালে দেয়ালে
আমিও মুখ গুঁজেছি বারংবার
শতবার শুনিয়ে,
ভুলিয়ে অতীত ভুলের ভবিষ্যৎ,
ভুলও নিয়মমাফিক, আপেক্ষিক।
জৈবিক একটি গাছের রিক্ততা দেখে
এই অথৈ জলের পৃথিবীতে অন্ধকারে নিস্পৃহ
ঢেউয়ের আওয়াজ শুনেছি কেবল আত্মাহুতিতে ,
দেখিনি নীলিমার কোন ঢেউ
কোন রঙ
কোন উন্মাদনা।
ভাঙা ঘরে , ছায়াহীনতায় সূর্য পিঠে বেঁধেছিল মৌমাছির হুলের মতো।
বিষন্ন একটি দুপুরে গাছের শেষ ফুলটি
আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল
“ এই জীবন শুধু ফুল হয়ে শেষ করতে পারেনি
একগুচ্ছ লতাপাতা আমাকে অন্দরমহলে আটকে দিয়েছে “
এই জীবন যতটুকু হেঁটে এসেছি
তার চেয়ে বেশী হবে কি ?
আমার পথের গন্ধভরা বুকে
তোমরা কোনদিন মাথা রাখোনি,
দেখেছ কেবল হেঁটেছি
নরম সহিষ্ণু আদুরে মানবশিশু হয়ে,
পায়ের শিকলের ঝংকার
কোন তুলি আঁকতে পারেনি।
নিজস্বতা হারানোর শোক দিবসে আঁকড়ে ধরাই জীবন
তোমার আমার আমাদের।
কালিবাউশের সাঁতার দেখে শরীরে পার্থিব মৃত্যু নেমে আসে। পরিহাসে তুমি মেষের পালকে আরেকটি পবিত্র গ্রন্থ লিখতে পারো, রগ্ন হৃদয়ে বিশ্বাস বন্দী করে ঢেউ তুলে বৃত্তাকারে হারিয়ে যেতে পারো গোলাপের পাঁপড়ির আড়ালে । রক্তে নগ্ন ডাইনীর চলাফেরা দেখেও তুমি বিশ্বাস করোনি বেঁচে থাকার মতো চামড়ার ভিতর আর কোনকিছু অবশিষ্ট নেই আমার । বেঁচে থাকা বয়েসটাকেও কেড়ে নিয়েছিলো আমাদের সম্পর্কের অবনতি।
মাছের চোখে কোনদিন চোখ রেখেছ ? তার শীতলতা তোমার উষ্ণ রক্তে নগ্ন করে রাখো একদিন। কসম তোমার রাগ, অবিশ্বাস নামের যতগুলো শব্দ আমাকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছিল তারা নিমিষেই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে ।
বয়েস না ফুরালে মৃত্যু হয় না। এই লজ্জা, অপবিত্রতা না থাকলে হয়তো আজ মায়ের জনন-পথে কালিবাউশের এই নির্মল নিষ্পাপ কণ্ঠ সমেত সাঁতার দিয়ে অনয়াসে ফিরে যেতাম , যেখানে রক্ত-মাংস-হাড়-নাড়ী-ভুরি-মাথা-মগজ এক বিন্দু জল ।
বছরের বড় দিন বড় হচ্ছে নিয়মমাফিক
অন্ধকার ছড়িয়ে যাচ্ছে বিছানার গন্ধমাখা কাঁথা চাদর শরীরে
অন্ধকার শরীরে এসে রাগ করে শুয়েছে বেহেশতের আরামে
সূর্যকে আষ্টেপৃষ্টে খাচ্ছে চাঁদ সরকার যেভাবে খায় অদৃশ্য খাত
কিসের ভালোবাসায় কে জানে!
