কেন কবিতা পড়ি, কেন কবিতা লিখি

অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়
কবিতা, প্রবন্ধ
Bengali
কেন কবিতা পড়ি, কেন কবিতা লিখি

কবিতা আসলেই বিরোধ আর পাদানি ভাঙতে ভাঙতে হঠাৎ পিছলে যাওয়া।

শব্দের মাথায় এখনো সামান্য শীত লেগে আছে।আছে বর্ষার উপসংহার।

পাড়ায় হাঁটতে গিয়ে আজ টের পেলাম আমার বেড়ে ওঠার সাথেই ছিল আমার ছোট হয়ে আসাও।

এভাবেই শুরু আর কিছুটা শেষ করে আবার আরেকটা শুরুর কাছে হাঁটুগেড়ে বসে যাওয়া কিছু একটা প্রার্থনা নিয়ে হয়তো বা নাও হতে পারে সেইসব শুধুই পড়ে যাবার ইচ্ছে

একটা জার্নি হয়ে উঠতে চাওয়া মানুষের নিসর্গ খুঁজে বেড়ানোই তখন বর্ষার উপসংহার। আমার কবিতা বোধ।
পায়ে পায়ে এইতো নরুণ।সীমাহীন লাল দাগ হারাতে হারাতে কোথাও তো একটু অন্য রকম স্বপ্নদোষ।
তাতে কি কি হতে পারে? কেমন দেখতে লাগে যখন এই পিঠেই আছড়ে পড়লো একটা ম্যান্ডোলিন।
বেস লাইন থেকে ভেঙে পড়লে সমস্ত ওয়ালপেপার।

ছাউনি থেকে বেরিয়ে এল কবিতার অন্ধকার।তবু ছবির আশায় এখনো রাখা আছে পাতানো শব্দসব।

এখন ৫০ এর পুরোনো অ্যাশট্… টুকরো সরাতে সরাতে ভেঙে ফেলতে চাইছে এই নতুন কে।

এভাবেই আমার সারাটা দিন কাটে নিজের সাথে। যেখানে কবিতা একটা টানটান সিনেমার আপাদমস্তক।

একটা সাদামাটা রক্তদাগের সাথে অজানা সেই গৃহে প্রবেশের চেষ্টা।আবার সেই গৃহ থেকে ছিটকে বেড়িয়ে যাওয়ার তাগিদেই লিপি সাজানো পাতাগুলোকে  উলটে পালটে পড়ে ফেলা বারবার করে।

যদি কিছুটা বাতাস আমার কাছে ফিরে আসে নিজের মত করে। নতুন কোন লিখিত প্রস্তাব নিয়ে।সকলের অনুভুতি গুলো একত্র হয়ে যদি তোমাকে আবার লিখে ফেলতে পারি রৌদ্রস্নাত করে নতুন এন্টার নিয়ে।

নতুন স্পেস নিয়ে আরেকটা ইয়াকসাম থেকে আমার জমানো আইবল তাক করে।

আসলে কবিতা পড়তে চাই বাঁচার জন্য।

আর লিখতে চাই নিজের মত করে মরে যাবার জন্য।

ছাপ্পা হয়ে ওঠার ইচ্ছে কোনদিনই ছিল না

সামান্য মানুষ আর মানূষের পরবর্তী জুম থেকে বুকের ইনবক্স এ যখন ভেজামাটির গন্ধ কুয়াশার গ্রামাফোন বাজিয়ে তোলে তখন পাখির ডানার সাথে উড়ে যায় এই ডাইরির খোয়াইসগুলো। ঘু গ্রাফিক্সে বাজে ছুটির ঘন্টা। প্যাকিং ভাঙতে ভাঙতে আমি দেখতে পাই চিনতে পারি এই সেই মেঘের কাটাকুটি খেলা যার জন্য চৌকাঠে বসেছিল স্পর্ধা। আর ঠোঁটের ডগায় বেড়ে উঠেছিল সোহাগ কিছুটা হুইসেলের মত।

পিনড্রপ ব্রিজ থেকে শব্দ যখন রেলের তাঁবুতে শূন্যতার গ্রিপার গুঁজে দিচ্ছে তখন ছায়াতে আবার ভেসে ওঠে কিনারের বেপোরোয়া। আমি হয়তো রোদের ভুঁরু’র কাছে একটা টুকরো চাই কারুর হাতে মেহেন্দী বসাতে। কিম্বা এমনও হতে পারে এসবের কিছুই না। শুধু মাথা নিচু করে বসেই আছি হঠাৎ কোন ঝাপটার আশায় দুসরালাইনের ম্যাহেফিলে ঝাঁপিয়ে পড়তে।

কবিতার রুবিক খসে পড়ছে দূরের হাটখোলায়। একলা এরেকজন তমসাকে সড়ক দেখাচ্ছেন চুমুকের ঝুমচাষ দিয়ে। শোনাদের মাসুল নিয়ে আমরা জ্যোৎস্নার লাগোয়া হতেই শরীর অন্যরকম। মাথায় তখন মিছিল চলছে ঘুমের তলানি থেকে তুলে আনা নতুন অসুখের।এই সময় যদি দেওয়াল না লিখি। অ্যাটলিস্ট চেষ্টা না করি তাহলে কিছুটা উত্তর ও বাকি থেকে যায় যার কোন রিলিফ হয় না। যার কোন পিঠ থাকে না নিজেকে চিহ্নিত করার।

পশ্চিম চাদরে তখন রাস্তার চাহত। ফয়সালা শোনার আসরে আবার ঢুকে পড়াই শ্রেয়। করমর্দন করে নতুন ওয়াগান ফিরে আসছে তার পথগান নিয়ে। দাগ লাগা জলের পড়ন্তবেলায় কিছুটা খেয়াল আর পেখমের আদরকথায় আমি টপকে যাচ্ছি জানালার বিবিধকথা মালা। খাম ছিঁড়ে পুড়িয়ে দিচ্ছি নিজেকেই।

এভাবেই আমার কবিতা। কবিতার গিট খুলতে খুলতে উড়িয়ে দেওয়া অ্যাভিস আর কোলন। গাছেদের বিনুনী ঝরানো অফমুড। আমার আগুন। নিভছে জ্বলছে।নিভছে জ্বলছে। একটা বিন্দুর ওপর। আরেকটা গ্রাহ্য লিখে রেখে।

অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কবি। লেখালেখি শুরু ৯০ দশক। সম্পাদিত কাগজ, ‘এরকা’ (৯এর দশকে) ও ‘এখন বাংলা কবিতার কাগজ’ (২০০৪ সাল থেকে)। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- 'দেওয়ালে মথ সুন্দরী', 'রৌদ্রস্নাত জলাভূমি', 'এটুকুই পারি', 'নেশাতুর অ্যাভিস কোলন', 'সহবাস শিবির', 'গ্রহণ বরাবর', 'সেলাই অপেরা' এবং 'সূর্যাস্তের শহর'

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

তর্জমা

তর্জমা

তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..