প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কেন বারবার ফিরছো পাথর নগরে?
দৃষ্টিগুলো সুক্ষ্মাগ্র ছুরি,
নিমিষে বসাবে চড়ুইভাতি ভাগ ।
এখানে জল, স্তন, নিদ্রা কিছু পাবে না,
দেখবে শুধু ছায়াচ্ছন্ন কাকতাড়ুয়া, আর
কতোগুলো বন্দুকধারি!
এ বড় দুঃসময়,
পরাধীনতার স্তব গায় বিপন্ন দোয়েল
এখানে গোলাপ মৃত্যু নিয়ে আসে,
জ্যোৎস্না বহন করে রক্তের দাগ।
প্রতিটি গলির বাঁকে সতর্ক ঈগল
কালের চাকা ঘুরে আদিম বর্বরতায়
যাও রেশন লাইনে অপেক্ষা করো,
পাখির ঠোঁটে আকাঙ্ক্ষার একটা ভোর পেলেও পেতে পারো।
আজকাল হলুদ ডোরাকাটা ছাড়া কিছু দেখি না তাড়া করে তীক্ষ্ণ দাঁত ও সূচালো নখের তীব্র শাসন
এ শহর আমার অভয়াশ্রয় নয়
চোখে মুখে জমে গেছে নাগরিক ধূলো
অস্তিত্ব বিলীন ঠিকানার সংকটে
আমি উদ্বাস্তু হয়ে কাটাবো সারাটা জীবন?
খুব ইচ্ছা করে সংসার গড়ি
উলঙ্গ জ্যোৎস্নায় মাতাল হয়ে ওঠি
আগুনের হলকা চোখে নিয়ে, নিদ্রাহীন খেলি ডুবসাঁতার !
অশুভ খাটাশ আমার পিছু ছাড়ে না
পথে পথে বিছিয়ে রাখে বিক্ষত শরীর
খটখটে রোদ্দুর বিষম বিরুদ্ধ দগ্ধ উষর অভিশাপ আমার আজন্ম ঋণ।
আমাকে আকৃষ্ট করে না ঘর, সংসার, লোকালয়
জীবনকে বাদামের খোসা ভেবে
ছড়িয়ে দেই পথে
উদ্বাস্তুর জন্য পথ চিরকাল বুক পেতে রাখে …
সিএমবি-তে দাঁড়িয়ে রোদ খাই, টার্মিনালে শুয়ে জ্যোৎস্না;
দুঃখকে বন্ধু আর সুখকে শত্রু ভাবি
ভয় জয় করে মৃত্যুকে আনন্দময় করি
পৃথিবী পাপের বিবমিষা
ওদিক; নিজেকে গুটিয়ে নেই
প্রাচুর্যকে অনিষ্ট আর কামকে অভিষঙ্গ জানি
স্বপ্ন শূণ্য ফেরারী পথিক আমি , নিশ্চিন্তে সন্ধ্যার কিনারে হাঁটি।
সেই কবে
বাবা কালো অক্ষরের একটা বস্তা পীঠে চাপিয়ে বাঁশিতে ফু’ দিলেন
তখন থেকে পথের উপরে আছি
ঘাটেঘাটে কতো বস্তা পরিবর্তন হলো
বাবা শেষ ফু’টা আজো বাঁশিতে দিলেন না
এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার শেষটা কোথায়?
দৌড়াতে দৌড়াতে ঘামের সাথে যথেষ্ট লবণের ক্ষয় হলো
মা ও বোনেরা দু’এক ফোটা নোনাজল দিলেন,
কিন্তু আমার পীঠে রক্তশিমুল ক্ষতের খোঁজ কেউ নিলেন না
একদিন তীব্র অভিমান নিয়ে বাবার দিকে ছুটে গেলাম
বাবা বাঁশিটা সিথানে ঝুলিয়ে তীর্থবাসী হয়েছেন, এখন থেকে এ বাঁশিটা কী আমার?
পৃথিবীটা গোল এতো দৌঁড়াচ্ছো কেন?
জান না দৌঁড় প্রতিযোগীয় কেন বৃত্ত আঁকা হয়?
প্রতি জ্যোৎস্নায় একই চাঁদ, প্রতি বর্ষায় একই বৃষ্টি
বারবার নিজের কাছে ফেরা…
ছায়া সব সময়ই পাশেই থাকে, জীবন তো অনেক অনেক দূর!
ওটা রেখার বিপরীত পার্শ্ব
ফিরে দেখবে সাধের কলায় ধরেছে হলুদ রঙ
তোমার গন্তব্য তোমারই মাপের একটা রাস্তায় মিশে গেছে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..