আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
কুত্রাপি – ৬
মন
হরণ হয়ে যাবার ভয়ে
ক্ষয়ে যায় অতীতের মুখ,সুখ ও সংসার
তবু তার
হাওয়াই মিঠাই নগরে
যাওয়াই পাপ
মাপ থেকে খসে পড়া আঙুল
ঠোঁট তার জবাফুল
নেমে যায় থেমে খায়
বেয়াড়া বকুল।
কুত্রাপি – ৮
মানুষ
ধোয়ার মত মিলিয়ে যাচ্ছে কোথাও
খোয়া যাবার আগে,ঢেউ সমেত উড়ে গেছে বিকেল
কেউ কি জানে কতদূর ?
সুদূর কোনো ধানক্ষেতে ডেকে গেলে বান
কান নিয়ে চলে যাওয়া চিল
মিল ও অমিলের ধার ধারেনা
তবুও ভাবি এইসব নক্ষত্রমুখী রাতে
ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে থাকা যায় বহুকাল।
হায় মানুষ,তোমার ফেরার ধ্বনি শোনা যায়,
ফাঁকা নিদ্রায়মাণ হাওয়ার করতলে।
কুত্রাপি – ৯
ত্বকজুড়ে হাসির ভঙ্গিমায়
বকফুল ঝরে যাওয়া রাত
অকস্মাৎ ভাবি
খাবিখাওয়া রোদের পাশে
খাঁ খাঁ অন্ধকার
তুমি কি বিব্রত?
রতহীন নির্লিপ্ত শূন্য পথের নিমগাছ
ঝিমধরা মাছের মত একাপথ ও প্রান্তরে
রথ ও ভ্রান্ত স্বভাব যার
তার স্নানের পাশে কেবলই ভেসে ওঠে উপকূল
কুত্রাপি – ১০
তটরেখা বরাবর হাঁটছি
জট খুলে ছুঁড়ে দাও প্রশ্ন যত
আহত হবার ফাঁকে আমিই ডাকি আমাকে
নিরন্ন ডাহুকের ভান
আনকোরা ছুটে যায় আয়ুহীন মন
পতন গভীর হলে,ঢলে পড়ে
আধোলীন চাঁদ
ভীতিহীন ফাঁদগুলো আড়ালে রাখো
দেখো, কারও নিরীহ জামার নিচে
একাকী তিতিরফুল গান গেয়ে যায়
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..