প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
আজ আমি অনেক কিছুই আর পারিনা আগের মতো ।
একদিন পারতাম । সেই দিন খুব বেশী দূরে নয়।
অথচ মনে হয় , দিনগুলো কত যুগ দূরে ।
কালবোশেখী ঝড় উঠলে
পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা হৈ হৈ ক’রে ছুটাছুটি করে ,
আজ অমন আত্মহারা হ’তে পারিনা;
এমন ঝড়ের সময় ওদের মতোই আম কুড়োতে ছুটতাম
আজ উৎকণ্ঠায় মন ভ’রে উঠে ,
নিরাপদ আস্তানা ছাড়তে ভরসা হয় না ।
শুধু আমি ডানা-ভাঙা এক পাখির মতোই পাখিদের ওড়াউড়ি দেখি ।
রোদে পুড়ে পুড়ে অনর্থক
অনেক দুপুর ঘুরে ঘুরে কাটিয়েছি মাঠে ও বাগানে ;
এখন সামান্য রোদেই হাঁটতে কষ্ট হয় ,
ঘামে তেষ্টায় হাঁসফাঁস করি ।
আত্মীয় -পরিজনকে একথা খুলে বলতেও পারিনা—
ভয় হয় , যদি বলে —
‘ পাইট-খাটার ব্যাটা , শহরের মুখ দেখি’ বাবুরগো মুখোস ধইরাছে ।
তোর বাপ তো এখনও হাল ঠ্যালে রে ! ‘
অথচ গাঁয়ের ছেলেই বটে আমি তাদেরই স্বজন একজন ।
মায়ের দেহের মতো পরিচিত আমার ওই গ্রাম,
তার লোকজনদের সাথে আর আগের মতো মিশতে পারিনা ,
সবাই দূরে দূরে রাখতে চায়
যেন আমি অজানা অচেনা এক অতিথি এসেছি ।
আমি আজ কাঁদতেও পারিনা ।
আমার মা
আমার স্বভাবের নাড়ী-নক্ষত্র জানেন ।
কখনো কখনো
বেদনায় অভিমানে তাঁর আঁচলে মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতাম।
লজ্জায় অপমানে ব্যর্থতায় শত সহস্র বেদনার পোড় খেয়ে মরলেও আজ
তাঁর কাছে মুখ ফুটে কোনো কিছুই বলতে পারি না ,
তাঁর সামনে এক ফোঁটা চোখের জলও ফেলতে পারি না ,
আঁচলে মুখ লুকিয়ে কাঁদতেও পারি না ;
তাঁর সাবিত্রী শরীরকে স্পর্শ করার মতো স্বতঃস্ফূর্ত অসঙ্কোচ আজ আমার নাই ।
যখন তাঁর কাছে যাই
মনমরা বিষাদকে ঢেকে চোখে মুখে হাসি ফোটাতেও পারি না ।
আজ আমি কাউকে আর আনন্দ দিতে পারিনা ।
আমার চোখ মুখ মন সব যেন আজ
পরাজিত যুদ্ধ-ফেরৎ সৈনিকের মতো ।
আজ আমি অনেক কিছুই আর পারি না
আগের মতো ।
একদিন যে নারী আমাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করতো
যার সংসর্গ পাওয়ার জন্য আমি সারাক্ষণ উন্মুখ হ’য়ে থাকতাম ,
যার সাথে অনবরত কথা বলার আনন্দ ঝর্নার ধারার মতো বুকে ব’য়ে যেত ,
আজ আর তাকে তেমন -যেন দেখতে পারি না ,
আসঙ্গের ইচ্ছাও হয়না ।
রাতের সঙ্গম সুখী পাখিদের যূথ-ব্যক্ত সাড়া সেই স্মৃতিকে বিদ্রূপ করে শুধু ।
আমার দশা এখন
ষ্টেশনহীন প্যাসেঞ্জারহীন জন-কেবিন মালগাড়ি
শতাব্দীর গতির মতো মন্থর ।।
কেটে গেলো এবারেরও জাড় একটা মাফলার-বিহীন ,
কিছুটা শৌখিন
