আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
চেতনায় নববর্ষ
চলে গেল পুরাতন অনেক হাসি কান্নায় ।
বলে গেল ভাল থেকো রেখো ভালো ।
যে নুতন আসবে তাকে বরন করে নিও
ফুল শঙ্খ মালা ধুপ মঙ্গল দীপ জ্বেলো ।
যেখানে নেই আলো, যেখানে বড় দুঃখ
মুছিয়ে দিও চোখের জল পাশে থেকো।
যেখানে ভুল, যেখানে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি
সেখানে কলম শানিত করে দাঁড়াও রুখে।
অন্তর বাহির আকাশের মত উদার কোরো,
সাগরের মত ঢেউ দিয়ে যেও বালুকার তীরে ।
পান্থপাদপের মত তৃষিত’রে দিও বারিধারা,
আশ্রয়হীনে আশ্রয় নিজেকে চেনাও লক্ষ ভিড়ে ।
সেদিনের চেনা খড়িনদী অচেনা হয়ে যায়;
পথের বাঁকে সে নদীর মুখও বিষণ্ণ লাগল ।
বাম হাতের আঙুলগুলো কালো রঙ মাখে,
সাবান গোলা জলে ধুয়েও রঙ রয়ে গেল।
নিজের ছবি নিজের কাছেই কেমন অচেনা,
কপালের ঘাম দস্তখত কাগজে ঝরে পড়ল।
অত মানুষের ভিড়ে নিজেকে একা লাগে কেন?
একে একে নবরত্ন মানুষ এলো আর গেলো ;
এখানে ওখানে গুঞ্জনরত মানুষের গুপ্ত ষড়যন্ত্র,
বহিরঙ্গে যত অন্তরঙ্গতা, দোলাচল অন্তরে ছিল ।
এতদিনের পুরনো আশ্রয় আজ থেকে পরাশ্রয়;
অন্য কারোর ছায়া,আমার স্মৃতিতে জমবে ধুলো ।
কেউ শুধু শুধু মণিকাঞ্চন বার বার গুনে গেলো
কেউ হাতে পাতে যা পেল তাই কুড়িয়ে নিলো ;
সুযোগ বুঝে রঙ্গিন মাছরাঙা ছোঁ মেরে মাছ ধরে,
মৃতজনের আশীর্বাদ বুঝি পলাশীতে নেমে এলো?
পড়ন্ত রোদ্দুর সুধীর কুটীরে আঁধার নিয়ে আসে,
একলা রেখে তোমায় যে যার ঘরে ফিরে গেলো।
হটাত বৈশাখী ঝড়ের সাথে মেঘের আনাগোনা
এতদিনের দুঃখ সুখের সাথী বৃষ্টিতে ভিজে গেল।
ছেলেটা সেভেনে পড়ে বাবাকে ডাকতে গেল ।
বোধ হয় অনেক চেষ্টায় অঙ্ক পারেনি মেলাতে ।
কাজের মাসির স্কুল ছাড়ানো মেয়েটা বসে ছিল ;
অগোচরে এগোয় খাতা আর কলমটা নেয় হাতে ;
বাবা এলো অঙ্কের খাতায় চোখটা বুলিয়ে বলে-
সত্য সত্য ঠিকই করেছ তাই অঙ্কটা গেছে মিলে ।
ছেলেটা এবার অবাক হয়, শেষে সত্যি কথা বলে
না বাবা, জানিনা কিভাবে এই অঙ্কটা গেছে মিলে ;
সিক্সে পড়া মেয়েটা চোরের মতন দেখছিল,
বাবা বুঝতে পেরে তাকে কাছে ডেকে নেয় ।
মেয়েটার চোখে ছলছল করা জল টলমল
কাজের মাসি ছুটে এসে পাখির ছানা বাঁচায় ;
না জানি মেয়ে আমার কত যে অন্যায় করেছে!
ওর বাবা হটাত কাজের খোঁজে হারিয়ে গেল।
ছেলের বাবা শুনে গুরুগম্ভির শপথের সুরে বলে
আজ থেকে এই মেয়েটা আমাদের হয়ে গেল ।
তুমি চলে গেলে!
নিঃশব্দে নিরবে চলে গেলে অন্ধকারে,
একটার পর একটা বসন্ত পার করে ;
ঝরে গেলে ফোটা কৃষ্ণচূড়া দুরন্ত ঝড়ে ।
কি সে যন্ত্রণা !
কেউ একজন কথা রাখেনি তাই কি ?
এমন ভরা বসন্তে সবে কুহু ডেকেছে ;
দখিনা বাতাস বয়ে এনেছে উচ্ছাস ।
এতো অভিমান !
অলি যদি যায় চলে অন্য এক ফুলে ।
তোমার ভাবনা নদী ছেড়ে অন্যকূলে ;
দোষ কি তোমার? যদি সে যায় ভুলে ।
এত্তো বড় পৃথিবী!
তোমার অপেক্ষাতে ছিল নীল আকাশ ;
রাস্তার দিকে চেয়ে অপেক্ষায় বাতায়ন ;
আগামী বসন্তে বিরহী বাতাসে হাহুতাস।
রাজার যে ছিল প্রবল স্বর্ণতৃষ্ণা
তাই সে ঈশ্বরের কাছে করে প্রার্থনা ।
দিন যায় মাস যায় বছর ঘুরে যায় ।
ইশ্বর রাজার তপস্যাতে মৃদু হেসে বলে ,
বত্স ওরে কিসের তরে এ কঠিন তপস্যা ?
দুর্বল শরীরে ক্ষীন কন্ঠে রাজা কহে –
স্বর্ণ আমার কামনা স্বর্ণ আমার বাসনা
স্বর্ণ শরীরে জাগায় অদ্ভূত এক উন্মাদনা ।
বেশ বেশ তবে তুমি কি বর চাও ?
রাজা বলে – এ জীবন ধন্য করতে চাই
আমাকে তাই বরদান এখনি করুন এই
যাহা পরশ করিব তাহায় যেন স্বর্ণ হয় ।
তথাস্তু বলে ঈশ্বর তখনি হয় অন্তর্ধান ।
পরদিন সকালে বরপ্রাপ্ত রাজা আনন্দ চিত্তে ,
একে একে হাতের পরশে স্বর্ণপ্রাসাদ গড়ে ।
দিন যায় সূর্য্য তখন পাটে বড় খিদে উদরে ,
প্রস্তুত হয় থালাভরা খাবার আর টলমলে জল।
হাতে পরশে সে জল নিমেষে হয় তরল সোনা ।
রাজা হা হা করে হেসে বলে হয়েছে মনস্কাম ।
রাজার ভয়ন্কর হাসিতে ছুটে আসে তাঁর মেয়ে
শোনেনা সে রাজার বারণ বুকে ঝাঁপ দেয় মেয়ে
রাজার বুকে তখনি একতাল কনক বরণ স্বর্ণ মেয়ে ।
রাজা দিশাহারা চিত্কারে কহে ফিরিয়ে নাও এ বর ।
ক্ষমতালোভী এমনি কেউ কেউ আসছে এখন দুয়ারে
দাও দাও বলে কৃপা ভিক্ষা করে গরিবের ভাঙ্গা কুটিরে।
ক্ষমতা পেতে এরাও রাত কে বলে আহা কি সুন্দর দিন
এসে গেছে সেই দিন এদের কে চিনে নেবার সে দিন ।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..