ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
দরোজা খুলে ঘরে ঢুকতে গিয়ে খানিকটা হল্ট করে নির্ভাবনা। ওয়াও! কী ফুল এগুলো? আশ্চর্য ত! কদিন বাড়িতে ছিল না। এর মধ্যে ড্যাড দেখি অনেকগুলো নতুন ফুলগাছ লাগিয়ে ফেলেছে! ফুলগুলো দেখতেও দারুণ সুন্দর। ছোট ছোট ম্যাজেন্টা হলুদ। কোনটার রঙ আবার ছিট ছিট বেগুনী সাদা। দু গালে টোল ফেলে হাসে নির্ভাবনা। স্বদেশ থেকে অনেকটা পালিয়ে এলেও ড্যাড আসলে বাংলাদেশকে কিছুতেই ভুলতে পারে না। এগুলো সিওর বাংলাদেশি কোন ফুল হবে। তবে অনামি কোন ফুল। ড্যাড ডাস্ট থেকে পার্ল খুঁজে পেতে খুব ভালবাসে। গাছটা হয়ত বাংলাদেশে ড্যাডদের বাড়িতে কিম্বা বাড়ির আশেপাশে অযত্নে প্রচুর পরিমাণে ফুটে থাকত!
ট্রাভেল ব্যাগটা টেবিলে রেখে গ্লাসে পানি ভরে এবার পেছনের বাগান দেখে নির্ভাবনা। বাগান উপচে সবজী হয়েছে। বেশীটা বাংলাদেশী সবজী। যখন ছোট ছিল সবজী তুলতে তুলতে প্রতিটি সবজী নিয়ে ড্যাড গল্প বলত ওদের দু বোনকে। একটা লাউ, কুমড়ো অথবা শিমের বেগুনী সাদা ফুলের সাথে ড্যাডের মা, বোন, আন্টি, বন্ধু প্রতিবেশীদের নানা গল্প উঠে আসত তখন। বড় হতে হতে ওরা অবশ্য বুঝে গেছিল গল্পগুলো মিথ্যে নয় আর সেগুলো বুকের মাঝখানে খুব যত্নে বহন করে চলেছে ড্যাড। ছোট বোন সুস্মিত একদিন নির্ভাবনার কানে কানে বলেছিল, নির, ইটস জাস্ট ড্যাডস ইমোশন। আমাদের কী! অনলি টাইম লস্ট। অ্যা এম গোয়িং, তুই থাকলে থাক, বাই—
নির্ভাবনা হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত ড্যাডের দেশপ্রীতি নিয়ে। মাঝে মাঝে অবশ্য অতিরিক্ত করে ফেলে ড্যাড। বাংলাদেশের একটি সুন্দর ফুল অথবা ভাল গল্প কিম্বা নিউজপেপারে পাবলিশ পজিটিভ কোন নিউজ পড়ে গনগন করে ওঠে ড্যাডের মুখ। ড্যাডের উচ্ছ্বাস দেখে হাসি পেয়ে যায় ওদের। অনেক সময় ইগনোর করে চলে যায়। আবার কখনো সরাসরি অবজ্ঞা করে নানা কিছুর তুলনা করে ড্যাডকে মনে করিয়ে দেয়, এতই যদি ভাল ত দেশ ছেড়ে কেন এসেছিলে! লিসেন ড্যাড, এদেশে এমন কিছু ব্যাপার আছে যা নিয়ে ওদেশের কোন তুলনা চলে না!
ড্যাডের মুখ তখন কালো হয়ে যায়। তাই দেখে নির্ভাবনা খুব হাসে। হাসিটা লেগেই থাকে ওর মনে। অনেক সময় অফিসে মনে পড়ে গেলেও হেসে ফেলে আর গ্রীসের আদ্রিয়ানা তখন হইচই শুরু করে দেয়, নির হেসেছে, হেই গাইজ দেখো নির হেসেছে বলে। কিম্বা এক কাপ কালো কফি অফার করে চোখ পিউট করে জানতে চায়, ডেটিং এ যাচ্ছো বুঝি! মাইকেল ফিরেছে তাহলে!
