কোজাগর

অয়ন ঘোষ
কবিতা
Bengali
কোজাগর

কোজাগর

চৌকাঠে আঁকা মায়ের পা দুটি
মাড়িয়ে আসতেই, কেউ পিছু ডাকলো
দুগ্গা দুগ্গা বলে, আকাশে উরিয়ে ডানা
তন্দ্রা এলো সবুজ আলো মেখে
হারিয়ে যেতে যেতে কত যুগ পরে
তোমার গায়ের গন্ধ লিখি বানভাসি অক্ষরে।

কবেকার নেয়ে, জলে বসে
পুরনো বটের ঝুপসি ছায়া
ডুব সাঁতারে কতদূর খুঁজে ফিরি
চেনা রোদ্দুর, নিঝুম সংসারে কারা
যেনো কথা কয়, নিদ্রার গভীর আখর
হাওয়ার আঁচলে ঢাকা সে মাটির কোজগর।

সন্ন্যাস

আসবে বলেও যেদিন না আসো
সেদিন কিছু বিরাম চিহ্ন
রিক্সা করে এসে বাড়ির সামনে নেমে
আবার কোথায় বেপাত্তা হয়ে যায়
মুঠো মুঠো বৃষ্টি রেখে।

বাক্য গুলো কেমন যেনো খেই হারিয়ে
একে অপরকে ধাক্কা মারে
পথ হারায়। অবিধানেও খোঁজ মেলেনি।

ইশারা গাঢ় হলে, অচেনা বাতাসও
আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়ায়…

অর্ধেক খোলা জানালা দিয়ে
আলো এসে পড়ে বিপরীত রাস্তায়
চেনা মুখের আদল, গরণ সব
দোর এঁটে পরবর্তী বিজ্ঞাপনের জন্য
সাজগোজ করছে, হাতে সময় কম।

গান ভুলেছে ভোরের আকাশ, একটা সকাল তিরতির করে কাঁপছে গভীর আলোয়
আয়ুষ্কালের ক্ষত, গোপন সন্ন্যাস জমা রইল
বীতশোক পরাজয়ে।

বর্ণ পরিচয়ের চাঁদ

দু হাত ছিল মাটিতে গড়া
ওড়নার ছায়ায় বাঁধা ছিল রোদ
ঠোঁটের দুয়ারে শব্দ ছিল কিছু
মনের কোন নিশ্চুপ।

কথা হয়, চিলেকোঠা বাঙ্ময়
নীরব আঙ্গুল, সুরের ভায়োলিন
জল থৈ থৈ রোদ্দুরে
সব মেঘের বুকে বেনামী চিঠি
বাতাস মেঘদূত।

অন্ধকার ঘুমিয়ে পরে
কোটি বছরের অভিমান
পাখির ডানায় রংধনুর চন্দ্রবিন্দু
একলা একলা আলো ভাঙছে
বর্ণপরিচয় এর চাঁদ।

এবার নিজের মতো বুঝে নাও

খেলার মাঠটা সরে গেলো
যতটা সরলে মনে হয় ছেলেখেলা
বা ছেলেবেলা ছিল।
অবশ্য মেয়েবেলাও হতে পারতো
শতাংশের হিসেবে বাদ দিতে হলো
বৃষ্টিপাত দেখিনি, ধারাপাত শুনেছি।
ঈষৎ মুখ বেঁকিয়ে
সরে যাচ্ছে ছায়ার যাপন
ঢেউ এর ওঠাপরা
দাঁড়িয়ে কি আছি এদের মধ্যে?
পরিধির ওপর চলাফেরা, পাশ কাটিয়ে
যাওয়া, কেন্দ্রের তীব্র আকর্ষণ
পাঠশালা থেকে প্রেম
টিকে গেছে যে যার মতো।
আসলে করিনি জোর
শুধু বলেছি ‘থাকলে ভালো লাগবে’
হয়ত থাকেনি কিছু
হয়ত বা…
কিন্তু আমি কেবল বলতেই পারি
বাকি টা, বাকিই থাক
সময় বুঝিয়ে দেবে নিশ্চয়।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