আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
সরে যাচ্ছে শহরের উঠোন ভরা প্রার্থনা
অতল বৃক্ষদের কানে কানে গোপন ধ্বনি
ক্লান্ত ঘামের বসন্ত আছড়ে পড়ছে রিকশার প্যাডেলে-
ব্যস্ত বাসিন্দারা ভাঁজখোলা সিঁড়ির আড়াইতলা দালানে
চৌঘরি পুরাতন অন্ধকার শোয়ানো-কুয়াশা ভাঙা রোদ
বেগানা মাকড়সার বিপ্লুত পথ খুঁজতে খুঁজতে
টিয়ে ডাঙরের মতো অসংখ্য উড়ন্ত পাখির স্বপ্ন আঁকছে।
চোখে আমরি উত্থানের গল্প,পেটে খিদের কারখানা
কেবল রক্ত আর মাংস পোড়া দিনমান কবিতা হরতাল দিনে
এই আমাদের মৃত্যুপুরী,নুনঝাল-সংসার-প্রিয়তমা;
কোনো ক্রোধ নেই,অভিমান নেই।একগাদা
ঘুমের ওষধ গেলা হয়নি কখনো।
বালিশের দেয়ালে ঠেকায়নি মাথা,ভিন্ন হয়েছি কবে
সেই ঘর ছেড়ে তরঙ্গ দেহকে শুইয়ে দিয়েছি
সবুজের গালিচায়,স্বপ্নাদ্য জন্মের ভেতর
সহৃদয়ে বেঁধেছি মানুষটির কথা,অনিন্দ্য উষ্ণতমে;
আজ তাহারে জানিয়ে দেবার পালা এই যুবক তিথিতে-
তোমাকে অনুভব করি।সত্যি বললেম,আর নিখোঁজ হব না…
আমি জানি তুমি এখনো হাসো…
এই শহরে,এই গ্রামে-নিহত রক্ত
তোমার সন্তত প্রেম পালন করে
প্রতি ছাব্বিশ,জন প্রতি লেখে বর্ণনা;
সৃষ্টিরা সৃজনে গৃহত্যাগ করেছিল
সুপ্রভাত মাতৃভাষা কাঁধে তুলে
প্রাক প্রাচীর গ্রীবাদেশ দীর্ঘ হেঁটে-
আকাশের নিচে বাজায় মোহন বাঁশি
বসন্ত খোলা নৃত্যময়ী মুখ কণ্ঠ ঝরায়
গভীর ছন্দ ভাংচুর করে চোখ
কারা যেন ফেরত দিয়েছিল স্ব উপস্থিতি
অহিংস স্মৃতির স্বাধীনতা করিডোর-
কেমন আছো বাংলাদেশ,দুর্লভ স্বাধীনতা
কেমন আছো রাঙা ঠোঁটের মেয়ে
কেমন আছো ব্যস্ত শহর,মানবিক পাঠশালা
কেমন আছো চাষীর মাঠ পল্লী দুপুর,
আমন ধানের শাদা ভাত-মাছ ভরা পুকুর
আজ আমি ভালো নেই।বল্গা চাঁদ মিল্কি হাসে
গাছগুলো দেওয়ালে দেওয়ালে পিরামিড
মেষের ক্ষুরে দলছুট অরণ্য,ধূলো দৌড়ায়-
লাল রক্তে আঁকা আমাদের মিশ্রিত বসবাস!
চোখের জল এত নোনতা,স্রোতের ধ্বণিতে
হুড়মুড়িয়ে ফেরত দেয়
নিঃসঙ্গতা আর সুখ হারানোর গান-জলমুদ্রা;
কার কাছে যেন সুখ হাওলাদ চেয়েছিলাম
বহুঘর-দরজায় সম্মুখে নোলক পরা নতুন বধূর পাড়া থেকে
বিছিন্ন আগ্রাসী ছেলেপুলের শিস লুটে
হাজার বছর দখিনা হাওয়ায় গাছ দোলানো
সজনাপাতায় অনেক যুদ্ধের ঢেউ গুণে
আকাশে-আকাশে গ্রহাণু,পাখি পালকের খাসকামরায়
ভীষণ ব্যথার পটভূমিতে জলমুদ্রার বসন্ত লিখে-
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..