নির্ভাবনার মত আদ্রিয়ানাও জানে মাইকেল আর ফিরবে না। এখানকার পড়াশুনা শেষ করে ফিরে গেছে সিয়েরা লিওন এ। ওর মায়ের করা ইশকুলটাকে সচল রাখতে হবে ওদের দু ভাইবোনকে। মাইকেলের মা ক্যান্সার পেশেন্ট। জাতিসংঘের হেলথে কাজ করতে ভলান্টিয়ার হিসেবে গিয়েছিল আফ্রিকায়। সেখানেই পরিচয় মাইকেলের ড্যাডের সাথে। বিয়ে এবং দু ছেলেমেয়ে নিয়ে সিয়েরা লিওনেই থিতু হয়ে গেছিল ওরা। আফ্রিকান ডাক্তার বাবা আর আমেরিকান হোয়াইট মায়ের ছেলে মাইকেল দেখতে অনেকটাই বাঙালির মত। ভাল লাগত ওদের। অনেকটা উষ্ণ ছিল ওদের বন্ধুত্ব। কিন্তু বন্ধুত্বের ভাল লাগাটা জমাট বাঁধেনি। মাইকেল আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ওর ডেস্টিনিটি। ওর ড্রিম। ওর কাজ সম্পর্কে। চেয়েছিল নির্ভাবনা ওর সাথি হোক।
কিন্তু তখনো নিজের মত করে ভাবতে শিখেনি ও। ঘুরছে ফিরছে বেড়াচ্ছে। কেবল এটুকু বুঝেছিল ভাল চাকরি করতে হবে। তারপর? হয়ত একদিন বিয়ে করবে। বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়ার স্বধর্মের কোন পুরুষকে। মাইকেলের ধর্ম ছিল কাজ। আর নির্ভাবনার? তের বছর বয়সে ও জেনে গেছিল ওরা হিন্দু। আচার আচরণ, পুজো পার্বণ, বিগ্রহ নাইবা চেনো বা জানো হিন্দুত্বের ভেতর থেকেই ওকে মানবিক হয়ে উঠতে হবে।
নির্ভাবনার প্রিয় পামকিন কেক এর দ্বিতীয় পিস ওর প্লেটে তুলে দিতে দিতে মেজমামি ওকে ভাল করে বুঝিয়ে দিয়েছিল ওর মানবতার দৌঁড় আসলে কতটুকু হতে পারে বা হওয়া উচিত। নির্ভাবনার সাহসে কুলোয়নি মাইকেলের হাত ধরতে। অথচ সিয়েরা লিওনের স্বপ্ন প্রায় রাতে ওকে জাগিয়ে তোলে।
পুরো গ্লাস পানি একবারে শেষ করতে পারে না নির্ভাবনা। বারান্দার রেলিং ছুঁয়ে থাকা ইতালিয়ান বেসিল গাছে বাকি পানিটুকু ঢেলে দেয় ও।
আর তখুনি অজস্র জলের স্রোত নিয়ে নদী গন্ধ ভেসে আসে ওর নাকে। অবাক হয়ে দেখে নদীগুলোকে ও চিনতে পারছে। সন্ধ্যা, মধুমতি, কচা নদীর সাথে কয়েকটা ভাত শালিকের খুঁটে খাওয়ার দৃশ্য, একটা লেবু ঝোপ, ঝোপের নীচে বার্গান্ডি কালারের কয়েকটা চিকেন আর তাদের তুলোর মত বেবিছানাদের স্মৃতি ঘিরে ফেলছে ওকে। নির্ভাবনার জন্ম বাংলাদেশে। কিছু স্মৃতি এখনো ওর ব্রেনসেলে ছবি হয়ে গেঁথে আছে। একটি কালো বিশাল দাঁড়কাককে ও রুটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাওয়াত। অন্য কাকরা খেতে এলে ভয়ানকভাবে ক্ষেপে যেত দাঁড়কাকটা। অথচ বিকেলে যখন কাপড়চোপড় শুকানোর তারে চুপ করে বসে থাকত নির্ভাবনার অবাক লাগত দাঁড়কাকটাকে দেখে। ইদানীং ড্যাডকে অনেকখানি ওই কাকটার মত লাগে। ড্যাড কি ক্লান্ত হচ্ছে ! কেভ খুঁজে নিতে চাইছে কোন? কোন কেভ?
মাইকেল ফিরে গেছে ওর দেশে। ওর জন্যে রেখে গেছে উইশ। কিন্তু নির্ভাবনা যাবে না। ওর সাহস নেই মাইকেলের মায়ের মত। তবে আজকাল মাইকেলের স্বদেশপ্রীতি ওকে ভাবিয়ে তুলেছে। ফিরে যাওয়ার আগের সন্ধ্যায় চমৎকার বিশ্লেষণ দিয়ে মাইকেল জানিয়েছিল, আমেরিকায় ও থাকতে পারে। কিন্তু ও যে ধরণের কাজ করতে চায় তার স্কোপ কই! আমার দেশের নিরন্নের জন্য অন্ন, অস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সুস্বাস্থ্য, অশিক্ষার বিরুদ্ধে শিক্ষার ব্যবস্থা করাই যে আমার কাজ। আর এটাকেই আমি ধর্ম মানি নির।
পানি শূন্য খালি গ্লাসটা বুকের সাথে চেপে ধরে নির্ভাবনা, আচ্ছা ওর স্বদেশ কোনটি? স্বদেশ শব্দের মানেই বা কি? স্বদেশ কি কিছু স্মৃতিপোড়া অনুভূতি? ঘুমে জাগরণে বার বার ফিরে যাওয়ার তীব্র অসহায় আকুতির নাম কি স্বদেশ? তবে কি সুখে মানুষ দেশ পাল্টায়? ছুটে ছুটে বেরিয়ে আসে প্রিয় স্বদেশকে পেছনে ফেলে!