পরিচ্ছদে জীবনটা প্রসন্ন করার ইচ্ছেটা মাঠে
মারা গেলো এভাবেই সারাটা জীবন , ছোকরাটে
বয়সের বাঞ্ছাগুলো এভাবেই ক্রমে ক্রমে ফাঁকা
হ’য়ে যায় , প্রতিদিন চিরুণীতে কিছু কাঁচাপাকা
চুল ঝ’রে যায় , অসহায় বিপন্ন সবুজ
মনটা তবুও গায় বসন্তের গান আজন্ম অবুঝ ।
কেটে গেলো আরও একটা বছর ,
একটা বিশিষ্ট এবং সুন্দর
বই প্রকাশ করার ইচ্ছেটা ফলবতী হলো না একতিল ।
পত্রিকার অফিসে অফিসে কবিতার ইতস্ততঃ ঢিল
ছুঁড়লাম , কোথাও কোনো ঢেউ উঠলো না , জুটলো না
জন-সমুদ্রের জিজ্ঞাসার সামান্য স্পন্দন , পাঠকের প্রশংসার ফুল ফুটলো না ।
তবু প্রতিদিন শব্দ লিখি—
হতাশায় , সুখ-দুঃখ-বেদনায় কথার পেখম ধরে আবিষ্ট আত্মার অলৌকিক শিখী ।
আরেকটা বছরকে স্বাগত জানাতে হলো সাত-তাড়াতাড়ি
শঙ্খধ্বনি দিয়ে ,আলপনায় আম্রপল্লবে ফের ভাঙাচুরা ঘরবাড়ি
সাজালাম নতুন নক্শায় , কিছু কিছু শুভেচ্ছার
চিঠি এলো , রঙীন চিত্রালি এলো আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবের ,কিন্তু আরো একবার
দেখলাম ঝ’রে গেলো ঘর-বাঁধার ইচ্ছেটা বেবাক ,
জুটলো না কমনীয় প্রেমের প্রতিমা ,
ফুটলো না রমণীয় প্রণয়ের ফুল
বেজে উঠলো না বরণীয় মিলনের শাঁখ
স্নায়ুর নিবিড়ে নিসর্গ-নিয়মে ।
তবু , আবারো নতুন আশায় উদ্যমে
বাঁশি বাজায় বুকের ভালবাসার বাসনা , বসন্তের বিদগ্ধ বিশ্বাস ;
কখনো কখনো উদাস স্বভাব হ’য়ে উঠে উন্মাতাল ইন্দ্রিয়ের দাস ।
সোনালি দিনের জন্য এখনো আদিম
প্রবৃত্তির অন্ধকারে জ্বেলে রাখি সংযমের
বিপন্ন পিদিম ।
কেটে গেলো আরো একটা বছর , জীবনটা হ’লো না মসৃণ ,
আমি আরো অনেক বছর চাই ।
অকস্মাৎ থমকে’ দাঁড়াই—-
বত্রিশ বছর কেটে গেলো , আর ক’টা দিন ?
ধরা যাক ,আমি নেই ।
ধরা যাক পৃথিবীর কোনোখানে আমি আর নেই ।
অর্থাৎ মহাকালের অমোঘ নিয়মে
পার হ’য়ে গেছি আমি দুনিয়ার মায়ার বাঁধন
লোকাচার ধর্মাধর্ম জাতপাত উঁচুনীচু সম্পন্ন-নির্ধন
মুরুক্ষ-পণ্ডিত অসৎ বা সচ্চরিত্র কিংবা স্বদেশী বিদেশী ইত্যাকার
পরিচয়-পত্র-আঁটা প্রাত্যহিক বিভেদের বেড়া ।
ধরা যাক , জাগতিক ক্রিয়াকর্ম যথারীতি যথাসাধ্য পালন করেই
আমি নিয়েছি বিদায় পুতুল নাচের
নাট-মঞ্চ থেকে ; ধরা যাক ,আমার জন্যও
কিছু
লোকজন ,আত্মীয়-স্বজন কিছু জুটেছিল আপাদমস্তক শোকাবহ
কাফন-পরানো লাশ সদ্গতির জন্য আর বিদেহী আত্মার
শান্তি-কামনায় । তারপর বিংশ শতাব্দীর খোঁচে
জীবাশ্ম হওয়ার মতো জীবনের কিছু বাকি নেই , ধরা যাক ।
পরিত্যক্ত আস্তানায় প’ড়ে আছে প্রিয়পাত্র বই
খাতাপত্র পেন্সিল কলম ,
জুতো জামা ,ঝোলাঝুলি,সেফটি রেজর