বাবার সব ভালোবাসা
বাবা’ই আত্মসাৎ করে দুঃখের রাত গুলো কাটাচ্ছে
বয়সের বিপরীতে পৃথিবীর বয়েস কমছে ভীষণ অসুখে
শহর ছেড়ে গ্রামে কবরগুলো বড় হচ্ছে একা লাল নীল
বাবা রাত করে বাড়ি ফিরে।
দেয়ালের শরীরে আমি
সারাদিন বন্দি হয়ে থাকি ফাঁসির সেলের মতো
সবাই একা হয়ে যাচ্ছে সবার চিন্তার মতো স্বার্থপর
রাজনৈতিক আকাশের মেঘও রাগ করে থাকে ম্লান
বাবার ফোনের জন্য অপেক্ষা করে।
এই আরাম ভেঙ্গে
পৃথিবী বাবাদের জন্য তার দীর্ঘ অপেক্ষার
বড় দিনটি গড়েছে, আজ এই দিন, পৃথিবীর বড়দিন।
বাবা আজও তুমি ফোন দাওনি, কেমন আছি জিগ্যেস করোনি৷
নীল আরো নীল ।
তুমি গান গাও
বর্ষার আগমনে গ্রীষ্মের বিদায়ী গুচ্ছ ফুলে
সুরে সুরে উড়ে উড়ে ক্লান্ত দেহের বক টিয়ে
শব্দের পথ ধরে, ফুলের হাসিতে, হাওয়ায় দুলে
শব্দের পর শব্দের আশ্বাসে নিঃশ্বাসে কলরবে
অন্ধকার বনমাঝে আমাদের টানাপোড়নে ঝুলে
গলা ছিঁড়ে, নিঃশব্দ বিগত দুই বিকেলের অন্ধকারে
ঘাসে হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত শরীরে নিঃসঙ্গ খোলা চুলে
তুমি গান গাও
তুমি গান গাও
ডাকবাংলোর সিঁড়িতে নিথর সাদা বেলীতে
মনে বিষাদের আখড়া ভেঙে, সন্ধি করে জা-রুলে
কালবৈশাখীর বন্দীতে , অজ্ঞাত এই মেঘের রঙে
অহেতুক মাথা নেড়ে দিকভ্রান্ত পঙ্গপালে দুই কূলে
ইতিহাস পিছনে ফেলে ইতিহাসের খুঁজে দূরদেশে
হলদে ফুল ঝরে পড়াতে,অন্তরহীন রাতগুলো ভূলে
তুমি গান গাও
ফিকে হয়ে আসে ঈশান
মেঘে মেঘে রাগ করে থমকে দাঁড়ায় আলো।
সাতরঙা সতীর বিপন্ন প্রেমিক
সতীত্ব অটুট রেখে প্রাণহীণ প্রেম!
বয়েসী ঘুড়ি শরীর কাটা পড়ে
ব্যস্ত মানুষগুলোর মাথার সমান্তরালে।
পাখির ব্যস্ততা বাড়ে আকাশের নিচে জমিনের ফারাকে
শহুরে ছাদ গুলোতে শিশুদের উপলব্ধি ঠকে একই রঙের চারদেয়ালে।
ফিকে হয়ে আসে নৈঋর্ত
ফালি ফালি মেঘে সূর্য ডুবে
পাখির ডানায় বাতাস চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে
সরকারের মতো মুষ্টিবদ্ধ বহুবর্ণ স্থবির টবে।
কেবল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লাশ গুনছে আত্মা, আত্মীয়রা
বর্ষায় শহরের বুক চিড়ে, রঙিন জৈষ্ঠ্যের মধুর মিছিলে ।
ঝরে পড়ে সংকীর্ণ নিস্তব্ধ নিঃসঙ্গ রাস্তার ল্যাম্বপোষ্ট
পৃথিবীর অসুখের দিনেও ফুল ফুটেনি জনে জনে৷
ফিকে হয়ে আসে শনিবার
চিল চাতকে অনাঘ্রাত কোমলে।
মানুষ জগত চিনতে গিয়ে মানুষ চিনেছে রকেটের রেখে যাওয়া সাদা সরু মেঘ।
নিজস্বতা হারিয়ে খেতাব কেতাব মুড়ে
ঘুমিয়ে আছে তারা নগ্ন রক্তের বিস্ফোরণে ।
ধর্মান্ধ শয়তান’ই কেবল চিনেছে বেহেশ
কুরুচিপূর্ণ আচরণের ভ্রান্ত প্রাসঙ্গিকতায়।
শান্ত শান্ত করে দানবক্সে নিজস্বতা গড়ে
ঝুলে আছে আছে তারা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির শব্দে।
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
বিজয়ের সব মুহূর্তেই… তার অধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় সঙ্গানুসঙ্গের;…..
আমার প্রথম প্রেম কৃষ্ণচূড়া দ্বিতীয় প্রেম হলো ছাতিম। তুমি তবে আমার কী! তুমি যে আমার…..
এগুতে এগুতে দেখি ইচ্ছের বীজতলা অনাবাদী পড়ে আছে বয়সী প্রজাপতির কাছে কিছুই হয়নি জানা বিহ্বলতার…..