নির্ভাবনাদের ঘর একেবারে সুনসান। মাম ওকে জানিয়ে দিয়েছিল আজ ওরা বাসায় থাকবে না। ডিনারের দাওয়াত আছে। সুস্মিত এখন অন্য শহরে থাকে। চলে গেছে পড়াশুনার জন্যে। বছর খানেক আগে নির্ভাবনাও একবার অন্য শহরে গিয়েছিল চাকরির সূত্রে। ফিরেও এসেছে। কেন যেন ওর মনে হয়েছিল, চাকরি যদি একই হয় তো নিজের শহরে করাই ভাল। নিজের ঘর। চেনা মানুষ। চেনা রাস্তা। চেনাজানা ওয়েদার।
টেবিলে গ্লাস রেখে উপরে ওর রুমে যাবে বলে ব্যাগটি তুলে নেয় নির্ভাবনা। কিন্তু সিঁড়ির কাছে এসেই আচমকা আঁতকে ওঠে। থমকে দাঁড়িয়ে ঘরের সব খানে চোখ বুলিয়ে নেয়, স্ট্রেঞ্জ ওদের ঘরে কখন বেবি ঢুকে পড়ল! তাও খালি পায়ের বেবি! ছোট ছোট পায়ের ছাপ ফেলে সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠে গেছে উপরে। আচ্ছা ওর মামা বা ড্যাডের পরিচিত কেউ বেবি নিয়ে ওদের বাড়িতে বেড়াতে আসেনি ত! হয়ত মাম ড্যাড ওকে জানাতে ভুলে গেছে। সামারের শেষ সময় চলছে এখন। বাচ্চাটা তাই জুতো পরেনি। বাগানে কাদামাটির ভেতর হুটোপুটি করে সিঁড়িতে খেলেছে। কিন্তু কাদা কি এরকম সাদা হয় দেখতে!
ব্যাগটা বুকে চেপে নির্ভাবনা কয়েক সিঁড়ি উপরে ওঠে দাঁড়িয়ে যায়। পায়ের ছাপের উপর কোন কোনটায় লালরঙ দেখা যাচ্ছে। ব্লাড নাকি! ওহ শিট!
আমেরিকার প্রতিটি বাড়িতেই ভুত থাকে বলে ওরা গল্প শুনেছে। ইশকুলে ম্যাক্স নামের এক বন্ধু এমন ভাবে ভুতের গল্প করত যেন ভুতরা ওদের আত্মীয় হয়। আছে ঘরে। থাকুক না হয়। দিন বা রাতের যে কোন সময় মাঝে মাঝে নাকি ম্যাক্সদের কিচেনে ঝমঝম করে শব্দ হত। ওরা ছুটে গিয়ে দেখত সবগুলো চামচ পড়ে আছে ফ্লোরে। কিম্বা বন্ধ জানালা হঠাত খুলে যেত। আর হুহু করে হাওয়া ঢুকে পড়ত ওদের ঘরে। ম্যাক্সের মা নাকি তখন বাইবেলের আয়াত পড়ে পড়ে ক্রুশ ছোঁয়াত ঘরের বিভিন্ন কোণে।
ভয়ের ভেতরেও হেসে ফেলে নির্ভাবনা। ওর দাদিমা কিছুদিন ওদের সাথে থেকে গেছে। সন্ধ্যা হলেই একটি বোলে মাস্টার্ড ওয়েল ঢেলে তার মধ্যে নরম রোপে আগুন জ্বেলে ঘরে ঘরে ঘুরে কি যেন বলত। সে বলায় একটা রিদম ছিল। বেসিল ট্রির নীচে বার্নিং বোল রেখে নমস্কার করত দাদিমা। সে সময় মাম্মিকেও দেখেছে নমো করতে। নির্ভাবনা জানে ফায়ার ইজ পাওয়ার। কিন্তু কেন নমো করব? সুস্মিত ড্যাডের গলা জড়িয়ে বলেছিল, নমো করব কেন বাবা?