টুথব্রাশ,চিরুণী, রুমাল ; দেশ-বিদেশের
রেডিওর চিঠি ; সুদর্শন কার্ড ; স্মৃতির মাধবী ছবির বাণ্ডিল ;
শিক্ষার সার্টিফিকেট— মূল্যবান , সযত্ন-রক্ষিত ;
প’ড়ে আছে দাদের মলম , যৌবন-বর্ধক স্বাস্থ্যের টনিক ,
টুকিটাকি কবিতার পাণ্ডুলিপি , বা শখের
হারমোনিয়াম । প’ড়ে আছে ।
প’ড়ে আছে কবিতার দুঃস্থ পাণ্ডুলিপি —
মনের সোনালি কল্পনার প্রজাপতি
অস্তিত্ত্বের আশা-নিরাশার শব্দ-চিত্র
হৃদয়ের বর্ণময় বিশ্বাসের শিল্পিত বাগান
মানবিক বক্তব্যের স্বতঃস্ফূর্ত নির্দল তাগিদ ।
খরস্রোতা সময়ের দুই তীরে জীবনের সেতুবন্ধবৎ নির্মিত বালির বাঁধ
প’ড়ে আছে ভাঙাচুরা , বিষণ্ণ শ্রীহীন , ব্যর্থ ।
ডজন ডজন
মাকড়সা আরশোলা নিবিড় নিশ্চিন্তে পরম সুখাদ্য ভেবে
খুঁটে খাচ্ছে তার সব কমা দাঁড়ি অক্ষর পয়ার ।
কবিতা নামক এই মস্ত উজবুক
ভাবুক ফালতু বস্তু ছাড়া আর সব
নিশ্চিতই জানি , যে-কেউ-না-কেউ করবে দখল
অচিরেই হুটোপাটি ক’রে , লুঠের মালের মতো ।
তবু রক্ষে , হে ঈশ্বর , কথা-চোর কেউ
কবিতা হরণ না করার মতো যদি হন করুণা-নিধান !
পাণ্ডুলিপি অন্ধকারে হৃদয়ের অজস্র শব্দের ঝিলিমিলি
এঁকে যায় নিবু -নিবু জোনাকি জীবন ,
সমস্ত আমার চোখে হ’য়ে যায় একান্নটি বর্ণের বাহার অধ্যূষিত
নক্ষত্র-খচিত দূর চাঁদোয়া আকাশ ; তার সাথে
শুদ্ধ বাংলায় বিবিসির ক্ষিপ্র ভাষ্য আর অপাঙ্ক্তেয় দেহাতের লোকভাষা
অরোরার অপূর্ব আভায় দ্রবীভূত ।
বাড়ি যাচ্ছি
বাড়ি যাচ্ছি আজ বহুদিন পর ;
যাচ্ছি আমার
জাগতিক অস্তিত্ত্বের অবখ্যাত ভাটপাড়া , সযত্ন-রক্ষিত
যৎসামান্য আমার পৈত্রিক সান্ধ্য-প্রদীপের পীঠস্থান ।
যাচ্ছি যখন , অন্ততঃ অবাধ প্রাণের উৎসব হবে ।
ভিন্ দেশে কাজ করছি
খাই-খরচা নোট পাচ্ছি ,কালেভদ্রেফ
ভোট-বাবু সেজে ভোট নিতে যাচ্ছি ,দ্যাশের দশের
সেবায় জীবনটা উৎসর্গ করছি , নতুন
জুতো পাচ্ছি জামা পাচ্ছি , রাস্তায় ট্রাফিকে
ঠিকঠাক টেরি কাটছি , ফ্যাশানের হালফিলে জীবনটা রগড়াচ্ছি , আর
আয়ুব মোল্লার মতো সারাক্ষণ বুদ্ধির দেউড়ি আগলাচ্ছি ।
সর্বদায় চোখে আভা —
অদূরেই খুলে যাবে কোনো এক নক্সাদার সোনালি জীবন ।
অথচ নেপথ্যে এর সারাক্ষণ আমি এক দোটানায় থাকি ।
না পারলাম গ্রামীণ মূল্যবোধকে সযত্নে ধ’রে রাখতে ,
না পারছি পুরোপুরি শহুরে হতেও , আমি যেন
হ’য়ে গেছি চিড়িয়াখানার পাখি সুলভ সুখের প্রদর্শনীর সন্তোষে ।
আর আমার মতোই গ্রামগুলো ঊর্দ্ধশ্বাসে দৌড়চ্ছে শহরে
আধুনিক যন্ত্র-সভ্যতার সুখপ্রদ অবদান যথাসাধ্য
করায়ত্ত্ব করার প্রয়াসে , মাঝখানে
অনভ্যস্ত কায়দা-দুরস্ত কিছু হ’য়ে যাচ্ছি আজব জিনিস ।