বাবা বুঝিয়ে বলেছিল ফায়ার ইজ নট অনলি পাওয়ার। ফায়ার ইজ হোলি ভার্চুয়েস। ওয়ার্ল্ডের এভরি রিলিজিয়নে ফায়ার খুব অনারেবল।
সুস্মিত জানতে চেয়েছিল, রিলিজিয়ন। আমাদেরও কি রিলিজিয়ন আছে বাবা? সুস্মিতের মাথায় মুখ ডুবিয়ে ড্যাডা বলেছিল, হ্যা আছে। আমাদের রিলিজিয়ন হচ্ছে হিউমিনিটি। মানুষের জন্যে কাজ করাই হচ্ছে আমাদের রিলিজিয়ন।
সিঁড়ির শেষ ধাপে নেমে বসে পড়ে নির্ভাবনা। মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে নিয়েছে কয়েকটি শিশু পদচিহ্নের। লার্জ স্কেলে ছবিগুলো দেখতে দেখতে কিছু মনে পড়ে যায় ওর। হোমমেড সাদা রঙে চোবানো কয়েকটি আঙুল উঠোনে ছবি আঁকছে! কোন গডেস আসবে। তাকে ওরশিপ করতে নাকি এমন পেইন্ট করতে হয়।
হোলি শিট। ইয়েস মনে পড়েছে দ্যাট লাক্মি গডেস। কিন্তু আমেরিকার এ বাড়িতে ত আগে কখনো এমন ওরশিপ হয়নি! ওরা কি তবে কোন রিলিজিয়ান স্পিরিচুয়ালিটির ডেন্ এ ঢুকে পড়ছে!
মিশরের তারেক হাবিবি, ওর কলিগ। ডান হাতে একটি রিং পরে থাকে। তাতে হোলি কুরআন থেকে নেওয়া অলওয়েজ ভাল থাকার দোয়া লেখা আছে। রিংটি জন্মদিনে ওর জিএফ ইয়াবিনা গিফট করেছে। ওর আরেক কলিগ ফিলিপিনো মিথিলা দুটি বাচ্চা নিয়ে এভরি সান ডে চার্চে যায়। দুই বাচ্চার দুজন বাবা। মিথিলা কখনও বিয়ে করবে না বলে জানিয়েছে। কারণ দুটি বাচ্চার দু পিতাকেই ও গভীরভাবে ভালবাসে। আদ্রিয়ানা বাইসেক্সুয়াল। ইয়াবিনা আর তারেক পাঁচ বছর ধরে লিভ টুগেদারে আছে। বিয়ে করতে চেয়েও পারছে না। ইয়াবিনা ইহুদি। ওর বাবা মা কিছুতেই মুসলিম তারেককে মেনে নিতে পারছে না। অথচ ধর্মীয় এক ঘটনাকে রেস্পেক্ট করে একই দিনে ওরা ফাস্টিং আরম্ভ করে। ইয়াবিনার একদিন আর তারেকের দুদিন ফাস্টিং থাকে। আবার দুজন এক সাথে এক টেবিলে বসে ফাস্টিং ব্রেক করে। তারেকের দ্বিতীয় ফাস্টিং ডে তে ইয়াবিনা সারাদিন কিছু খায় না। এমনকি লাঞ্চ ব্রেক না নিয়ে কাজ করে। বছরের ওই একটি দিনে খুব ক্লোজ কারো অনুরোধ রাখতে পারে না বলে ছলছল চোখে জানায়, তারেককে ছেড়ে! আচ্ছা না হয় অন্য দিন হবে। প্লি–ই–জ!
সিঁড়ির নীচে ফ্লোরে শুয়ে পড়ে নির্ভাবনা। এবারের শর্ট ট্র্যাভেলে মাইকেলকে খুব মনে পড়েছে ওর। ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ওর মায়ের বেঁচে থাকার শেষ মাস। তারপর যে কোন দিন মৃত্যু। মাইকেল ছবি পাঠিয়েছে। অনেকগুলো বাচ্চার মাঝে শুকিয়ে ছোট্ট হয়ে যাওয়া এক হাস্যোজ্জ্বল নারী মুখ। আরেকটি ছবিতে কপার কালারের সাদামাটা একটি কফিন। তার উপর লেখা, ওয়ার্ক ইজ গড।
মাটির কন্দর থেকে উঠে আসা হিম ঠাণ্ডা শীতল করে দিচ্ছে নির্ভাবনার পিঠ। প্রচুর শীত। কাঁপন দিচ্ছে। হয়ত কাঁদছে ও! ভালবাসতে না পারার হার্ডলস পেরুতে পারেনি বলে কান্না পাচ্ছে ওর। দু’হাঁটু ভেঙ্গে বুকের কাছে নিয়ে আসে নির্ভাবনা। এ মূহূর্তে একটি কেভ পেলে বেশ হত।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..