খুঁটে খাচ্ছি দশ দিক ,
আজীবন অতৃপ্ত ক্ষুধায় খুঁটে খাচ্ছি শাকপাত
ফলমূল পরিমল শষ্যের মরাই
গাছপালা জলবায়ু , নিরীহ ছাগল হাঁস , খনিজ সম্পদ , খই-খুচরো খবর ।
হিংস্র নিষাদের মতো , রক্ত-চোষকের মতো বিবেচনাহীন ।
অর্থাৎ মানুষ গিলে খাচ্ছে আয়ত্ত্বের
সবকিছু আজ ক্ষুধার্ত ভীষণ নেকড়ের মতো ,
এবং অবাক দেখি মানুষকে গিলে খাচ্ছে হাঙর সময় ।
বাড়ি থেকে ছিঁটেফোঁটা চিঠিপত্র আসে , বুড়ো বাপ বাতের ব্যাধিতে বহুদিন শয্যাশায়ী
আজ কিংবা কাল অথবা বছর ঘুরে
নিশ্চিত অক্কা পাবেন । টুকরো খবর আসে
অমুকের নানি , কিংবা অমুক নানার ছেলে–দিব্যি জোয়ান-জাহান—হঠাৎ সেদিন হয়েছেন গত ।
নিমেষে শঙ্কিত হই ,কল্পনার অশ্ববল্গা খিঁচে ধরে কেউ , যে-কোনো সময় বেজে যেতে পারে আমার ঘণ্টাও ।
আচমকা মনে হয় , আমরা সবাই নিঃসঙ্গ ভীষণ এই
সময়ের নাটমঞ্চে । থেকে থেকে মৃত্যুর খবরগুলো ঘুরে ঘুরে আসে
মনের পর্দায় কাজে বা অকাজে ,ইতস্ততঃ সামনে ঘুরে বেড়ায়
নামহীন সংখ্যাহীন শব , চারিপাশে
ভয়ানক নৈঃসঙ্গ্যের অন্ধকার চেপে ধরে , কসাই সময়
দেখি জ্বলন্ত চোখের বাঘ চেয়ে আছে , গুণছে প্রহর ।
অকস্মাৎ নিজেকে কেবলি মনে হয় কোরবানীর পশু ।
কাকের ডাকেই চোখদুটো রগড়াচ্ছি
ক্ষিপ্র ভাষ্য খবরের খাদ্য হাতড়াচ্ছি
সারাক্ষণ বুদ্ধির দেউড়ি আগলাচ্ছি
মাথা ঘামাচ্ছি না ঘামাচ্ছি
বুলি-সর্বস্ব কিছু মতবাদ অথবা প্রেম-প্রেম
শব্দ আওড়াচ্ছি , জৈবনিক
চাহিদার আস্তাবলে ইচ্ছার অশ্ব হাঁকাচ্ছি,প্রচ্ছন্ন
আদরে ফেরারী যৌবনকে মলম মাখাচ্ছি , হনন-প্রিয়
সময়কে সযত্নে চিত্তহারী সাজাচ্ছি ,জাগতিক
শান্তির আশায় ভ্রান্তির ডুগডুগি বাজাচ্ছি ,
পুতুল-নাচের নট , নাট্যে ডুবে যাচ্ছি ।
বহুদিন পর বাড়ি যাচ্ছি ।।
—————————
কবিতা-৫
————-
ফুলদানিটা / বদরুদ্দোজা শেখু
—————————-‘———-
ফুলদানিটা কিনেইছিলাম, ফুল কখনো হয়নি রাখা ,
সৌন্দর্যের কসাই হ’তে চাইলো না তো মনের চাকা
এবং টাকা— কেবল টাকার বাণিজ্যটায় রিক্ত আমি
সারা জীবন, থাকার জন্য নিজের কড়ি দেই সেলামী
বই গোলামী বাঁচার জন্য নথিপত্রের অফিসপুরে ,
হৃদয়-বৃত্তি জীর্ণ হলো বাতিল ইচ্ছার আস্তাকুঁড়ে
অনুভূতির পাপড়িগুলোয় অস্তিত্ত্বের অমোঘ জরা,
ফুলদানিটা ফাঁকাই আছে, ফুল ফোটেনি স্বপ্ন-ঝরা ।
বর্ষা-খরা অসুখবিসুখ ঘাতপ্রতিঘাত লেগেই থাকে
আমার মনে ফুলদানিটা পুষ্পভোরের স্বপ্ন আঁকে !
থাকে — থাকে, ইচ্ছেগুলো চারিয়ে থাকে গোপন বুকে
ভরিয়ে তোলে জীবনতরী ভালবাসায় ও ভুলচুকে ।।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..